মডার্ন টাইমস (চলচ্চিত্র)
মডার্ন টাইমস | |
---|---|
পরিচালক | চার্লি চ্যাপলিন |
প্রযোজক | চার্লি চ্যাপলিন |
রচয়িতা | চার্লি চ্যাপলিন |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | চার্লি চ্যাপলিন |
চিত্রগ্রাহক | আইরা এইচ. মরগ্যান রোল্যান্ড টথেরোহ |
সম্পাদক | উইলার্ড নিকো |
পরিবেশক | ইউনাইটেড আর্টিস্ট্স |
মুক্তি | ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ |
স্থিতিকাল | ৮৭ মিনিট |
ভাষা | নির্বাক ইংরেজি (মূল আন্তঃভাষ্য) |
নির্মাণব্যয় | $১.৫ মিলিয়ন[১] |
আয় | $১.৪ মিলিয়ন (যুক্তরাষ্ট্র)[১] |
মডার্ন টাইমস হল ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্বাক হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এটি রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন চার্লি চ্যাপলিন। এই ছবিতে দেখানো হয় চ্যাপলিনের লিটল ট্রাম্প সত্তা আধুনিক শিল্পায়িত পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ছবিতে মহামন্দা চলাকালীন বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ও আর্থিক অবস্থার জন্য হতাশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যাকে চ্যাপলিন আধুনিক শিল্পায়নের সামর্থ্যের জন্য বলে বিবেচনা করেন। এতে অভিনয় করেন চার্লি চ্যাপলিন, পলেট গডার্ড, হেনরি বার্গম্যান ও চেস্টার কঙ্কলিন।
মডার্ন টাইমস চলচ্চিত্রটি "সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ" বিবেচনায় লাইব্রেরি অব কংগ্রেস ১৯৮৯ সালে ছবিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করে। ১৪ বছর পরে, ২০০৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে "প্রতিযোগিতার বাইরে" বিভাগে প্রদর্শিত হয়।[২]
কুশীলব
[সম্পাদনা]- চার্লি চ্যাপলিন - ফ্যাক্টরি কর্মচারী
- পলেট গডার্ড - এলেন পিটারসন "দ্য গ্যামিন"
- হেনরি বার্গম্যান - ক্যাফে মালিক
- টিনি স্যান্ডফোর্ড - বিগ বিল
- চেস্টার কঙ্কলিন - মেকানিক
- অ্যাল আর্নেস্ট গার্সিয়া - এলেক্ট্রো স্টিল কর্পোরেশনের প্রধান
- স্ট্যাননি ব্লিস্টোন - গ্যামিনের পিতা
- রিচার্ড আলেকজান্ডার - জেলে আসামী
- সেসিল রেনল্ডস - মন্ত্রী
- মিরা ম্যাককিনি - মন্ত্রীর স্ত্রী
- মুরডক ম্যাককোয়ারি - জে. উইডকম্ব বিলোস, উদ্ভাবক
- উইলফ্রেড লুকাস - এতিমখানার কর্মকর্তা
- এডওয়ার্ড লেসান্ত - শেরিফ কোলার
- ফ্রেড মালাতেস্তা - ক্যাফের প্রধান পরিবেশক
- স্যামি স্টাইন - টারবাইন অপারেটর
- হ্যাঙ্ক মান - বিগ বিলের সাথের চোর
- লুই নাথেয়ো - বিগ বিলের সাথের চোর
- গ্লোরিয়া ডিহ্যাভেন - গ্যামিনের বোন (অনুল্লেখ্য)
- জুয়ানা সাটন
- টেড অলিভার - বিলোর সহকারী
নির্মাণ
[সম্পাদনা]সিটি লাইট্স চলচ্চিত্র নিয়ে ইউরোপে গেলে মহামন্দার প্রভাবে মহাদেশটির শোচনীয় অবস্থা দেখে এবং মহাত্মা গান্ধীর সাথে আধুনিক প্রযুক্তির নিয়ে আলোচনা থেকে চ্যাপলিন মডার্ন টাইমস ছবি নির্মাণের অনুপ্রেরণা লাভ করেন। চ্যাপলিন বুঝতে পারেন নি গান্ধী কেন এর বিরোধিতা করছে, যদিও তিনি তা মঞ্জুর করে নিয়েছেন যে "শুধুমাত্র মুনাফার জন্য মেশিনের ব্যবহার" অনেক মানুষকে বেকার করে দিয়েছে এবং তার জীবন বরবাদ করেছে।[৩]
