মানসুর মুহাম্মাদ, মামলুক সুলতান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মানসুর মুহাম্মাদ
মালিকুল মানসুর
মিশরে মুদ্রিত সোনার দিনার, ১৩৬১ – ১৩৬৩
মিশরের সুলতান
রাজত্ব১৭ মার্চ ১৩৬১ – ২৯ মে ১৩৬৩
পূর্বসূরিনাসির হাসান
উত্তরসূরিআশরাফ শাবান
জন্ম১৩৪৭/৪৮
মৃত্যু১৩৯৮ (বয়স ৫০-৫১)
সমাধি
পূর্ণ নাম
মানসুর সালাহুদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনে হাজ্জি ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে কালাউন
রাজবংশকালাউনি
পিতামুযাফফর হাজ্জি
ধর্মইসলাম

মানসুর সালাহুদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনে হাজ্জি ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে কালাউন (১৩৪৭/৪৮-১৩৯৮), যিনি মানসুর মুহাম্মাদ নামে বেশি পরিচিত, ১৩৬১ থেকে ১৩৬৩ সাল পর্যন্ত মামলুক সুলতান ছিলেন। তিনি শুধুমাত্র নামেই শাসন করতেন, মামলুক ক্ষমতাশালীদের হাতেই প্রকৃত ক্ষমতা ছিল। বিশেষ করে ইয়ালবুঘা উমারি ছিলেন মানসুর মুহাম্মাদের সহশাসক, যিনি মুহাম্মাদের পূর্বসূরি ও চাচা নাসির হাসানকে হত্যা করেছিলেন এবং মানসুর মুহাম্মাদকে তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

মানসুর মুহাম্মাদ ছিলেন সুলতান মুযাফফর হাজ্জির (শা. ১৩৪৬-৪৭) পুত্র।[১] ১৩৬১ সালে আমির ইয়ালবুঘা উমারি কর্তৃক তার চাচা সুলতান নাসির হাসান (শা. ১৩৫৪-১৩৬১) হত্যার পর, ইয়ালবুগা ও অন্যান্য শক্তিশালী আমিররা মানসুর মুহাম্মাদকে নাসির হাসানের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন।[২] তখন তিনি একজন কিশোর ছিলেন।[৩] তাকে ক্ষমতাশীল করার মধ্যে আটজন আমির ছিলেন, যাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন আমির ইয়ালবুঘা এবং তাইবুঘা তাবিল।[২] সুলতান নাসির মুহাম্মাদ (শা. ১৩১০-১৩৪১) নাতি মানসুর মুহাম্মাদকে নিয়োগ করার তাদের সিদ্ধান্ত, নাসির মুহাম্মাদের ছেলেদের সুলতান হিসেবে বসানোর ঐতিহ্যের অবসান ঘটায়।[২] তারা নাসির মুহাম্মাদের শেষ জীবিত পুত্র আমজাদ হোসেনের পরিবর্তে মানসুর মুহাম্মাদকে বেছে নিয়েছিল। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল যে, মানসুর মুহাম্মাদকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।[২] নতুন বিন্যাসে ইয়ালবুঘা সিনিয়র আমিরদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলেন, যদিও তিনি বেশিরভাগই তাইবুঘার সাথে যোজিতভাবেই শাসন করেছিলেন।[২]

১৩৬৩ সালের প্রথম দিকে ইয়ালবুঘা এবং তাইবুঘা মানসুর মুহাম্মাদকে সুলতানের অবৈধ আচরণের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।[৩] তারা তার চাচাতো ভাই আশরাফ শাবান, আমজাদ হোসেনের দশ বছর বয়সী ছেলেকে মানসুর মুহাম্মাদের উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিয়েছিল, এই বিশ্বাসে যে তার আধিপত্য করা সহজ হবে।[৩] মানসুর মুহাম্মাদ ১৩৯৮ সালে মারা যান এবং তাকে রওদা দ্বীপে তার পিতামহীর (মুযাফফর হাজ্জির স্ত্রী) সমাধিতে সমাহিত করা হয়।[৪] তার দশটি সন্তান ছিল।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Steenbergen, Jo Van (২০০৬)। Order Out of Chaos: Patronage, Conflict and Mamluk Socio-political Culture, 1341–1382। Brill। আইএসবিএন 9789004152618 
  2. Steenbergen 2011, p. 434.
  3. Steenbergen 2011, p. 437.
  4. Bauden, Frédéric। "The Qalawunids: A Pedigree" (পিডিএফ)। University of Chicago। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৫ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

 

  • Steenbergen, Jo Van (সেপ্টেম্বর ২০১১)। "The Amir Yalbughā al-Khāṣṣakī, the Qalāwūnid Sultanate, and the Cultural Matrix of Mamlūk Society: A Reassessment of Mamlūk Politics in the 1360s"। Journal of the American Oriental Society। American Oriental Society। 131 (3): 423–443। জেস্টোর 41380710 
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
নাসির হাসান
মামলুক সুলতান
মার্চ ১৩৬১ – মে ১৩৬৩
উত্তরসূরী
আশরাফ শাবান