ব্যবহারকারী আলাপ:Mohd. Mamun Chy

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে[সম্পাদনা]

"সুপারবাগ" কি? সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে

সামান্য সর্দি-কাঁশি কিংবা ঠান্ডা-জ্বর হলেই মানুষ ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খায়। চিকিৎসকের পরামর্শও নেয় না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এভাবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে যে একটু একটু করে মারাত্মক বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অনেকেই বুঝতে পারে না। তবে গবেষণার ফলাফল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এভাবে নিজের ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে শরীরে তৈরি হচ্ছে ‘সুপারবাগস’।

যখন-তখন ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে নিতে শরীরে তৈরি হচ্ছে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। এটাই ডেকে আনছে আগামী দিনের গুরুতর বিপদ। এই অকারণ ও অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে বাড়ে শরীরের মেদ। সেই সঙ্গে শরীরে সুপারবাগসের উপস্থিতি সমস্যায় ফেলছে রোগী ও চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে এমন একটা সময় আসবে, যখন অধিকাংশ সুপারবাগের সঙ্গে লড়াই করার মতো কোনো ওষুধই পাওয়া যাবে না। ফলে বহু রোগের চিকিৎসা মিলবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুর পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, যখন-তখন নিজের ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে মানুষ গুরুতর অসুখের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঘন ঘন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে শরীর নিজের মধ্যেই সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাই দিনের পর দিন সেই ওষুধ নেওয়ার কারণে একটা সময়ের পর তা আর শরীরে কাজ করে না। কারণ শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ওষুধের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। হয়ে ওঠে আরো শক্তিশালী। অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন সেই সব জীবাণুকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘সুপারবাগস’।

ভারতীয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শঙ্কর দাসের মতে, এমন অবস্থা যে সাধারণ ভাইরাল ফিভারও সারছে না সহজে। কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্রান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হলো, কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ভালো খাওয়া-দাওয়া ও পরিমিত ব্যায়াম করে এবং নিয়ম মেনে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ান। তাতে রোগ যেমন কম হবে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। Mohd. Mamun Chy (আলাপ) ১৮:২৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

লক্ষ্য করুন[সম্পাদনা]

সুধী, উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। অনুগ্রহ করে পরিক্ষামূলক সম্পাদনা খেলাঘর-এ করুন এবং ব্যযাক্তিগত তথ্য ব্যবহারকারী পৃষ্ঠায় যোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।--মাসুম-আল-হাসান (আলাপ) ০৪:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কেমন পারিশ্রমিক ক্রিকেটারদের[সম্পাদনা]

ঘরোয়া ক্রিকেটে কেমন পারিশ্রমিক ক্রিকেটারদের

মঙ্গলবার সুদীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান দাবি করেছেন, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বারবার বলেছেন, ক্রিকেটারদের জন্য কতকিছু করেছেন তিনি। কিন্তু তার সব কথাই ছিল জাতীয় দল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটারদের ঘিরে। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোর চিত্র ভীষণ নাজুক।

ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির একটি ছিল জাতীয় দলের জন্য চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ও বেতন বাড়ানো। সেই দাবিটির কথা এসেছে ৬ নম্বরে। ক্রিকেটারদের দাবির বড় অংশ জুড়ে আছে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারিশ্রমিক ও অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, অবকাঠামোর উন্নয়ন ও সর্বোপরি দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি বদলের তাগিদ।

গত ১০ অক্টোবর শুরু হয়েছে এই মৌসুমের জাতীয় লিগ। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগে জানানো হয়, এবার পারিশ্রমিক বাড়ানো হচ্ছে না। অথচ কিছু দিন আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, “ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য টাকা-পয়সা কোনো সমস্যা নয়।”

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টে খেলা হয় দুটি স্তরে। প্রথম স্তরের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ৩৫ হাজার। দ্বিতীয় স্তরে ২৫ হাজার। তুমুল সমালোচনার পর সেটি বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ হাজার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন বিসিবি প্রধান। কিন্তু এই অঙ্কও কি যথেষ্ট?

আরেকটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আছে দেশে, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। ম্যাচ ফি সেখানে ৪০ হাজার টাকা। যথারীতি সমালোচনার পর সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক একটি টুর্নামেন্টের ম্যাচ ফি এত কম কেন, সেই প্রশ্নও উঠে আসছে প্রতি বছরই। জাতীয় লিগে সব ম্যাচে একাদশে থাকলেও একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ খেলতে পারেন ৬ ম্যাচ। বিসিএলে কখনও সর্বোচ্চ ৩ ম্যাচ, কখনও ৬ ম্যাচ। সব ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের আয়ও তাই খুব বেশি হয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ ক্রিকেটারদের বাইরে বড় অংশের একটা ক্রিকেটার সব ম্যাচ খেলতেও পারেন না। উল্লেখ্য, আয় থেকে আবার ২০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয় ক্রিকেটারদের।

দেশের প্রথম ও প্রধান প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে চার দিনের ম্যাচের জন্য এই পারিশ্রমিক যথেষ্ট অপ্রতুল বলেই মনে করেন ক্রিকেটাররা। তাদের দাবি, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করার।

বিসিবি প্রধান বলেছেন, “যথেষ্ট দিচ্ছি, আর কত দেব?”

২০১২ সালে সেই সময়ের বিসিবি প্রধান আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথমবারের মতো দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের চুক্তির আওতায় আনেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তিনটি গ্রেডে চুক্তিতে রাখা হয় ক্রিকেটারদের। ‘এ’ গ্রেডের মাসিক বেতন ছিল তখন ২৫ হাজার টাকা, ‘বি’ গ্রেডে ২০ হাজার টাকা ও ‘সি’ গ্রেডে ১৫ হাজার টাকা।

শুরুতে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছিলেন ১০৫ জন। নাজমুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বোর্ড সেই সংখ্যা নামিয়ে এনেছে ৭৯ জনে। আর এই লম্বা সময়ে পারিশ্রমিক বেড়েছে নামমাত্র। ‘এ’ গ্রেডের ক্রিকেটাররা এখন পান ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা, ‘বি’ গ্রেডে ২৩ হাজার টাকা ও ‘সি’ গ্রেডে ১৭ হাজার ২৫০ টাকা।

ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে ক্রিকেটারদের আয় সাকুল্যে এই।

আরও দুটি খাত অবশ্য আছে। তবে সেখানে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক সময়ই বেশি!

জাতীয় লিগে ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ১৫০০ টাকা। ১১ দফায় ক্রিকেটারদের দাবি, “যে ফিটনেস দাবি করছে বোর্ড, তাতে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ভালো হোটেলে থাকতে হবে। যেখানে খাবার ও যে কোনো জিনিসের দাম বেশি। সেটা বিবেচনা করে যে পরিমাণ ভাতা ঠিক করলে ভালো হয়, সেটি যেন করা হয়।”

ভ্রমণ ভাতা কেবল ২ হাজার ৫০০ টাকা। এটি নিয়ে ক্রিকেটারদের দাবি, “যে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাবে খেলতে, তার তো বাসে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই! এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন ক্রিকেটাররা বিমান ভাড়া পায়। আর কোনো ভ্রমণ ভাতা দরকার নেই। বিমানের টিকেট বিভাগ করুক বা যে করুক, আমাদের আপত্তি নেই।”

বাসে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে অনেকটা সময় চলে যায়। অথচ জাতীয় লিগের ম্যাচগুলির মাঝে বিরতি কেবল তিন দিন। অনেকটা সময় চলে যায় রিকভারি করতে, অনুশীলনের সময় মেলে অল্পই। সামর্থ্য আছে যাদের, তাদের অনেকে নিজ খরচে বিমানে ভ্রমণ করেন।

প্রথম শ্রেণিতে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের সংখ্যা কমানো, অপ্রতুল টাকা-পয়সা নিয়ে বোর্ড সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে বেশ দৃষ্টিকটু ভঙ্গিমায় বলেছেন, “২০০-৩০০ ক্রিকেটারকে বেতন দেব নাকি!” প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের নিয়ে আরেকটি প্রশ্নে বলেছেন, “খেলা পারে না… বাজে খেলে, দেব না টাকা।”

যদিও ক্রিকেট বোর্ডের টাকা বোর্ড সভাপতি বা কারও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আসে না। বাংলাদেশ সরকার থেকেও কোনো সাহায্য প্রয়োজন হয় না। জনগণের আয়করের টাকায় ক্রিকেটারদের বেতন হয় বা বোর্ড চলে, এই ধরনের ভুল কথা অনেকেই বলে থাকেন অনেক সময়। ক্রিকেট বোর্ড স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, সব আয় ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মাধ্যমেই।

বোর্ডের আয়ের বড় একটি অংশ আসে আইসিসি রাজস্ব থেকে। আইসিসির বর্তমান চক্রে বিসিবি পাচ্ছে ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্টের লাভ থেকে আসে অর্থ।

বিসিবির আয়ের আরেকটি বড় খাত, টিভি সত্ত্ব। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টিভি সত্ত্ব পেয়েছে গাজী টিভি। এই খাতের আয় আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও এই ৬ বছরের জন্য সেটি ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি নিশ্চিতভাবেই।

