মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম
মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম | |
---|---|
মৃত্যু | ৭৩৭ |
আনুগত্য | উমাইয়া খিলাফত |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধ |
সম্পর্ক | হিশাম ইবনে আবদুল মালিক (পিতা); মাসলামা ইবনে হিশাম, সাইদ ইবনে হিশাম ও সুলাইমান ইবনে হিশাম (ভাই); দ্বিতীয় আল ওয়ালিদ ও তৃতীয় ইয়াজিদ (চাচাত ভাই); আবদুর রহমান ইবনে মুয়াবিয়া (পুত্র) |
মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম ছিলেন একজন আরব সেনাপতি এবং উমাইয়া খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের ছেলে। আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধে মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার ছেলে আবদুর রহমান ইবনে মুয়াবিয়া কর্ডোবা আমিরাতের প্রতিষ্ঠা করেন।
জীবন
[সম্পাদনা]আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধে ভূমিকার জন্য মূলত মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম পরিচিত। এশিয়া মাইনরে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে তিনি অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ৭২৫ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীষ্মে তিনি প্রথম অভিযানের নেতৃত্ব দেন। অভিযানের অংশ হিসেবে একই সময় সাইপ্রাসে মায়মুন ইবনে মিহরানের নেতৃত্বে একটি নৌ আক্রমণ চালানো হয়। আরব বিবরণ অনুযায়ী মুয়াবিয়ার সেনারা ডোরিলাইয়াম পর্যন্ত পৌছে যায়। এসময় তারা অনেককে বন্দী করে এবং কয়েকটি দুর্গ ধ্বংস হয়।[১][২] ৭২৬ সালে তিনি একটি অভিযান শুরু করেছিলেন বলে বিবরণ রয়েছে। তবে এর ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানা যায় না। ৭২৭ সালে আবদুল্লাহ আল বাত্তালের পাশাপাশি তিনি আরেকটি অভিযানে নেতৃত্বে দেন। বাত্তাল প্রথমে বর্তমান তুরস্কের অন্তর্গত চানকিরি দখল করেন এরপর তাদের সম্মিলিত বাহিনী এটিওসের দুর্গ দখল করে নেয় ও নাইসিয়ার দিকে অগ্রসর হয়। ৪০ দিন অবরোধের পরও তারা তা দখল করতে ব্যর্থ হন।[১][২] ৭২৮ সালে এশিয়া মাইনরের দক্ষিণ দিকে অভিযান শুরু করে। এসময় তার ভাই সাইদ ইবনে হিশাম উত্তর দিকে অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তবে তাদের কেউ এতে তেমন সফল হননি।[৩]
মুসলিম বিবরণ অনুযায়ী মুয়াবিয়া ইবনে হিশাম ৭৩০ এর সেপ্টেম্বর/অক্টোবরে চারসিয়ানোন দুর্গ জয় করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে বাইজেন্টাইন বিবরণ অনুযায়ী তার চাচা মাসলামা ইবনে আবদুল মালিক এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন। পরের বছর তার বাহিনী সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলা হয়ে থাকে। ৭৩২ সালে তার অভিযানের সময় তিনি এক্রোইনোন পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম হন।[৪] ৭৩৩ সালে তিনি পাফলাগোনিয়া অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরের কয়েক বছর তিনি অভিযানে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। ৭৩৭ সালে তিনি পুনরায় দক্ষিণের অভিযানের নেতৃত্বে দেন। এসময় তার মৃত্যু হয় থিওফেনস দ্য কনফেসারের মতে ঘোড়া থেকে পড়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন।[২][৫]
আব্বাসীয় বিপ্লবের ফলে উমাইয়া রাজবংশের পতনের পর মুয়াবিয়া ইবনে হিশামের এক ছেলে আবদুর রহমান ইবনে মুয়াবিয়া আন্দালুস পালিয়ে যান। তিনি আন্দালুসে উমাইয়া শাসিত কর্ডোবা আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেন।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Blankinship, Khalid Yahya (১৯৯৪)। The End of the Jihâd State: The Reign of Hishām ibn ʻAbd al-Malik and the Collapse of the Umayyads। State University of New York Press। আইএসবিএন 978-0-7914-1827-7।
- Ṭāhā, ʻAbd al-Wāḥid (১৯৯৮)। The Muslim conquest and settlement of North Africa and Spain। Routledge। আইএসবিএন 978-0-415-00474-9।
- Winkelmann, Friedhelm; Lilie, Ralph-Johannes, সম্পাদকগণ (২০০০)। Prosopographie der mittelbyzantinischen Zeit: I. Abteilung (641–867) - 2. Band (German ভাষায়)। Walter de Gruyter। আইএসবিএন 978-3-11-016672-9।