ভেনিসে মৃত্যু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভেনিসে মৃত্যু
লেখকটমাস মান
দেশজার্মানি
ভাষাজার্মান
ধরনবড়গল্প
প্রকাশকএস. ফিশার ফেরলাগ
প্রকাশনার তারিখ
১৯১২
বাংলায় প্রকাশিত
১৯২৪ (সাময়িকী), ১৯২৫ (বই)
ওসিএলসি৭১২০৮৭৩৬

ভেনিসে মৃত্যু বা ডেথ ইন ভেনিস (জার্মান: Der Tod in Venedig; ড্যের টোড ইন ভেনেডিষ) হল জার্মান সাহিত্যিক টমাস মান রচিত একটি বিখ্যাত বড়গল্প (নভেলা)। ১৯১১ সালেই যদিও গল্পটি লেখা হয়, তা প্রথম প্রকাশ হয় পরের বছর মিউনিখ থেকে। এরপর সেই বছরেই গল্পটি বিখ্যাত নয়ে রুন্ডশাউ[১] সাহিত্য সাময়িকীতেও স্থান পায়। ১৯১৩ সালে এস. ফিশার ফেরলাগ প্রকাশনা সংস্থা থেকে এটি প্রথম বই আকারে বের হয়।

গল্পটির কেন্দ্রে রয়েছে গুস্তাভ ফন আশেনবাখ নামে এক পঞ্চাশোর্ধ বিপত্নীক বিখ্যাত লেখক। কিন্তু তার কলমে তখন আর কোনও নূতন যথার্থ শিল্পসৃষ্টি হচ্ছে না, তিনি একধরনের রাইটার'স ব্লকে ভুগছেন। জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে ইতালির ভেনিসে আসেন। সেখানে তিনি সৈকতে একটি অল্পবয়সী ছেলেকে দেখতে পান; সেও তার অভিজাত মা এবং তার বোনেদের সাথে একই হোটেলে উঠেছিল। ছেলেটির সাথে যদিও তার কোনও কথা হয় না, তিনি তার প্রতি অত্যন্ত আকৃষ্ট বোধ করেন। সেই আকর্ষণের চরিত্র অত্যন্ত আবেগময়, যা তাকে ভিতরে ভিতরে কুরে কুরে খেতে থাকে। ইতিমধ্যে ভেনিসে কলেরা রোগ মহামারী রূপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে; আশেনবাখও তাতে আক্রান্ত হন ও শেষপর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটে।

শুধুমাত্র ঘটনাবলী দিয়ে গল্পটির বাস্তবে কিছুই প্রকাশ পায় না। এখানে বিষয়বস্তুর মূল বিচরণক্ষেত্র কেন্দ্রীয় চরিত্র আশেনবাখের মানসিক জগৎ। সমগ্র গল্পটি বাস্তবে একটি বহুস্তরীয় আন্তর্পাঠ (intertext); এর বিষয়বস্তু - দৈহিক ভালোবাসা ও দার্শনিক জ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক যেমন একদিকে আমাদের মনে পড়িয়ে দেয় প্লাতোর সিম্পোজিয়াম, অন্যদিকে তাদের বৈপরীত্য আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয় নিৎশীয় দর্শনের এক মূলকথার - নিয়মনীতি, প্রতিরোধ, সৌষ্ঠব ও চর্চা (গ্রিক পুরাণে যার দেবতা অ্যাপোলো) আর আবেগ ও আতিশয্যর (গ্রিক পুরাণে যার দেবতা ডায়োনিসাস) চিরকালীন দ্বৈরথের সামনাসামনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Heft 10–11

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]