বৈষ্ণব চরণ দাস বাবাজী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বৈষ্ণব চরণ দাস বাবাজী একজন গৌড়ীয় বৈষ্ণব গুরু ছিলেন। তিনি বর্ণ অনুসারে একজন বৈদ্য ছিলেন। তাঁর জন্মনাম ছিল গোকুলানন্দ সেন । তাঁর শ্রীপাট (মন্দিরের আবাস) ছিল আধুনিক কাটোয়ার ঝামতপুর থেকে প্রায় ছয় মাইল দূরে তেনা বৈদ্যপুরায়। তিনি ১৭১৮-১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে পদকল্পতরু সংকলন করেন। তিনি মহা-বন্দনা - এর ভূমিকাও লিখেছেন।

তিনি শ্রীনিবাস আচার্যের বংশধর রাধামোহন ঠাকুরের শিষ্য ছিলেন। তাঁর নিজের শিষ্যদের মধ্যে কৃষ্ণ দাস বাবাজিও ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন এবং তেনার চপ বা "ঢপ" নামে পরিচিত ঐতিহ্যকে জনপ্রিয় করেছিলেন।

তিনি উদ্ধব দাস (কৃষ্ণকান্ত মজুমদার) নামে এক বৈষ্ণব কবির বন্ধু ছিলেন।

১৭০৮ খ্রিস্টাব্দে (১১১৫) বাংলায় অনুষ্ঠিত বিতর্কে বৈষ্ণব চরণ দাস উপস্থিত ছিলেন যেখানে স্বকীয়া বা পরকীয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ( যথাক্রমে দ্বারকায় তাঁর স্ত্রীদের সাথে কৃষ্ণের প্রেম এবং বৃন্দাবনে অবিবাহিত গোপীদের সাথে প্রেম) আলোচনা করা হয়েছিল।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]