এছাড়াও ডিজিটাল রাইটস, টিম স্পন্সর, বিভিন্ন টুর্নামেন্টের স্পন্সর, স্টেডিয়ামের ভেতরে দেয়ালে-গ্যালারিতে-সাইটস্ক্রিন-বাউন্ডারি সীমানায় বিজ্ঞাপন, সবকিছু থেকে আসে মোটা অঙ্কের অর্থ। সব আয়ই তাই ক্রিকেটের মাধ্যমেই আসে। ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটাররা প্রতি বছর মোটা অঙ্কের আয়কর দেয়। বেতন-ভাতা থেকে আয়কর কেটে রাখা হয় আগেই। ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত এন্ডোর্সমেন্ট থেকে আয়কর দেওয়াও নিশ্চিত করে ক্রিকেট বোর্ড।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিতদের আয় স্বাভাবিকভাবেই ঘরোয়া ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি। তবে সেটিও অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম।

বিসিবির বর্তমান কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুযায়ী শীর্ষ গ্রেডের ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ৪ লাখ টাকা। এই গ্রেডে আছেন কেবল দেশের ৫ সিনিয়র ক্রিকেটার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ।

‘এ’ গ্রেডে বেতন তিন লাখ টাকা। এখানে আছে কেবল তিন জন, ইমরুল কায়েস, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।

২ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের ‘বি’ ক্যাটেগরিতে আছেন মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস ও তাইজুল ইসলাম। আর ‘রুকি’ ক্যাটেগরিতে আছে ৫ জন, যেখানে পারিশ্রমিক ১ লাখ টাকা।

ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া তো বহুদূর, শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের তুলনায়ও এই পারিশ্রমিক খুবই সামান্য।

তাছাড়া দেশের মোট ক্রিকেটারের সামান্য একটি অংশই এই চুক্তিতে আছে। বাকিদের আর্থির সুরক্ষার অবস্থা তাই নাজুক। এই কেন্দ্রীয় চুক্তিও স্থায়ী কিছু নয়। নবায়ন হয় প্রতি বছর। অনেকেই বাদ পড়েন বা ঢোকেন বা ক্যাটেগরিতে উন্নতি-অবনতি হয়। ক্যারিয়ার তাই ঝুঁকিতে থাকে সবসময়।

এই ঝুঁকিরও একটি মূল্যের কথা ক্রীড়া বা পারফর্মিং আর্টে সবসময় বলা হয়। একজন খুব ভালো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার হয়তো ১০-১৫ বছর লম্বা হয়। ক্যারিয়ার শেষে জীবনের নিরাপত্তার কথা তাদের ভাবতে হয়। ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও চোট-আঘাত আসে, বাজে ফর্ম আসে প্রকৃতির নিয়মে। তখন চুক্তির বাইরে যেতে হয় অনেকের, মাঠের বাইরে থাকতে হয়। আয়ও কমতে থাকে। সবকিছু মিলিয়েই তাদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যাপারটি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড প্রধান বলেছেন, ২৪ কোটি টাকা বোনাস দেওয়া হয়েছে জাতীয় ক্রিকেটারদের। এখানেও আছে অর্ধসত্য। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য পারফরম্যান্স বোনাসের একটি সুনির্দিষ্ট অঙ্ক চুক্তিতেই উল্লেখ আছে। আর বোনাসের একটি বড় অঙ্ক এসেছে আইসিসির টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার ফি, ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে পাওয়া প্রাইজমানি থেকে। যেটি সব দেশে ক্রিকেটারদের পাওয়াই রীতি। তাছাড়াও শুধু ক্রিকেটারদের নয়, সেই বোনাস পেয়েছেন দলের কোচ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফের সবাই মিলে। ব্যক্তিগত প্রাপ্তির অঙ্কটা তাই খুব বড় নয়।

আর এটিও যথারীতি সেই জাতীয় ক্রিকেটাররাই পেয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অবস্থা তথৈবচ। ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির অনেকটাই সেই ঘরোয়া ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের নিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের বাৎসরিক বেতন সুনির্দিষ্ট নয়। যেহেতু ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মাধ্যমেই বোর্ডের আয়, এজন্য তারা বোর্ডের মোট আয়ের রাজস্বের ভাগ দাবি করে এবং পেয়েও থাকে। মজার ব্যাপার হলো, সেটি শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই নন, নির্দিষ্ট হারে রাজস্বের ভাগ পান প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররাও।

