বীনা কাক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বীনা কাক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1954-02-15) ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ (বয়স ৭০)
ভরতপুর, রাজস্থান, ভারত
রাজনৈতিক দলকংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীভরত কাক (তালাকপ্রাপ্ত)
ধর্মহিন্দু

বীনা কাক (জন্ম: ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বীনা কাক ১৯৫৪ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারতের রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাব ড. এম. আর. ভাসিন একজন সরকারী চিকিৎসক। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের ছয় সন্তানের মধ্যে একজন। জন্মগতভাবে তাঁর নাম বীনা ভাসিন ছিল। তাঁর তিন ভাই ও দুই বোন রয়েছে। তাঁর ভাইয়েরা হলেন ড. বি. বি. ভাসিন (যিনি যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক), বি. বি. ভাসিন (যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার) এবং ২০০৪ সালে প্রয়াত কর্নেল ইন্দ্র ভূষণ। তাঁর বোনরা হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত স্কুলের একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা কুসুম সুরি এবং লেখিকা ও নারীবাদী কর্মী কমলা ভাসিন।[১]

কাক ১৯৭৮ সালে উদয়পুরের হোম সায়েন্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং তারপরে গুজরাতের বড়োদরার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছিলেন। তারপরে তিনি ভরত কাকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি (ভরত কাক) যোধপুরের কাশ্মীরি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যার ফলে তিনি যোধপুর এবং উদয়পুর রাজ পরিবারের কাছ থেকে জাগির (জমি) পেয়েছিলেন। এই পরিবারটি ৩০০ বছর আগে কাশ্মীর থেকে চলে এসেছিল। তাঁদের বিবাহটি তাঁর ভাইয়ের ব্যবস্থাপনায় ঘটিত দেখাশোনার বিবাহ ছিল। পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

রাজনৈতিক পেশা[সম্পাদনা]

কাকের প্রাক্তন স্বামী ভরত কাক রাজস্থানে বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাঁর পরিবার (যিনি মূলত কাশ্মীরের বাসিন্দা) দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রাজস্থানের (পালি জেলায়) রানি শহরে বাস করছেন এবং নেহেরু পরিবারের (যাঁরা রাজস্থানে বসবাসকারী আরেকটি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার ছিলেন) সাথে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ রয়েছে। ১৮০০-এর শতকের শেষের দিকে, নেহেরুরা এলাহাবাদ হাইকোর্টে আইন প্রয়োগের জন্য মতিলাল নেহেরু এলাহাবাদে চলে আসার আগে রাজস্থানে বাস করতেন। ভরত কাককে বিয়ে করার পরে, বীনা কাক ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সদস্য হিসাবে ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে, রাজনীতিতে এবং নতুন কংগ্রেস পার্টিতে 'নতুন রক্ত' আনার জন্য রাজীব গান্ধীর বহুল প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, কোটা জেলার ছোট্ট গ্রামগুলোর (যেখানে বীনা তাঁর শৈশবকাল কাটিয়েছেন) সরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বীনা একজন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে শুরু করেছিলেন। একই সাথে তাঁর শাশুড়িকে তিনি কৃষিতে সাহায্য করতেন। তিনি প্রথম নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পালির যুব কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে উঠেছিলেন। তারপরে তিনি জেলার মহিলা কংগ্রেস সভাপতি হন। তাঁর কাজটি রাজ্য নেতৃত্ব, বিশেষত বিষ্ণু মোদী এবং গৌরী পুনিয়া লক্ষ্য করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে মুলচাঁদের পক্ষেও তিনি জোর প্রচার করেছিলেন।

পরিবেশবিদ ও লেখক[সম্পাদনা]

২০১১ সালে বনমন্ত্রী হিসাবে এক তীব্র পরিবেশবাদী বীনা কাক কুম্ভলগড় অভয়ারণ্যটিকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে রূপান্তরিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।[২] ২০১৩ সালে, রনথম্বোর ও সরিস্কারের পরে মুকান্দারা পাহাড়কে তৃতীয় টাইগার রিজার্ভ হিসাবে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বীনা কাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বীনা কাক সম্প্রতি রনথম্বোরের সাইলেন্ট সেন্টিনেলস নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন, যা বন্য ও তার ছোট এবং বড় প্রাণীর প্রতি ভালবাসা এবং আবেগের ফলস্বরূপ।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kamla Bhasin
  2. "Kumbhalgarh sanctuary to be converted into national park" 
  3. "Salman Khan launches Bina Kak's book Silent Sentinels Of Ranthambhore"Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]