ব্যবহারকারী আলাপ:Mohammad Iqbal Hossain IP

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

ডিসেম্বর 2018[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম। উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আপনার অংশগ্রহনকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা দুঃখিত যে উইকিপিডিয়াতে কোনো ধরনের মৌলিক গবেষণা অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই। আর মৌলিক গবেষণা বলতে এমন সকল তথ্যকেও বুঝানো হচ্ছে যা কোনো প্রকাশিত উৎস থেকে সংগ্রহ করে এমন অর্থে প্রকাশ করা হচ্ছে যা মূল নিবন্ধে বুঝানো হয়নি। অনুগ্রহ করে আপনার সংযোজিত তথ্যের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। ধন্যবাদ। ~ যুদ্ধমন্ত্রী আলাপ ০৮:২৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

কারামতে গাউসুল আযম[সম্পাদনা]

১২ বৎসর পর নৌকাসহ বরযাত্রীদের পূনঃ জীবন লাভ।

তাফসীরে নাঈমীর গ্রন্থকার সূরা আনয়াম ৯৯ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে বলেনঃ 

"বাগদাদের এক বিধবা মহিলা তার একমাত্র পুত্র সন্তান সাইয়েদ কবির উদ্দিন ওরফে শাহ্ দৌলা-কে বিবাহের জন্য বরযাত্রী সহ নৌকায় প্রেরণ করেন৷ ফিরতি পথে প্রবল তুফানে নৌকা নদীতে ডুবে যায় এবং বরযাত্রী সহ মহিলার পুত্র ও পুত্রবধু ডুবে মারা যায় ৷ মহিলা পুত্রও পুত্রবধুর শোকে বিলাপ করতে থাকে এবং নদীর কিনারে বসে পাগলিনীর মত কাঁদতে থাকে ৷ এভাবে ১২বৎসর কেটে যায় ৷ একদিন হযরত বড়পীর জাবদুল কাদের জিলানী ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ মহিলার করুণ কাহিনী শুনে গাউসে পাকের হৃদয় বিগলিত হয়ে যায় ৷ তিনি আল্লাহর দরবারে মহিলার পুত্র ও পুত্রবধুসহ বরযাত্রীদের পুনজীবনের জন্য দোয়া করেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে উক্ত নৌকা বরযাত্রী সহ পানির উপরে তেসে উঠে ৷ পুত্র ও পুত্রবধূকে ফিরে পেয়ে মহিলা খোদার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন ৷ কিছু দিন পর উক্ত মহিলা মৃত্যু বরণ করলে পুত্র শাহদৌলা আপন বিবিকে নিয়ে গাউসে পাকের দরবারে হাজির হন এবং স্থায়ীভাবে গাউসে পাকের বাড়ীতে খাদেম হয়ে অবস্থান করতে থাকেন। একদিন রাত্রে তাহাজ্জুদের সময় পাউসে পাক অজু করার সময় শাহ্দৌলা স্বেচ্ছায় অজুর পানি ঢালুতে থাকেন৷ পা ধোয়ার পর পা হতে গড়িয়ে পরা ৫ ফৌটা পানি তিনি তাবারুক হিসাবে পান করে ফেলেন ৷ এটি শরিয়তে বৈধ ৷ নবী করিম ওজুর পানি সাহাবাগণ তাবারুক হিসাবে মাথায়, মুখে ও বুকে মালিশ করতেন বলে হাদীসে প্রমাণ আছে৷ শাহদৌলার গাউসে পাক দোয়া করলেন- প্রতি ফোঁটা পানির বরকতে যেন আল্লাহ্ তাঁকে ১০০ বৎসর হায়াত বাড়িয়ে দেন ৷ আল্লাহর দরবারে এ দোয়া কবুল হলো ৷ গাউসে পাকের ইনতিকালের (৫৬১ হিজরী) ৫০০ বৎসর পর উক্ত শাহদৌলা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে অবশেষে পাঞ্জাবের গুজরাটে এসে ইন্তিকাল করেন ১০৬১ হিজরীতে ৷ তাঁর মাজার এখনও গুজরাটে বিদ্যমান আছে ৷ তাফসীরে নাঈমীর প্রণেত৷ মুফ্তী আহমদ ইয়ার খান সাহেব তাঁর মাজার জেয়ারত করেছেন বলে তাফসীরে উল্লেখ করেছেন ৷ Mohammad Iqbal Hossain IP (আলাপ) ১৬:১২, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবী মধ্যে পার্থক্য কি?[সম্পাদনা]

