মুক্তিযুদ্ধ পদক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুক্তিযুদ্ধ পদক
ধরনবেসামরিক নাগরিক
দেশবাংলাদেশ
ফিতা
প্রতিষ্ঠিত২০২১
অগ্রাধিকার
পরবর্তী (সর্বোচ্চ)একুশে পদক

মুক্তিযুদ্ধ পদক বা মুক্তিযুদ্ধ পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা বিকাশে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট প্রবর্তন করা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশের বিজয় দিবস আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর এই পদক প্রদান করা হবে। এই পদক জাতীয় জীবনে রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন/সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হবে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। [১]

৭টি বিভাগে এ পদক প্রদান করা হবে। প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তদের একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ২৫ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট পদক, একটি সম্মাননাসূচক পদকের রেপ্লিকা এবং  দুই লাখ টাকা দেয়া হবে।[২]

বাছাই পদ্ধতি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পদক প্রদানের লক্ষ্যে  মনোনয়ন আহ্বান করে। পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনিত ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক ও মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিকও এ পদকে মনোনিত হতে পারেন।

বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে।

সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।[৩]

অযোগ্যতা[সম্পাদনা]

ক) রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে/ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত

খ) ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত বা দেউলিয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান

খ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান

গ) একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ (দশ) বছরে একই বিষয়ে পুনরায় মনোনিত হবে না।[৪]

পদকের ক্ষেত্র[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া হয়:[৫]

১. স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনে ভূমিকা

২. সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

৩. স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন

৪. মুক্তিযুদ্ধ/স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা

৫. মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

৬. মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা

৭. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ

এর বাইরেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন ক্ষেত্র থাকতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "৭ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে 'মুক্তিযুদ্ধ পদক'"দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  2. "৭ ক্যাটাগরিতে 'মুক্তিযুদ্ধ পদক' দেবে সরকার"ittefaq। ২০২১-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  3. বাসস। "'মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন করেছে সরকার"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  4. "'মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন করেছে সরকার | জাতীয়"Noyashotabdi। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "সাত ক্ষেত্রে অবদানে দেওয়া হবে 'মুক্তিযুদ্ধ পদক'"bangla.bdnews24.com। ২০২১-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০