মুহাম্মাদ নফসে যাকিয়্যা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা খাত্তাব হাসান (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:৪৭, ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল ("Muhammad al-Nafs al-Zakiyya" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান মুসান্না ইবনে হাসান মুজতবা ইবনে আলী ইবনে আবু তালিব[১] বা মুহাম্মাদ নফসে যাকিয়্যা (আরবি: محمد بن عبد الله بن الحسن بن الحسن بن علي الملقَّب النفس الزكية بن علي الملقب النفس 'শুদ্ধ আত্মা'), মুসলমানদের নবী মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমার বংশধর ছিলেন। তিনি তার নেতৃত্বের যোগ্যতা,, বাগ্মী দক্ষতা, আন্তরিক আচরণের জন্য সুপরিচিত। তিনি দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলীফা আল মনসুরের বিরুদ্ধে মদিনায় আলীয় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। তবে তার এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। তিনি আর তার সামান্য কয়েকশ সৈন্য আব্বাসীয় বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হন। আব্বাসীয়দের নেতৃত্বে ছিল ইসা ইবনে মুসা। তিনি ৬ই ডিসেম্বর ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে (১৪৫ হিজরি) নিহত হন।

জীবন

প্রথমদিকে তিনি উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যখন বনু হাশিম তাকে আবওয়াতে আনুগত্যের শপথ করেছিল। তাদের মধ্যে ছিল, ইবরাহিম, আস-সাফাহ আর আল মানসুর। কিন্তু খুব দ্রুতই আব্বাসীয় শাসন প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছিল। তাই যারা তার প্রতি আনুগত্যের কথা বলেছিল, তারা তাকে ত্যাগ করেছিল। পরবর্তীতে আলাওয়ীদের একটি দল তার আনুগত্য করে।[২]

ব্যক্তিত্ব

মুহাম্মাদকে পুরো খিলাফতের অনেক লোকই তার বংশীয় গৌরবের কারণে খিলাফতের অধিক যোগ্যতর ব্যক্তি মনে করতেন। নবীর সাথে তার বংশীয় সম্পর্কের কারণে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা তাকে হুমকি মনে করত, তাই তিনি অনেক বছর ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। গোপনে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি এভাবে একটি বৃহদাকারের সেনাবাহিনী তৈরি করে মদিনা দখল করেন। কিন্তু তার সেনাবাহিনী ছিল উচ্ছৃঙ্খল। তিনি ১৪৫ হিজরীতে মদিনা ত্যাগ করে মক্কাইয়েমেন দখল করেন। কিন্তু এর কয়েক মাস পরেই মদিনায় নিহত হন।[২]

৭৬২-৭৬৩ সালে বিদ্রোহ

দ্রব্যসামগ্রীর জন্য অন্যান্য প্রদেশের উপর নির্ভরশীলতার কারণে মদিনা যেকোনো বড় বিদ্রোহের জন্য সুবিধাজনক অঞ্চল ছিলনা। আর তাছাড়া খলিফার সুশৃঙ্খল রাজকীয় সৈন্যদলের সাথে তার ভক্তদের উচ্ছৃঙ্খল বাহিনীর কোনো তুলনাই ছিল না। আব্বাসীয় সৈন্যরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও নফসে যাকিয়্যা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করেন। তিনি কয়েক দশক আগে শহরকে সুরক্ষিত করতে নবী কর্তৃক খন্দকের যুদ্ধের জন্য কৃত ঐতিহাসিক পরিখা ব্যবহার করে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।

বংশ

 

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

 

  1. "Imam Reza (A.S.) Network"www.imamreza.net 
  2. Firaq al-Shi’ah (The Shi'ah Groups), by Abu Muhammad al-Hasan bin Musa al-Nubakhti, pg.62, and Al-Maqalat wa al-Firaq, by Sa'ad Ibn Abdillah al-Ash'ari al-Qummi (d. 301), pg.76
  3. Elad, Amikam (২০১৫)। The Rebellion of Muhammad Al-Nafs Al-Zakiyya in 145/762: Talibis and Early Abbsis in Conflict। পৃষ্ঠা 2। 
  4. Ibn Sa'd, Muḥammad; Bewley, Aisha (২০০০)। The Men of Madina, Volume 2। পৃষ্ঠা 197। 
  5. Ibn Sa'd, Muḥammad; Bewley, Aisha (১৯৯৫)। The Women of Madina। পৃষ্ঠা 298। 
  6. Al-Tabari, Muhammad ibn Jarir; Landau-Tasseron, Ella (১৯৯৮)। The History of al-Tabari, Volume XXXIX: Biographies of the Prophet's Companions and their Successors। পৃষ্ঠা 76। 
  7. Al-Tabari, Muhammad ibn Jarir; Williams, John Alden (১৯৯৫)। The History of al-Tabari, Volume XXVIII: Abbasid Authority Affirmed। পৃষ্ঠা 95। 
  8. Walbridge, Linda S. (২০০১)। The Most Learned of the Shi'a: The Institution of the Marja' Taqlid। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 9780195343939 
  9. van Gelder, Geert (২০০৫)। Close Relationships: Incest and Inbreeding in Classical Arabic Literature। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 9781850438557