পুণ্ড্র রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পুন্ড্র রাজ্য-কে পুণ্ড্র রাজ্য-এ সরানো হয়েছে: বানান সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
:''এই নিবন্ধটি ভারতীয় মহাকাব্যে উল্লিখিত পৌণ্ড্র রাজ্য সম্পর্কে। ঐতিহাসিক রাজ্যটি সম্পর্কে জানতে দেখুন [[পুণ্ড্রবর্ধন]]।''
'''পুণ্ড্র''' ভারতীয় মহাকাব্যগুলিতে বর্ণিত একটি পৌরাণিক রাজ্যের নাম। এই রাজ্যটি '''পৌণ্ড্র''', '''পৌণ্ড্রয়''' বা '''পুর্ণিয়া''' নামেও পরিচিত। বর্তমান [[ভারত|ভারতের]] পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য [[বিহার|বিহারের]] পুর্ণিয়া অঞ্চল, [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[উত্তরবঙ্গ (পশ্চিমবঙ্গ)|উত্তরবঙ্গ]] অঞ্চল ও [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] উত্তরাঞ্চল পৌণ্ড্র রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। জনৈক পৌণ্ড্ররাজা নিজেকে "পৌণ্ড্রক বাসুদেব" ঘোষণা করে [[কৃষ্ণ|বাসুদেব কৃষ্ণকে]] যুদ্ধে আহ্বান করেছিলেন। [[অঙ্গ রাজ্য|অঙ্গ]], [[বঙ্গ রাজ্য|বঙ্গ]], [[কলিঙ্গ]], পৌণ্ড্র ও [[সুহ্ম]] - এই পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতারা একই বংশের সন্তান ছিলেন।
'''পুণ্ড্র''' ভারতীয় মহাকাব্যগুলিতে বর্ণিত একটি পৌরাণিক রাজ্যের নাম। এই রাজ্যটি '''পৌণ্ড্র''', '''পৌণ্ড্রয়''' বা '''পুর্ণিয়া''' নামেও পরিচিত। বর্তমান [[ভারত|ভারতের]] পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য [[বিহার|বিহারের]] পুর্ণিয়া অঞ্চল, [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[উত্তরবঙ্গ (পশ্চিমবঙ্গ)|উত্তরবঙ্গ]] অঞ্চল ও [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] উত্তরাঞ্চল পৌণ্ড্র রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। জনৈক পৌণ্ড্ররাজা নিজেকে "পৌণ্ড্রক বাসুদেব" ঘোষণা করে [[কৃষ্ণ|বাসুদেব কৃষ্ণকে]] যুদ্ধে আহ্বান করেছিলেন। [[অঙ্গ রাজ্য|অঙ্গ]], [[বঙ্গ রাজ্য|বঙ্গ]], [[কলিঙ্গ]], পৌণ্ড্র ও [[সুহ্ম]] - এই পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতারা একই বংশের সন্তান ছিলেন।



০৯:৪০, ১ মার্চ ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই নিবন্ধটি ভারতীয় মহাকাব্যে উল্লিখিত পৌণ্ড্র রাজ্য সম্পর্কে। ঐতিহাসিক রাজ্যটি সম্পর্কে জানতে দেখুন পুণ্ড্রবর্ধন

পুণ্ড্র ভারতীয় মহাকাব্যগুলিতে বর্ণিত একটি পৌরাণিক রাজ্যের নাম। এই রাজ্যটি পৌণ্ড্র, পৌণ্ড্রয় বা পুর্ণিয়া নামেও পরিচিত। বর্তমান ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের পুর্ণিয়া অঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ অঞ্চল ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পৌণ্ড্র রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। জনৈক পৌণ্ড্ররাজা নিজেকে "পৌণ্ড্রক বাসুদেব" ঘোষণা করে বাসুদেব কৃষ্ণকে যুদ্ধে আহ্বান করেছিলেন। অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পৌণ্ড্র ও সুহ্ম - এই পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতারা একই বংশের সন্তান ছিলেন।

মহাভারতের তথ্যসূত্র

পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যর প্রতিষ্ঠাতারা একই পূর্বপুরুষের বংশধর যেগুলো হলো অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পুন্ড্র এবং সুহমাস।তারা একই রাজার সন্তান যিনি হলেন বালি, গৌতামা দির্ঘাতামাস নামের একজন জ্ঞানীর সন্তান যিনি গিরিভ্রাজা শহরের কাছের একটি শহর মগধে বাস করতেন। পুন্ড্রকে ( যাকে পাউন্ড্রাও বলে) ভারত বর্ষের একটি রাজ্য বলা যায়।