চ্যাপলিন তার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রয়াসে ১৯৩৪ সালে সংলাপ রচনা করেন এবং কয়েকটি সবাক দৃশ্য ধারণ করেন। পরে তিনি তার এই প্রচেষ্টা বাতিল করেন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ ও বিরল রকমের সংলাপসহ নির্বাক চলচ্চিত্রে ফিরে যান। চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন শুরু হয় ১১ অক্টোবর ১৯৩৪ এবং শেষ হয় ১৯৩৫ সালে ৩০ আগস্ট।[৪]
সঙ্গীত
[সম্পাদনা]দাপ্তরিক নথিপত্র অনুযায়ী চলচ্চিত্রের সুরায়োজন করেছেন চ্যাপলিন নিজে এবং তার সহকারী ছিলেন আলফ্রেড নিউম্যান। রোম্যান্স থিমটিতে পরবর্তীতে গীত প্রদান করা হয় এবং "স্মাইল" শীর্ষক গানটি পপ গানে মানদণ্ড হয়ে ওঠে। গানটি প্রথমে রেকর্ড করেন ন্যাট কিং কোল। পরে স্যামি ডেভিস জুনিয়র, হার্ব জেফ্রিস, ডিন মার্টিন, টনি বেনেট, ট্রিনি লোপেজ, এরিক ক্ল্যাপটন, বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, ডায়ানা রস, মাইকেল বাবল, পেটুলা ক্লার্ক, লিবারেস, জুডি গারল্যান্ড, মেডেলিন পেরোয়া, প্লাসিডো ডোমিঙ্গো ও ডিয়নে ওয়ারউইক, মাইকেল জ্যাকসন এবং রবার্ট ডাউনি জুনিয়রসহ অনেক শিল্পীরা গানটিকে কভার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Balio, Tino (২০০৯)। United Artists: The Company Built by the Stars (ইংরেজি ভাষায়)। ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন প্রেস। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 978-0-299-23004-3।
- ↑ "Festival de Cannes: Modern Times"। কান চলচ্চিত্র উৎসব (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Flom, Eric L. (১৯৯৭)। "3. Modern Times"। Chaplin in the Sound Era: An Analysis of the Seven Talkies (ইংরেজি ভাষায়)। McFarland। আইএসবিএন 9780786403257।
- ↑ As said in Chaplin Today: Modern Times, a 2003 French documentary.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯৩৬-এর চলচ্চিত্র
- ১৯৩০-এর দশকের প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র
- আধুনিকতা
- ইউনাইটেড আর্টিস্ট্সের চলচ্চিত্র
- চার্লি চ্যাপলিন পরিচালিত চলচ্চিত্র
- চার্লি চ্যাপলিন প্রযোজিত চলচ্চিত্র
- চার্লি চ্যাপলিনের চিত্রনাট্য
- প্রযুক্তির প্রভাব বিষয়ক চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র
- মার্কিন বিদ্রূপাত্মক চলচ্চিত্র
- মার্কিন প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র
- মার্কিন সাদাকালো চলচ্চিত্র
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্রের তালিকাভুক্তি চলচ্চিত্র
- মহামন্দার চলচ্চিত্র
- শিল্প বিল্পব বিষয়ক কাজ
- কাল্পনিক ভাষার চলচ্চিত্র
- মার্কিন প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র
- আধুনিকত্ব
- ১৯৩০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৩০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র