মধুমতি-শ্রেণীর টহল জাহাজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে বানৌজা মধুমতি
শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: মধুমতি-শ্রেণী
নির্মাতা: হুন্দাই, উলসান, দক্ষিণ কোরিয়া
ব্যবহারকারী:  বাংলাদেশ নৌবাহিনী
নির্মিত: ১৯৯৭-বর্তমান
অনুমোদন লাভ: ১৯৯৮-বর্তমান
সম্পন্ন: ১টি
সক্রিয়: ১টি
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: মধুমতি-শ্রেণীর টহল জাহাজ
ওজন:  ৬৩৫ টন
দৈর্ঘ্য: ৬০.৮ মিটার (১৯৯ ফু)
প্রস্থ: ৮ মিটার (২৬ ফু)
গভীরতা: ২.৭ মিটার (৮.৯ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × এসইএমটি-পিয়েলসটিক ১২ পিএ৬ ডিজেল; ৯৬০০ অশ্বশক্তি (৭.০৮ মেগাওয়াট);
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ২৪ নট (৪৪ কিমি/ঘ; ২৮ মা/ঘ)
সীমা: ৬,০০০ নটিক্যাল মাইল (৬,৯০০ মা; ১১,০০০ কিমি), ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৪৩ জন (৭ জন কর্মকর্তা)
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র
ও ফাঁদ:
  • অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ: অপট্রনিক ডিরেক্টর
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান: কেলভিন হিউজেস কেএইচ ১০০৭, আই-ব্যান্ড
  • নৌচালন: জিইএম ইলেক্ট্রনিক্স এসপিএন ৭৫৩বি; আই-ব্যান্ড
রণসজ্জা:
  • ১ × বোফোর্স ৫৭ মিমি/৭০ মার্ক-১;
  • ১ × বোফোর্স ৪০ মিমি/৭০;
  • ২ × অরলিকন ২০ মিমি

মধুমতি-শ্রেণী হলো দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্মিত টহল জাহাজের শ্রেণী যা বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়।। এই জাহাজটি নদী, উপকূলবর্তী অঞ্চল ও গভীর সমুদ্রে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জাহাজটি ক্রয় করে। ৩১ আগস্ট, ১৯৯৭ সালে জাহাজটি প্রথম বারের মত পানিতে ভাসানো হয়। পরবর্তীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে যা চট্টগ্রামে অবস্থিত বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

মধুমতি-শ্রেণীর জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬০.৮ মিটার (১৯৯ ফু), প্রস্থ ৮ মিটার (২৬ ফু) এবং গভীরতা ২.৭ মিটার (৮.৯ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি এসইএমটি-পিয়েলসটিক ১২ পিএ৬ ডিজেল; ৯৬০০ অশ্বশক্তি (৭.০৮ মেগাওয়াট) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নট (৪৪ কিমি/ঘ; ২৮ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ) গতিতে ৬,০০০ নটিক্যাল মাইল (৬,৯০০ মা; ১১,০০০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

মধুমতি-শ্রেণীর জাহাজটি মূলত একটি বৃহৎ টহল জাহাজ যা নদী, উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচালনায় সক্ষম। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি বোফোর্স ৫৭ মিমি/৭০ মার্ক-১ কামান
  • ১টি বোফোর্স ৪০ মিমি/৭০ কামান
  • ২টি অরলিকন ২০ মিমি কামান।

জাহাজসমূহ[সম্পাদনা]

 বাংলাদেশ নৌবাহিনী
 পরিচিতি সংখ্যা   নাম   নির্মাতা   নির্মাণ শুরু   হস্তান্তর   কমিশন   অবস্থা 
পি৯১১ বানৌজা মধুমতি হুন্দাই, উলসান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র - ৩১ আগস্ট, ১৯৯৭ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ সক্রিয়

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল (লেবানন) এ অংশ নিতে নৌবাহিনীর ১৩৫ জন নৌ সদস্যের চট্টগ্রাম ত্যাগ"আইএসপিআর। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২ 
  2. "Warship building in Bangladesh, problems and prospects: analysis and recommendations"National Defence College E-Journal (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২ 
  3. "INCREASE OF TRANSIT TIME FOR SHIPS ROTATION IN UNIFIL, MTF" (পিডিএফ)DEPARTMENT OF OPERATIONAL SUPPORT, UNITED NATIONS। ২০২৩-০৪-২৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৮ 
  4. আইএসপিআর (২০১৬-০৬-১৭)। "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল (লেবানন) এ অংশ নিতে নৌবাহিনীর ১৩৫ জন নৌ সদস্যের চট্টগ্রাম ত্যাগ"আইএসপিআর। ২০২৩-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৬