ভুটানের রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয়
འབྲུག་རྒྱལ་འཛིན་གཙུག་ལག་སློབ་སྡེ་ | |
ধরন | সরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ২০০৩ |
আচার্য | তার মহিমা রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক |
উপাচার্য | ডাশো নিডুপ দর্জি |
অবস্থান | , |
সংক্ষিপ্ত নাম | RUB |
ওয়েবসাইট | http://www.rub.edu.bt/ |
ভুটানের রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয় (জংখা: འབྲུག་རྒྱལ་འཛིན་གཙུག་ལག་སློབ་སྡེ་; উচ্চারণ: 'ব্রাগ র্গ্যাল-'ড্জিন গ্টস্যাগ-ল্যাগ-স্লৈব-স্ডে; বাংলা: ভুটানের রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয়)[১] হলো ২০০৩ সালের ২ জুন তারিখে এক রাজকীয় নির্দেশনার আলোকে প্রতিষ্ঠিত ভুটানের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পদ্ধতির উচ্চ শিক্ষা তদারককারী প্রতিষ্ঠান, যেটি মূলতঃ সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকে।
অধিভূূূূক্তি
[সম্পাদনা]ভুটানের তৎকালীন তৃতীয় পর্যায়ের উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রটিকে একত্রিত করে ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আটটি সাংবিধানিক কলেজ এবং একটি অনুমোদিত কলেজের[২] বিকেন্দ্রিককৃত বিশ্ববিদ্যালয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকারের ভিত্তি ছিল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ন্যায়সঙ্গত সমভাবে সমমানে বিকাশ সাধন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূূক্ত কলেজগুলি হলোঃ
- কলেজ অব ন্যাচারাল রিসোর্স (CNR), ল্বসে, পুনাখা;[৩]
- কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (CST), রিন্চ্যান্ডিং, ফুয়েন্টসলিং;[৪]
- গেদু কলেজ অব বিজনেস স্টাডিজ (GCBS), গেদু, চ্যুখা;[৫]
- কলেজ অব ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কালচারাল স্টাডিজ (CLCS), ত্যাক্ত্সে, ত্রোগ্সা।[৬] স্থাপনের পর এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা পাঁচ শতাধিক হয়ে গেলে এটিকে তাক্ত্সের ত্রংসা জেলার জংখাগ এলাকায় স্থানান্তরি করা হয়। সিএলসিএস-এর অন্যতম প্রধান কাজ হলো ভুটানের জাতীয় ভাষা জংখা ভাষার সংরক্ষণ ও বিস্তরণে কার্যকর পদক্ষেেপ নেয়া।
- জিগমে নামগেেল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (JNEC), দেওয়াথাং, স্মাড্রুপ জংখার;[৭]
- পারো কলেজ অব এডুকেশন (PCE), পারো;[৮]
- রয়্যাল থিম্পু কলেজ (RTC), ন্গ্যাবিপু, থিম্পু (অনুমোদিত কলেজ)[৯]
- স্যাম্ত্সে কলেজ অব এডুকেশন (SCE), স্যাম্ত্সে[১০] এবং
- শ্রেব্তশে কলেজ, কাংলুং, ত্রাশিগ্যাং।[১১]
বিশ্ববিদ্যালয়টি কানাডার দ্যা ইউনিভার্সিটি অব নিউ ব্রান্সউইক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্পা ইউনিভার্সিটি এবং দ্যা স্কুল ফর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং, অস্ট্রিয়ার সল্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের দ্যা ইউনিভার্সিটি অব দিল্লী, বাংলাদেশের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)[১২] প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থী বিনিময় এবং শিক্ষার্থী ও অনুষদ সদস্যদের জন্যে প্রশিক্ষণ ও হাতে-কলমে শিখণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা জন্য যোগাাযোগ স্থাপণ ও চুক্তি সম্পাদন করেছে।
ভুটানের মহামাণ্য রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এর আচার্য্য। ডাশো পেমা থিন্লে এর উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করেন।
থিম্পুতে অবস্থিত দ্যা সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজ (সিবিএস) এর স্বায়ত্ত্বশাসিত অবস্থা বজায় রেখে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান হিসাবেই মূলতঃ প্রতিষ্ঠিত।
পঠিত বিষয়াবলী
[সম্পাদনা]ভুটানের রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার অধিভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে মোট আটটি বিশদ পাঠ্যসূচীভূক্ত বিষয়াবলী নিয়ে পাঠদান করে থাকে। এগুলো হলোঃ
- শিক্ষক শিখন,
- ব্যবসায় এবং ব্যবস্থাপনা,
- প্রকৌশল এবং ভৌত বিজ্ঞান,
- কম্পিউটিং এবং তথ্যপ্রযুুক্তি বিজ্ঞঞান,
- জৈব বিজ্ঞান ও কৃষি,
- স্বাস্থ্য বিজ্ঞান,
- মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং
- জংখা ভাষা ও সাহিত্য।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃৃপক্ষের পরিকল্পনা রয়েছে অধিভূক্ত কলেজগুলিতে কলা ও চিত্রণ, গণমাধ্যম, ভুটানের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, কাউন্সেলিং, বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা প্রভৃৃৃৃতি বিষয়েও শিখন কার্যক্রম চালু করার।
বেশিরভাগ শিখন কার্যক্রমই পূর্ণ-কালীন, যদিও শিক্ষা সংক্রান্ত দুইটি কলেজ, শ্রেব্তশে কলেজ এবং কলেজ অব ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কালচারাল স্টাডিজে খন্ড-কালীন এবং দূর-শিক্ষণ পদ্ধতিতেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এখান থেকে বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট, স্নাতক ডিগ্রি ও স্নাতক-সম্মান ডিগ্রি দেয়া হয়।
প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]উপাচার্য্যের কার্যালয়টি মূলতঃ শিক্ষষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং তদারকির কাজটি করে থাকে; অপর দিকে প্রতিটি কলেজ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম দেখা-শোনা করে। থিম্পুর মোথিথ্যাং-এ অবস্থিত উপাচার্য্য কার্যালয়টি গড়ে উঠেছে রেজিস্টার বিভাগ, একাডেমিক বিষয়, পরিকল্পনা ও সম্পদ বিভাগ এবং গবেষণা ও বহিঃ সম্পর্ক বিভাগের সমন্বয়ে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Admission into Tertiary Education Programmes for 2011 Academic Year" (PDF)। Royal University of Bhutan। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-১১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Member Colleges"। Royal University of Bhutan। ২০১০-০২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- ↑ "College of Natural Resources"। ২০১১-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- ↑ "College of Science and Technology"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- ↑ "Gaeddu College of Business Studies"। ২০১১-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- ↑ "College of Language and Culture Studies"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Jigme Namgyel Polytechnic"। জুলাই ৩১, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Paro College of Education"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- ↑ "Royal Thimphu College"। ২০১৫-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০৭।
- ↑ "Samtse College of Education"। জুলাই ১৬, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Sherubtse College"। ২০১২-০৪-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- ↑ "বাংলাদেশ-ভুটান কানেক্টিভিটিতে বাণিজ্য বাড়বে"। দৈনিক কালেরকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- "Royal University of Bhutan"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।
- "A Cyber Joint for Royal University of Bhutan Alumni"। ২০১১-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৫।