মফিজউদ্দীন আহমদ
মফিজউদ্দীন আহমদ | |
---|---|
পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬২ – ১৯৬৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮৯১ বড়শালঘর, দেবীদ্বার, কুমিল্লা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৯৭৯ |
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ |
সন্তান | এ বি এম গোলাম মোস্তফা |
মফিজউদ্দীন আহমদ (১৮৯১-১৯৭৯) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী যিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]মফিজউদ্দীন আহমদ ১৮৯১ সালে কুমিল্লার দেবীদ্বারের বড়শালঘর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯১৯ সালে ইংরেজিতে অর্নাসসহ বিএ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল পাস করেন। তার ছেলে এ বি এম গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের সাবেক সচিব, মন্ত্রী ও কুমিল্লা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১][৩]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মফিজউদ্দীন আহমদ কর্মজীবনের শুরুতে কুমিল্লা জেলা বারে ওকালতি ও রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৩৩ সালে মুসলিম লীগে যোগদান করে তৎকালীন ত্রিপুরা জেলা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য ও ১৯৪০ সালে শিক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি মনোনীত হন। ১৯৪৬ সালে আবারও তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের ত্রাণ, পুনর্বাসন, রেজিস্ট্রেশন ও কারাগার বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ মেয়াদে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
স্বীকৃতি ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]মফিজউদ্দীন আহমদ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ''আমলে খান সাহেব'' ও ''খান বাহাদুর'' এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ''সিতারা-ই-কায়েদে আজম'' খেতাব অর্জন করেন।[১]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]মফিজউদ্দীন আহমদ ১৯৭৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "আহমদ, মফিজউদ্দীন"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ Assembly (1947-1954), Pakistan Constituent (১৯৪৮)। Debates. Official Report (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "খান সাহেব ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিক, যা বর্তমানে বড় অভাব: এবিএম গোলাম মোস্তফা"। দৈনিক আমাদের সময়। ১৭ মে ২০১৮। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।