বাংলাদেশেও এবারের আন্দোলনর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের অধিকার আদায়। Mohd. Mamun Chy (আলাপ) ০৯:১২, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

তথ্য পাচার। নিজের তথ্য নিজেরাই যেভাবে পাচার করছি।[সম্পাদনা]

নিজের তথ্য নিজেরাই যেভাবে পাচার করছি

আজকাল মোটামুটি সবার হাতেই স্মার্টফোন আছে। হোক সেটা দামি কিংবা কম দামি। এই দাম অবশ্য নিজের তথ্য নিজের হাতে অন্যের কাছে পাচার করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখে না। দাম যেমনই হোক, আপনি এই স্মার্টফোন দিয়েই নিজের বড় সর্বনাশটা করছেন। নিজের নাম-পরিচয়, ছবি, পছন্দ, ভৌগোলিক অবস্থান, ব্যাংক হিসাব লেনদেনের তথ্য, ঠিকানা; অর্থাৎ যাপিত জীবনের বড় অংশের কথা নীরবে অন্যকে জানিয়ে দিচ্ছেন।

মনে হতে পারে, কীভাবে? আমি তো কখনো কাউকে কোনো তথ্য জানাইনি। আপনি এক অর্থে ঠিক। কারণ আপনি কাউকে যেচে পড়ে তথ্য দিয়ে আসেননি। প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে ফ্রিতে কিছু সুবিধা দেওয়ার নামে তথ্যগুলো নিয়ে নিচ্ছে। উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে বিষয়টি।

এই সময়ে ফেসবুক ব্যবহার করেন না, এমন মানুষের সংখ্যা বেশ কম। আপনি কি জানেন, গুগলের প্লে স্টোর থেকে যখন ফেসবুক অ্যাপটি নামান, তখন কতগুলো তথ্য তাদের দিয়ে দেন? এই অ্যাপ দেওয়ার বিনিময়ে ফেসবুক আপনার ডিভাইস ও অ্যাপের যাবতীয় তথ্য, আপনার পরিচয়, আপনার ফোনে থাকা নম্বর, নিজের ভৌগোলিক অবস্থান, ক্যামেরা ও মিডিয়ায় থাকা ছবি-ভিডিও-ফাইলের তথ্য, কোন ডিভাইস থেকে কোথায় কাকে কল করেছেন, এমনকি বাসায় যে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেছেন তাতে প্রবেশাধিকার চায়। আপনি কিন্তু এত কিছু পড়ে দেখেন না। নিচে যে ‘অ্যাকসেপ্ট’ বা সম্মতি দেওয়ার বাটন আছে, দ্রুত সেটাতে চাপ দিয়ে ফেসবুক ডাউনলোড করে মনের আনন্দে ব্যবহার করতে শুরু করেন।

ফেসবুকের মতো যতগুলো অ্যাপ আপনি ব্যবহার করেন, ততগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনি আপনার তথ্য দিয়ে দিয়েছেন। আপনি কি মনে করতে পারেন জীবনে কতবার এই ‘অ্যাকসেপ্ট’ বা ‘আমি সম্মত’ বাটনে চাপ দিয়েছেন? মনে করতে পারেন না। তবে যতবার স্মার্টফোনের বাটনে চাপ দিয়ে অ্যাপ নামিয়েছেন, ততবার আপনার একান্ত গোপন তথ্য পাচার করেছেন। আপনার স্মার্টফোনের কোনো তথ্যই আর আপনার কাছে রাখতে পারেননি। শুধু তা-ই নয়, কোনো কোনো অ্যাপ ফেলে দেওয়ার পরও আপনার তথ্যগুলো তাদের কাছে থেকে যায়।

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপ নামানোর সময় শর্তগুলো পড়ে দেখেন না। ফলে বেহাত হয়ে যাওয়া তথ্য থেকে যদি কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হয়, সেটার জন্য আসলে ব্যবহারকারী নিজেই দায়ী। এ ছাড়া কোনো সফটওয়্যার নামানো, কোথাও নিবন্ধন করা বা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন্স’ লেখা শর্তগুলো বেশির ভাগ গ্রাহকই পড়ে দেখেন না।