পুন্ড্রের অবেদীয় সংস্কৃতি

যেসব লোকজন মাতস্যা রাজ্যের অধিবাসী নন তারা বলেন যে পুন্ড্র ও কিরাটার লোকজন ক্ষত্রিয় যাদের ব্রাক্ষ্ণণদের মতো উপাসনা এবং ধর্ম ছিল, কিন্তু তাদের কোন সংযোগ ছিল না ব্রাক্ষ্ণণদের সাথে দীর্ঘদিন।তাই শুদ্রদের মতো অবস্থায় নেমে আসে এবং এইভাবে তারা ভুলে যায় মানুকে যিনি ছিলেন এই বিশ্বের প্রথম জেলে যিনি বিধাতা বিষ্ণুকে উদ্ধার করেন পানি থেকে । পুন্ড্রারা এবং কিরাটিরা, যাভানারা এবং সিনহালারা, এবং খাসার ও চিভুকার বর্বর উপজাতিরা এবং পুলিন্দ এবং কেরালার সাথে চীনারা এবং হুনাস, এবং অনেক অন্যান্য মলেক্কাসরাদের কথা উল্লেখ আছে মলেছছাসে যা জ্ঞানী ভাসিসশঠার সাথে সম্পর্কীত।মেকালারা, দ্রাবিড়রা,লাথাসরা,পুন্ডরা (যাদের নেতা ছিলেন অরুনা রায়), কোনোয়াসিরা এবং অন্যান্য অনেক ক্ষত্রিয় উপজাতিরা এই শুদ্র জাতের মর্যাদায় নেমে এসেছিল(১৩:৩৫)। যাভানাস্রা,কিরাটীরা, গান্ধারভাসরা, চীনারা, সাভারাসরা, বারবারাসরা,সাকাসরা, তুশাসরা,কাস্কাসরা,পাথাভাসরা,অ্যাধ্রাসরা,ম্যাড্রাকাসরা, পাউন্ড্রাসরা,পুলিন্দরা,রামাথাসরা, কাম্ভোজাসরা , এদের সবাইকে বেদীয় সংস্কৃতির বাইরে বলে গণ্য করা হত(১২:৬৪)।

পাউন্ড্রাকা ভাসুদেবা

পাউন্ড্রাকা ভাসুদেবা ছিলেন পুন্ড্রের রাজা।তিনি মগধের রাজা জারাসান্ধার মিত্র ছিলেন।ভাসুদেবা কৃষ্ণর সাথে তাঁর শ্ত্রুতা ছিল।তিনি কৃষ্ণর গুণাবলী নকল করতেন। তিনি পরে কৃষ্ণের কাছে একটি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নিহত হন । তিনি এক ধরনের বোকামীর মাধ্যমে আচ্ছন্ন ছিলেন যা দিয়ে তাকে কৃষ্ণ থেকে আলাদা করা যায়।ভাঙ্গা পুন্ড্র ও কিরাটার রাজার ভালো কাজের শক্তি ছিল এবং যারাও ভাসুদেবা কৃষ্ণর নামে পরিচিত ছিল এবং জারাসান্ধার পক্ষকে অবলম্বন করতেন(২:১৪) ।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পুন্ড্ররা

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পুন্ড্ররা কৌরভদের পক্ষ নিয়েছিল।অনেক যোদ্ধারা হাতিতে চড়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল যা ছিলেন পূর্বাঞ্চলীয়রা, দক্ষিণের জনগণ, অঙ্গের মানুষ, বঙ্গের মানুষ, পুন্ড্ররা,মদধরা,তাম্রলিপিকররা,মেকালারা ,কোশালাসরা,মাড্রাসরা,ডাশারনাসরা, কলিঙ্গের মানুষের সাথে নিশাডাসরাও।সাহাদেভা নামের তিনটি বর্শা বিশিষ্ট গুলি পুন্ড্রদের হাতিকে আঘাত করেছিল।[১] অর্জুনদের[২] সাথে পুন্ড্রদের যুদ্ধে পুন্ড্ররা ছিল হাজারে হাজারে,দলবদ্ধ হয়ে, এমন একটা দল গঠন করেছিল যা ছিল অগণিত এবং তারা তাদের ধারাল বর্শা পান্ডুদের সন্তানদের ওপর প্রয়োগ করেছিল।

তথসূত্র

  1. Mahabharata of Krishna Dwaipayana Vyasa, translated to English by Kisari Mohan Ganguli (8:22)
  2. Mahabharata of Krishna Dwaipayana Vyasa, translated to English by Kisari Mohan Ganguli (7:90)