ভজহরি মাহাতো

ভজহরি মাহাতো
লোকসভার সাংসদ
কাজের মেয়াদ ১৯৫২ – ১৯৫৭
পূর্বসূরী	আসন প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরী	আসন অবলুপ্ত
সংসদীয় এলাকা	মানভূম দক্ষিণের সহিত ডালভূম
কাজের মেয়াদ ১৯৬২ – ১৯৭২
পূর্বসূরী	বিভূতিভূষণ দাশগুপ্ত
উত্তরসূরী	দেবেন্দ্রনাথ মাহাতো
সংসদীয় এলাকা	পুরুলিয়া
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	১৯১১
মৃত্যু	২০০৩
রাজনৈতিক দল	লোকসেবক সঙ্ঘ

ভজহরি মাহাতো (১৯১১ – ২০০৩) ভারতের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি লোকসেবক সঙ্ঘের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি তিনবার লোকসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

ভজহরি মাহাতো ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইন অমান্য আন্দোলন ও আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাকে ব্রিটিশ আমলে কারান্তরীণ করা হয় ও তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে, ১৯৪৬ সালে তিনি মুক্তি পান।

স্বাধীনতা পরবর্তী জীবন

লোকসেবক সঙ্ঘ গঠিত হবার পর ভজহরি মাহাতো ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে দলটিতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৫২ সালে তৎকালীন মানভূম দক্ষিণের সহিত ধলভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে লোকসেবক সঙ্ঘের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে, তিনি ১৯৬২ ও ১৯৬৭ সালে পুরুলিয়া থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।

মানভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনে অবদান

ভজহরি মাহাতো মানভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি লোকসভায় মানভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। তিনি সে সময়ে টুসু গান রচনা করেছিলেন। তিনি "শুন বিহারী ভাই, তোরা রাইখতে লারবি ডাং দেখাই" শিরোনামের টুসু গানটি রচনা করেছিলেন। সে সময়ে তাকে বিহার সরকার কারান্তরীণ করেছিল।

ব্যক্তিগত জীবন

ভজহরি মাহাতো ১৯২৬ সালে শান্ত দেবীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র ও দুই কন্যা ছিল।

প্রয়াণ

ভজহরি মাহাতো ২০০৩ সালে প্রয়াত হন।