আপনি একটি স্মার্টফোন নিয়ে ঘুরছেন মানে আপনার ভৌগোলিক অবস্থান অ্যাপ সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছেন। প্রায়ই দেখবেন, আপনি কোনো রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া সেরে বের হওয়ার পর সেটা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জানতে চেয়ে বার্তা আসছে। একটু বিস্মিতই হন। কারণ, আপনি হয়তো সেখানে গিয়ে চেক-ইন দেননি বা কিংবা ফেসবুকে কোনো পোস্টও দেননি। তাহলে কীভাবে এটা হয়? আপনি নিজেই এটার ব্যবস্থা করেছেন, ভৌগোলিক অবস্থান জানার সম্মতি দিয়ে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য মতে, গত আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার। একই সময় পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার। তাদের মধ্যে ৯ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অর্থাৎ, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের ফোনে একাধিক অ্যাপ আছে। আর এসব অ্যাপ সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে এই বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের গোপনীয় সব তথ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বেচ্ছায় তুলে দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন হলো, অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য পাচার কীভাবে রোধ করা যায়। কারণ, অ্যাপ তো আমাদের ব্যবহার করতেই হয়। এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সাইজেন্টার বিশেষজ্ঞ জেসিকা বার্কার বিবিসি অনলাইনকে বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটা ইঁদুর-বিড়াল দৌড়ের মতো। এটা চলতেই থাকে। নিরাপত্তায় দুর্বলতা ধরা পড়ে। সেটা সারাতে কাজ হয়। আবার নতুন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়, সে সমস্যারও সমাধান করা হয়। এভাবেই কাজটা এগিয়ে যায়। কেউই বলতে পারবেন না যে নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই, এমন ডিভাইস তারা তৈরি করতে পেরেছেন। তবে তিনি কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন—অ্যাপ ও অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করা, ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ ও সেবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, কোনো অ্যাকাউন্টে লগইন করার ক্ষেত্রে দুই ধাপের নিরাপত্তা পদ্ধতি অনুসরণ করা, যখন-তখন যেকোনো লিংকে ক্লিক না করা।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে অসচেতনতা আছে। আমরা কোথায়, কীভাবে তথ্য দিচ্ছি; সে ব্যাপারে আমাদের সচেতনতা নেই। আবার আমাদের সচেতন করার জন্য সরকারের তরফ থেকেও কোনো উদ্যোগ নেই। এমনকি সরকার নিজেও নাগরিকদের তথ্যের সুরক্ষার ব্যাপারে মনোযোগী নয় কিংবা উদাসীন।

উন্নত বিশ্বে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কঠোর আইন আছে। আছে সেই আইনের প্রয়োগও। ব্যক্তিগত তথ্য কে ব্যবহার করতে পারবে, কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে তার শাস্তি কী হবে, সেটি স্পষ্ট করা আছে। উদাহরণ হিসেবে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শুনানির মুখোমুখি করার কথা বলা যায়।

২০১৮ সালের অন্যতম বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি ছিল যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কেলেঙ্কারির ঘটনা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফেসবুক থেকে তারা প্রায় ৯ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য অনৈতিকভাবে সংগ্রহ করেছে। এ তথ্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে অ্যানালিটিকা। এ তথ্য প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের এপ্রিলে মার্ক জাকারবার্গকে কংগ্রেসের শুনানিতে অংশ নিতে হয়। একই বিষয়ে চলতি মাসের শেষের দিকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের আর্থিক সেবাবিষয়ক কমিটিতে আবার জেরার মুখে পড়েন জাকারবার্গ। একইভাবে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইকে গত বছরের ডিসেম্বরে ভোক্তার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর সুরক্ষা বিষয়ে কংগ্রেস শুনানির মুখোমুখি হতে হয়। গুগলের হাতে ব্যক্তির তথ্য মোটেও নিরাপদ নয়, এমন বহু উদাহরণ দিয়ে তাঁকে তুলোধুনো করা হয়।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফায়ারআইয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ব্রেস বোল্যান্ড বলেন, অ্যাপ বানানোর ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের আরও মনোযোগী হতে হবে। কারণ, তথ্য হাতিয়ে তা থেকে ফায়দা আদায়ের উদ্দেশ্য না থাকলে অ্যাপের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে এত বেশি তথ্য আদায়ের কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া এটা হ্যাকারদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়, যা ঝুঁকিতে ফেলে গ্রাহকদের। বিশেষ করে বিমানবন্দর, শপিং মল বা রেস্তোরাঁর ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে হ্যাকারদের খপ্পরে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। এখান থেকে হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারেন ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পাসওয়ার্ডসহ অতি গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য।

