মাহমুয়েই

স্থানাঙ্ক: ৩৩°১৯′৪১″ উত্তর ৫৯°২০′৫৮″ পূর্ব / ৩৩.৩২৮০৬° উত্তর ৫৯.৩৪৯৪৪° পূর্ব / 33.32806; 59.34944
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাহমুয়েই
مهموئي
গ্রাম
মাহমুয়েই ইরান-এ অবস্থিত
মাহমুয়েই
মাহমুয়েই
স্থানাঙ্ক: ৩৩°১৯′৪১″ উত্তর ৫৯°২০′৫৮″ পূর্ব / ৩৩.৩২৮০৬° উত্তর ৫৯.৩৪৯৪৪° পূর্ব / 33.32806; 59.34944
দেশ Iran
প্রোভাইন্সদক্ষিণ খোরাসান
দেশইরান
বকসসেন্ট্রাল
জনসংখ্যা (২০০৬)
 • মোট৭২৬

মাহমুয়েই ( ফার্সি: مهموئی ) একটি গ্রাম যা দক্ষিণ খোরসন প্রদেশ, ইরানে অবস্থিত। জনশ্রুতি অনুসারে প্রথম বসতি স্থাপনকারীরা গ্রামের নাম রাখেন "মাহমাসি" কারণ এটি খোলা এবং সমতল ভূমিতে ছিল। মাহমুয়েই শব্দটি মাহমাহ শব্দের উদ্ভব যা দেহখোদা অভিধান অনুসারে একটি সমতল সমভূমি।

১৯৯৬ সালে মাহমুয়ের আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুসারে জনসংখ্যা আনুমানিক ৬৯৫ জনের (১৮ টি বাড়ি ও ২২৩ টি পরিবার)। [১] ২০০৬ সালের আদম শুমারি অনুসারে, ২৪৩ পরিবারে এর জনসংখ্যা ৭২৬। [২] বাসিন্দারা শিয়া মুসলমান, তাদের ভাষা ফার্সির স্থানীয় উপভাষা। জনসংখ্যার বেশিরভাগ কৃষিতে নিযুক্ত রয়েছে। মাহমুুুুয়ের মুল পণ্য জাফরান (Za`ferân) এবং একপ্রকার কণ্টকযুক্ত লতা (Zereshk) যা রপ্তানির জন্য চাষ করা হয়। পাশাপাশি বিট ও গমের চাষ হয়। স্থানীয় ব্যবহারের জন্য আঙ্গুর, কালো প্লুম, এপ্রিকটস, বাঙ্গি, তরমুজ, বাদাম ও পেস্তা উৎপাদন করা হয়। ১৯৫০ এর আগেও আফিমের চাষ হত। ১৯৮০ এর দশকে প্রথম গভীর কূপ খননের আগে শুকনো চাষই ছিল একমাত্র কৃষি পদ্ধতি। আজ, ভূগর্ভস্থ জলজগুলির একটি স্ট্রিং ছাড়াও ( কানাট ) পাইপ ওয়াটারের দুটি নেটওয়ার্ক এবং ক্ষেত্র সেচের জন্য ২৩ টি বৈদ্যুতিক এবং ডিজেল চালিত গভীর কূপ রয়েছে।

আধুনিক সুবিধাগুলির মধ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে একটি বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক, স্বাস্থ্যসেবা, টেলিফোন (১৯৯৬ সালের একমাত্র লাইন, টেলিফোন: +৯৮ ০৫৬ ২৫৩৩ -৩৪০০), ১৯৯৮ সাল থেকে পানীয় জল, অপরিশোধিত পাইপযুক্ত জল, ডালপালা, একটি পল্লী সমবায়, একটি ইসলামী কাউন্সিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি বোর্ডিং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে।

এই গ্রামে একটি কবরস্থান আছে যেখানে একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মীর-আব্বাস, যাকে মুহাম্মাদ (সঃ) বংশধর মনে করা হয়, ৭০ বছর আগে দাফন করা হয়। আদিবাসীরা এই মাজারটিকে সম্মান করে এবং নিজের ইচ্ছা অর্জনের জন্য এটিতে অর্থ উৎসর্গ করে। ১৯২০এর দিকে তার সম্পর্কে বলা হয় দ্রাক্ষা সিরাপ তৈরির সময় (যা ফুটন্ত আঙ্গুরের রস এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়) কেউ একজন তাঁকে বললেন, 'আপনি কি সেই নবীর বংশধর নয়। " মীর-আব্বাস বিরক্ত হয়ে সেই বিশাল আগুনে পা রাখলেন যা আঙুরের রস ফুটানোর জন্য জালানো হয়েছিল। তিনি অগ্নিকুণ্ডের মাঝখানে বসে গেলেন অলৌকিকভাবে প্রমাণ করতে যে তিনি মুহাম্মদের বংশধর। তিনি অগ্নিকুণ্ডে অবস্থান করেছিলেন এবং গ্রামবাসীরা তাকে বাইরে যাওয়ার অনুরোধ না করা পর্যন্ত তিনি বাইরে যান নাই। এই ঘটনার পরে, গ্রামবাসীরা তাকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা জানায় এবং পরে তাঁর সমাধিতে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করে। [৩]

১৯৫০ সাল থেকে, অনেক মানুষ মাহমুয়ে থেকে শহর এলাকায় পাড়ি যমান, বিশেষ করে তেহরান এবং মাশহাদ এ। এসব শহরবাসীরা অনেক সময় মহররমের একটি বিশেষ অনুুুষ্ঠানে গ্রামে জড়ো হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. .Ludwig W. Adamec, Historical Gazetteer of Iran. Vol.2, Meshed and Northeastern Iran. Graz:Academische Druck,1981.p.460
  2. "Census of the Islamic Republic of Iran, 1385 (2006)"Islamic Republic of Iran। ২০১১-১১-১১ তারিখে মূল (Excel) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. ."فرهنگ جغرافیایی ایران، آبادیها"، زیر نظر حسینعلی رزم آرا، تهران: سازمان جغرافیایی کشور، 1329، ج 9، ص 410

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]