বেগম ঐজাজ রসুল
বেগম ঐজাজ রসুল | |
---|---|
ভারতের সংবিধান সভার সদস্যা | |
কাজের মেয়াদ ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৬ – ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বেগম সাহেবা কুদসিয়া ২ এপ্রিল ১৯০৯ লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১ আগস্ট ২০০১ লখনউ, উত্তরপ্রদেশ, ভারত | (বয়স ৯২)
পেশা | রাজনীতিবিদ, লেখিকা, সমাজকর্মী |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ (২০০০) |
বেগম কুদসিয়া ঐজাজ রসুল (৪ এপ্রিল ১৯০৮ - ১ আগস্ট ২০০১) ভারতের সংবিধান সভার একমাত্র মুসলিম নারীসদস্য যিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিলেন।[১] এর পাশাপাশি তিনি একজন লেখিকাও ছিলেন ।
পরিবার
[সম্পাদনা]১৯০৯ সালের ২রা এপ্রিল বেগম রসুল স্যার জুলফিকার আলী খান এবং মাহমুদা সুলতানা দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল কুদসিয়া বেগম। তাঁর পিতা স্যার জুলফিকার পাঞ্জাবের মালেরকোটলা শাসকপরিবারের একটি জ্ঞাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাঁর মা মাহমুদা সুলতান ছিলেন লোহারুর নবাব আলাউদ্দিন আহমেদ খানের কন্যা।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইন কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে তিনি অসংরক্ষিত আসন থেকে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি এর সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলের ডেপুটি প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ১৯৫০ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পরিষদে বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা এবং বিশ্বের প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। পারিবারিক পটভূমি থাকা সত্ত্বেও তিনি জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পক্ষে তাঁর দৃঢ় সমর্থন জাহির করেছিলেন। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে ভোটারদের পৃথক করার দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।
ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষকতা
[সম্পাদনা]তিনি ২০ বছর যাবত ভারতীয় মহিলা হকি ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং এশিয়ান মহিলা হকি ফেডারেশনেরও সভাপতি ছিলেন। তাঁর নামে ভারতীয় মহিলা হকি কাপের নামকরণ করা হয়েছে ।
লেখালেখি
[সম্পাদনা]১৯৫৩ সালে বেগম রসুল জাপানে প্রেরিত প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা প্রতিনিধি এবং ১৯৫৫ সালে তুরস্কে প্রেরিত ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। তিনি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। তিনি থ্রি উইক্স ইন জাপান (Three Weeks in Japan) শিরোনামে একটি বই লিখেছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে লেখালেখি করতেন। তাঁর লেখা আত্মজীবনীর শিরোনাম হলো পর্দা থেকে সংসদ: ভারতীয় রাজনীতিতে একজন মুসলিম মহিলা (Purdah to Parliament: A Muslim Woman in Indian Politics)। [২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ George, Christina (২০১৮-০২-১৪)। "Begum Aizaz Rasul: The only Muslim woman to oppose minority reservations in the Constituent Assembly"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৬।
- ↑ "LOK SABHA: SYNOPSIS OF DEBATES"। parliamentofindia.nic.in। ২৪ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৭।