এই বিশেষজ্ঞ সবচেয়ে বেশি জোর দেন ব্যক্তির সচেতনতার ওপর। কারণ, ব্যক্তি সচেতন হলে এতসব শর্ত মেনে এবং তথ্য অন্যের হাতে তুলে দিয়ে অ্যাপ নামাবেন না। অ্যাপ নামানোর হার কমলে প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশাধিকার চাওয়ার জায়গা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হবে। এতে সুরক্ষিত হবে ব্যক্তির তথ্য। চারপাশে জোর চাপ সৃষ্টি হলে দেশগুলো জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হবে। এভাবেই হয়তো অ্যাপ সুবিধার বিনিময়ে ব্যক্তিগত তথ্য পাচার বন্ধ হবে। তবে আপাতত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবা বেশি জরুরি। Mohd. Mamun Chy (আলাপ) ১৬:৩৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ এ কার কত মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। বিপিএলে মাশরাফিরা পাবেন ৫০ লাখ, আফ্রিদি-গেইলরা ৮৪ লাখ[সম্পাদনা]

জেনে নিন এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে কার কত মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে।

বিপিএলে মাশরাফিরা পাবেন ৫০ লাখ, আফ্রিদি-গেইলরা ৮৪ লাখ

আজ ১৬/১১/২০১৯ তারিখ শনিবার উন্মোচিত হলো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের লোগো।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল পুরোটাই দেখভাল করবে বিসিবি, সেটি আগেই জানিয়েছিল তারা। এবার বিপিএলে অংশগ্রহণকারী দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়েরা কে কত টাকা পাবেন সে তালিকাও ঘোষণা করেছে বিসিবি। দেশিদের মধ্যে এবার ৪ জন ক্রিকেটার পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা করে। আর বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা করা হয়েছে ১ লাখ ডলার। ১১ জন ক্রিকেটাররকে রাখা হয়েছে সেখানে।

সাতটি দল আগামীকাল ১৭/১১/২০১৯ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় প্লেয়ার ড্রাফটসে অংশ নেবে। যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন, প্রিমিয়ার লিগ খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, রংপুর র‍্যাঞ্জার্স, সিলেট থান্ডার্স, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স—এ সাতটি দল ৬২০ জন ক্রিকেটারের মধ্য থেকে দল সাজানোর সুযোগ পাবে।


ড্রাফটসে ১৮১ জন দেশি খেলোয়াড়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে বিসিবি। ১৮১ জনকে মোট ৬টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা পাবেন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা পাবেন ২৫ লাখ করে, ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা ১৮ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা ১২ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা ৮ লাখ ও ‘ই’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা পাবেন ৫ লাখ টাকা করে।

অনুমিতভাবেই ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন বর্তমানে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় চার নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই ৪ থেকে বেড়ে ৫ হতো, যদি না নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে মাঠের বাইরে থাকতেন সাকিব আল হাসান।


‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন ৯ জন ক্রিকেটার। মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হক—এরা প্রত্যেকে পাবেন ২৫ লাখ টাকা করে।

পরবর্তী ক্যাটাগরি ‘বি’তে আছেন ২৪ জন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন, এনামুল হক বিজয়, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ, তাসকিন আহমেদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, শফিউল ইসলাম, নুরুল হাসান। এই ক্যাটাগরির প্রত্যেকে পাবেন ১৮ লাখ টাকা।

১২ লাখ টাকার ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ৪১ জন ক্রিকেটার। ভারত সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আলো ছড়ানো ওপেনার নাইম শেখ আছেন এই ক্যাটাগরিতে। এ ছাড়া আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, ইবাদত হোসেনসহ আরও অনেকে।

সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে। ৮ লাখ টাকার এই ক্যাটাগরিতে আছেন ৫৯ জন ক্রিকেটার। আর সর্বশেষ ক্যাটাগরি ‘ই’তে আছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ জন ক্রিকেটার।

দেশিদের মতো বিদেশি ক্রিকেটারদের ভাগ করা হয়েছে ৫টি ক্যাটাগরিতে। মোট ৪৩৯ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এই তালিকায়। সর্বোচ্চ মূল্যের ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে আছেন ১১ জন বিদেশি ক্রিকেটার। এই ১১ জনের প্রত্যেকে পাবেন ১ লাখ ডলার করে। এখানে আছেন শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নবী, শোয়েব মালিক, রাইলি রুশো, গেইল ও ডোয়াইন স্মিথরা। এ ছাড়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারেরা পাবেন ৭০ হাজার ডলার, ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারেরা ৫০ হাজার ডলার, ‘সি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারেরা ৩০ হাজার ডলার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারেরা পাবেন ২০ হাজার ডলার। তালিকায় সর্বোচ্চ ৯৫ জন খেলোয়াড় আছেন ইংল্যান্ডের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৯ জন পাকিস্তানের। তালিকায় আছেন ৩ জন ভারতীয় খেলোয়াড়ও। Mohd. Mamun Chy (আলাপ) ১৯:০৭, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

২০১৯-২০ জাতীয় ক্রিকেট লীগ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ।[সম্পাদনা]