🔻প্রশ্ন ০১: আমাদের দেশে কিছু বাতিল ফেরকা আছে যাদের নিয়ে সব সময় মিলাদুন্নবী নিয়ে ঝগড়া হয়, অর্থাৎ তারা বলে যে মিলাদুন্নৰী করার প্রয়োজন নেই সিরাতুন্নবী করলে হয়৷ তাই আমি জানতে চাই, মিলাদুনন্নবী আর সিরাতুন্নবী এর মধ্যে আসল সমস্যাটা কী? দলিল সহকারে জানালে উপকৃত হব।


✔উত্তর : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহ তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত এক সম্পূর্ণ শরীয়তসম্মত অশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত ও অনুষ্ঠান৷ যা বিশ্বজগতের প্রাণ রহমাতুল্লিল আলামীন হুজুর পুরনূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমনকে উপলক্ষ করে উদযাপন করা হয়৷ মিলাদুন্নরী উদযাপন করা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ৷ পাশাপাশি হাদীস, ইজমা, ইত্যাদি দ্বারা প্রমাণিত৷ পক্ষান্তরে সিরাতুন্নবী কাকে বলে? এর মৌলিকতা যথার্থতা ইত্যাদি গবেষণা অবশ্যই প্রয়োজন! এ পর্যায়ে সর্বজন সমাদৃত ব্যক্তিত্ব শায়খুল হাদীস ওয়াল ফিকহ ওয়াত তাফসীর আল্পামা সৈয়দ মুফতী আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বারকাতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র মতে-

অর্থাৎ: সীরাত শব্দটি একবচন, তার বহুবচন সিয়র৷ আভিধানিক অর্থ পদ্ধতি, ভাল হোক কিংবা মন্দ হোক৷ আর পারিভাষিক অর্থে কাফির, বিদ্রোহী, ধর্মবিরোধী এবং মুরতাদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ বিগ্রহ বা মোকাবেলার নাম সীরাত৷ ইমাম ইবনে ছম্মাম বলেন- ফিকহবিদদের পরিভাষায় কাফিরদের সাথে যুদ্ধ জিহাদ করার ক্ষেত্রে শরীয়তের যে সমন্ত কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় তার নামই সীরাত৷ আল কিফায়া নামক কিতাবে রয়েছে- সিয়ারুন্নবী বা সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবীর যুদ্ধ জীবনের জন্য সীমিত৷ আর সীয়র শব্দটি এসেছে সা-ইরুন থেকে যার অর্থ সফর করা ভ্রমণ করা ইত্যাদি৷ সুতরাং যুদ্ধকে সিয়র এ জন্য বলা হয়, যেহেতু যুদ্ধ করার জন্য প্রথমে যুদ্ধের ময়দানে সফর করতে হয়৷

ইমাম নাসাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- জিহাদের কর্মপদ্ধতির নাম হল সীরাত আর হন্ধের কর্মপদ্ধতির নাম মানাসিক৷ ♎কাওয়ায়েদুল ফিকহ, ৩৩১ পৃষ্ঠা, কৃত: মুফতী আমীমুল ইহসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি৷

উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সীরাতুন্নবী নবীজির জাহেরী-বাতেনী বিশাল জীবনের সীমিত একটা অংশমাত্র৷ আর মীলাদুন্নবী হলো ব্যাপক: যাতে নবীজির নূরী জগতের আদি সৃষ্টি হতে শুরু করে নূরানী জগতে লক্ষ লক্ষ বৎসর বিচরণ, দুনিয়ার বুকে শুভাগমন ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্তীয় আধ্যাত্মিক কর্মময় জীবনের নবুয়তের এলান, দ্বীনের দাওয়াত মুজিযাসহ নবীজির জীবনে বিশাল অঙ্গণ নিয়ে বহুমুখি আলোচনার নামই হলো মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম৷ সাধারণত: সীরাত শব্দের অর্থ- চরিত্র, অভ্যাস, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি৷ কিন্তু সীরাত শব্দটি যখন নবীর দিকে সম্বোধন করা হয়, তখন নবীজির যুদ্ধ জীবন বা নবুয়ত প্রকাশের পরবর্তী তেইশ বৎসর জীবনের কথাই বুঝানো হয়৷ দুঃখজনক হলেও সত্য সম্প্রতি একটি কুচক্রি মহল মিলাদুন্নৰীর বিশাল আয়োজন আর বর্ণাচ্য অনুষ্ঠান থেকে সাধারণ মুসলমান তথা নবীপ্ৰেমিকদের দূরে সরিয়ে রাখার অপকৌশল হিসেবে সীরাতুন্নবী মাহফিল এর অবতারণা করেছে৷ উদ্দেশ্য কেবল মিলাদুন্নবীর বিরোধিতা করা৷ তদুপরি মাহে রবিউল আউয়াল প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ধরা বুকে শুভাগমনের মাস হিসেবে এ মাসে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করাটাই যথার্থ ও যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বে ইসলামী স্কলারগণ বিশেষত পবিত্র রবিউল আউয়ালে মিলাদুন্নৰী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপন করে আসছেন৷ যা শরীয়তের আলোকে মুস্তাহাব এবং অনেক অনেক কল্যাণকর৷ Mohammad Iqbal Hossain IP (আলাপ) ০২:০৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৃষ্টি কিভাবে?[সম্পাদনা]

❓ প্রশ্ন-04: রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের সৃষ্টি না কি স্বামী-স্ত্রীর দ্বারা যেভাবে বীর্ষ হতে সৃষ্টি হয় সেভাবে সৃষ্টি ? এ ব্যাপারে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণ করলে উপকৃত হবো ৷

📖 উত্তর : রসূলে পাক সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্পাম নূরের সৃষ্টি ৷ আঠার হাজার মাখলূকাত সৃষ্টির আগেই মহান আল্লাহ তাঁর হাবীব ও নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন এবং নূর মোবারক থেকেই সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে হযরত জাবের রদিয়াল্লাহ্ আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস শরীফ প্রণিধানযোগ্য ৷ তিনি নবীজির দরবারে আরজ করলেন- ইয়া রসৃলাল্লাহ, আমাদের দয়া করে বলুন, আল্লাহ কোন জিনিসটি সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছিলেন? উত্তরে তিনি ইরশাদ করলেন- "আল্পাহ তায়ালা সর্বপ্রথম তোমার নবীর নূরকেই সৃষ্টি করেছেন ৷ যখন চন্দ্র, সূর্য, আসমান, যমীন, আরশ , কুরসী, বেহেশত, দোষখ কিছুই ছিল না ।"

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে- অর্থাৎ-"আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের নিকট এসেছে মহান নূর এবং স্পষ্ট কিতাব ।সুরা মায়েদা] এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে জালালাঈনসহ অধিকাংশ তাফসীর শাস্তে 'নূর' বলতে নবীয়ে আকরম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম'কে বুঝানো হয়েছে ৷ এছাড়া কোরআন হাদীসের অসংখ্য দলিল ও প্রমাণ রয়েছে যে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্পাম এর হাকীকত নূরের সৃষ্টি ৷ জাহেরীভাবে মাতা-পিতার মাধ্যমে ধরাবুকে প্রিয় রসূলুল্তাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্পাম এর শুভাগমন হওয়া নূর হওয়ার অন্তরায় নয় ৷ বরং এটা আল্লাহর কুদরতের কৌশল ও সুন্নাত | এটা দ্বার আদম জাতির মর্যাদা অধিকতর বৃদ্ধি করা হয়েছে ৷ তার অর্থ এই নয় যে, তিনি আমাদের মত সাধারণ মানব ৷ এই জাতীয় বিভ্রান্তিকর ধারণার বিন্দুমাত্র অবকাশ নাই ৷ কারণ, তা প্রিয় রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে চরম কটুক্তি ও বেয়াদবি; স্পষ্ট কুফুরীর নামান্তর ৷ বরং তিনি অতুলনীয় ও অসাধারণ নূরানী মানব এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহর প্রিয় রসূল ৷ এটাই প্রকৃত ঈমানদারের আকীদা ও বিশ্বাস ৷ আল্পাহ্ সবাইকে মহানবী সাল্পাল্পাহ আলাইহি ওয়াসাল্পাম এর শান-মান, মর্যাদা বুঝার তাওফীক দান করুন। আমীন ।

✒.মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন Mohammad Iqbal Hossain IP (আলাপ) ০৬:১৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]