২০১৯-২০ জাতীয় ক্রিকেট লীগ মৌসুমের প্রথম স্তরে রেকর্ড গড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজ্জাক-সোহানের খুলনা বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। জাতীয় লিগে প্রথমবার সেরা রাজ্জাক-তাইবুর।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আব্দুর রাজ্জাকের সাফল্যের ধারে কাছে নেই বাংলাদেশের কোনো বোলার। দুই দশকের ক্যারিয়ারে গত এক দশকে তার ধারাবাহিকতা অসাধারণ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সেই আব্দুর রাজ্জাক জাতীয় লিগের শীর্ষ উইকেট শিকারী হলেন এই প্রথমবার। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক নিয়মিত পারফরমার তাইবুর রহমান প্রথমবার হলেন সর্বোচ্চ রান স্কোরার।

এবার জাতীয় লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি রাজ্জাক। ৫ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। তবু অনেকটা এগিয়ে থেকে এবারের আসরের সফলতম বোলার অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি এই মৌসুমেই।

এর আগে ২০১২-১৩ জাতীয় লিগে ৫ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক। কিন্তু সেবার ৭ ম্যাচে ৪৪ উইকেট নিয়ে সেরা হয়েছিলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। ২০১৪-১৫ জাতীয় লিগে ৭ ম্যাচে রাজ্জাক নিয়েছিলেন ৪১ উইকেট। সেবার সমান ম্যাচে ৪২ উইকেট নিয়ে সেরা হয়েছিলেন ইলিয়াস সানি।


ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, ২০০৩-০৪ জাতীয় লিগে ১০ ম্যাচে ৪৪ উইকেট ছিল রাজ্জাকের। সেবার ৯ ম্যাচে ৬৩ উইকেট নিয়ে সেরা হয়েছিলেন রাজশাহীর স্পিনার শরিফউল্লাহ খান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রাজ্জাকের ক্যারিয়ারের এটি বলা যায় দ্বিতীয় ধাপ। ২০০১ -০২ থেকে ২০১০-১১ পর্যন্ত প্রথম ১০ মৌসুমে তার উইকেট ছিল ১৫৯টি। ২০১১-১২ থেকে এই মৌসুমের এখন পর্যন্ত ৯ মৌসুমে নিলেন ৪৫৩ উইকেট!

গত জাতীয় লিগে ৪ ম্যাচে মাত্র ৯ উইকেট নিতে পেরেছিলেন রাজ্জাক। সেখান থেকে এবার ফিরে এলেন প্রবল পরাক্রমে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জাতীয় লিগের চেয়ে অবশ্য বিসিএলেই বেশি সফল ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আরেকটি সফল অধ্যায় যোগ হলো এই জাতীয় লিগ দিয়ে।

এবারের লিগে উইকেট শিকারীদের তালিকায় দুইয়ে থাকা নামটি বেশ চমক জাগানিয়া। প্রথমত, তিনি একজন পেসার। দ্বিতীয়ত, দেশের ক্রিকেটে খুব পরিচিত নাম নন। চট্টগ্রামের পেসার ইফরান হোসেন ১৯ উইকেট নিয়েছেন ৪ ম্যাচেই। ২৩ বছর বয়সী ইফরান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রেখেছেন গত মৌসুমে।

তাইবুর দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে খেলছেন বছর দশেক ধরে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০১১ সালে। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও তিনি মোটামুটি ধারাবাহিক পারফরমার। তবে রানের তালিকায় সবার ওপরে থাকার স্বাদ আগে কখনও পাননি।


৬ ম্যাচে এবার ৫৮.১১ গড়ে ৫২৩ রান করেছেন তাইবুর। ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জাতীয় লিগে আগের সেরা ছিল ২০১৬-১৭ মৌসুমে করা ৪৬৬ রান। রানের তালিকায় তাইবুরের পরে আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক নিয়মিত পারফরমার এনামুল হক। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো না করলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে নাসির হোসেন জায়গা করে নিয়েছেন চার নম্বরে।

ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে দারুণ ধারাবাহিক দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলাম ও তুষার ইমরানের ভালো কাটেনি এবারের জাতীয় লিগ। নাঈম অবশ্য তার পরও আছেন পাঁচ নম্বরে। তবে তার গড় (৪০.৫০) ও ধারাবাহিকতা খুব ভালো ছিল না।

গত তিন মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করা তুষার এবার ছিলেন বিবর্ণ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান ৩৩.৮৭ গড়ে ২৭১ রান করে আছেন তালিকার ১৯ নম্বরে।

বোলারদের তালিকায় সেরা পাঁচে আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাম তাসকিন আহমেদ। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন লিগের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ৯ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন। তবে পরের ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭ উইকেট।


উইকেট শিকারীদের তালিকায় তাসকিন যৌথভাবে আছেন তিনে। ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে তার সফলতম মৌসুম হয়ে গেছে এতেই। দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন সিলেটের তরুণ পেসার রিয়াজুর রহমান রাজাও বেশ চমক দেখিয়েছেন ১৭ উইকেট নিয়ে।

ফিল্ডিংয়ে এবার সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক, ১২টি। ৯টি ক্যাচ নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল করা কিপার জাবিদ হোসেন। ৬ ম্যাচে ২২ ডিসমিসাল তার। ৫ ম্যাচ ১৫ ডিসমিসাল করে দুইয়ে নুরুল হাসান সোহান।

জাতীয় লিগের আরও টুকিটাকি:

  • সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস সাইফ হাসানের অপরাজিত ২২০, ঢাকা বিভাগের হয়ে রংপুরের বিপক্ষে । ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন আর কেবল ইমরুল কায়েস।
  • দুটি করে সেঞ্চুরি করেছেন মার্শাল আইয়ুব, শামসুর রহমান, এনামুল হক ও তাইবুর রহমান।
  • কমপক্ষে ৫ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় মার্শাল আইয়ুবের, ৮৩.৫০।
  • সর্বোচ্চ ৪৯ চার মেরেছেন নাসির হোসেন ও পিনাক ঘোষ। সোহরাওয়ার্দী শুভ মেরেছেন ৪৩টি। সবচেয়ে বেশি ২১ ছক্কা মেরেছেন এনামুল হক, ১৫টি নুরুল হাসান সোহান।
  • ইনিংসে সেরা বোলিং করেছেন সিলেটের পেসার রুহেল মিয়া, চট্টগ্রামের বিপক্ষে নিয়েছে ২৬ রানে ৮ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা এটিই।
  • ওই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে রুহেল ৬৫ রানে নেন ১৩ উইকেট। এবারের লিগে এক ম্যাচে সেরা বোলিং। ম্যাচে ১০ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন আর কেবল রাজ্জাক, ১৪০ রানে ১২ উইকেট।
  • কমপক্ষে ৮০ ওভার বোলিং করেছেন যারা, তাদের সধ্যে সেরা গড় ফরহাদ রেজার ১৫.২১। একই মানদণ্ডে সেরা স্ট্রাইক রেট তাসকিন আহমেদের, প্রতি ৩৫.৫ বলে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
  • ইনিংসে ৫ উইকেট একাধিকবার নিয়েছেন রুহেল, রাজ্জাক, আরাফাত সানি ও ইফরান হোসেন।
  • ইনিংসে ৫টি করে ডিসমিসাল করেছেন কেবল দুই কিপার, জাবিদ ও সোহান।
  • ডাবল সেঞ্চুরি জুটি হয়নি একটিও। সর্বোচ্চ ১৯০ রানের জুটি তাইবুর রহমান ও শুভাগত হোমের, ঢাকা বিভাগের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে।

<a href="https://3.bp.blogspot.com/-epz4wZmTY2E/XdQ2XAwr4-I/AAAAAAAAaVE/CRhaxr-IbCcMjDEUH8XUprh3emQ2bOGDACNcBGAsYHQ/s1600/Screenshot_2019-11-20-00-33-34-68.png" imageanchor="1" ><img border="0" src="https://3.bp.blogspot.com/-epz4wZmTY2E/XdQ2XAwr4-I/AAAAAAAAaVE/CRhaxr-IbCcMjDEUH8XUprh3emQ2bOGDACNcBGAsYHQ/s320/Screenshot_2019-11-20-00-33-34-68.png" width="218" height="320" data-original-width="1044" data-original-height="1535" /></a>

<a href="https://3.bp.blogspot.com/-x8j0a8G_dt0/XdQ2N773TTI/AAAAAAAAaVA/aDVsUawo0w8nE90nNitrlv6VQQbCLWAmACNcBGAsYHQ/s1600/Screenshot_2019-11-20-00-33-59-01.png" imageanchor="1" ><img border="0" src="https://3.bp.blogspot.com/-x8j0a8G_dt0/XdQ2N773TTI/AAAAAAAAaVA/aDVsUawo0w8nE90nNitrlv6VQQbCLWAmACNcBGAsYHQ/s320/Screenshot_2019-11-20-00-33-59-01.png" width="243" height="320" data-original-width="977" data-original-height="1287" /></a> Mohd. Mamun Chy (আলাপ) ১৮:৫১, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন