আল হুরুব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
স ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
স ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৩৫ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
== প্রেক্ষাপট == |
== প্রেক্ষাপট == |
||
মুনতাসির আবদেল গাফফার আল-বদরি (আহমেদ জাকি) আল-হাজের গ্রামের একজন যুবক। সে সোহাগের সাকিলাত সেন্টারের কাজ করে। মুনতাসিরের বাবা বাজপাখির সাহায্যে শিকার করতেন এবং এ জন্য তিনি মাসের পর মাস মরুভূমিতে কাটাতেন। মুনতাসের তার বাবার কাজের প্রতি অনুরাগী ছিলেন এবং এই সত্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যে বাজপাখি সবার উপরে উড়ে যায় এবং কেবল শিকারের জন্য নিচে আসে। তাই মুনতাসের তার বাবার পেশা গ্রহণ করেনি। তার মা তার স্বামীর মৃত্যুর পরে সমস্ত শিকারের সরঞ্জাম পুড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে মুনতাসির এগুলো না পায়। তার মা তার বড় ছেলে আবদুল্লাহর জন্য বেশি গর্বিত ছিলেন, যে তার আদেশ মতো তাকে জমি চাষ করতে সাহায্য করত। |
মুনতাসির আবদেল গাফফার আল-বদরি (আহমেদ জাকি) আল-হাজের গ্রামের একজন যুবক। সে সোহাগের সাকিলাত সেন্টারের কাজ করে। মুনতাসিরের বাবা বাজপাখির সাহায্যে শিকার করতেন এবং এ জন্য তিনি মাসের পর মাস মরুভূমিতে কাটাতেন। মুনতাসের তার বাবার কাজের প্রতি অনুরাগী ছিলেন এবং এই সত্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যে বাজপাখি সবার উপরে উড়ে যায় এবং কেবল শিকারের জন্য নিচে আসে। তাই মুনতাসের তার বাবার পেশা গ্রহণ করেনি। তার মা তার স্বামীর মৃত্যুর পরে সমস্ত শিকারের সরঞ্জাম পুড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে মুনতাসির এগুলো না পায়। তার মা তার বড় ছেলে আবদুল্লাহর জন্য বেশি গর্বিত ছিলেন, যে তার আদেশ মতো তাকে জমি চাষ করতে সাহায্য করত। |
||
জীবিকার সন্ধানে মুনতাসির উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিক রপ্তানি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এই অফিসের ম্যানেজার মেদাত কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তার পকেটে এক টুকরো হ্যাশ (মাদক) রেখে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়। এ জন্য তাকে জেল খাটতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে মুনতাসির তার স্ত্রীকে রাগওয়াতের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কারণ রাগওয়াত তর স্ত্রীকে তুরস্কে পতিতা হিসেবে কাজ করতে প্রলুব্ধ করেছিল। যখন রাগওয়াত তাকে তার স্ত্রীর কাছে নিয়ে যেতে বা তাকে তার ঠিকানা দিতে অস্বীকার করে, তখন সে তাকে জোর করে বলাতে চেষ্টা করে যে সে কোথায় আছে। মুনতাসিরকে প্রতিহত করতে রাগওয়াত একটি ডেস্কে তার নিজের মাথা আঘাত করে এবং এতে সে মারা যায়। এ ঘটনায় সন্দের তীর যায় মুনতাসিরের দিকে। অন্যদিকে, মুনতাসির জেলে যাওয়ার আগে তার এক বন্ধুর কাছে কিছু টাকা রেখে গিয়েছিল। কিন্ত সেই বন্ধু টাকাটি খরচ করে ফেলে। টাকা যাতে না দিতে হয় সেই লক্ষ্যে সে মুনতাসিরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে ফোন করে। তাই রাগওয়াত হত্যার দায় থেকে বাঁচতে মুনতাসিরকে পালিয়ে যেতে হয়। মুনতাসিরের সেই বন্ধু, যে তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল, সে মেট্রোর (কায়রোর আন্ডারগ্রাউন্ড) নিচে পড়ে। এই ঘটনার দায়ও মুনতাসিরের কাঁধে চাপে এবং সে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। পলাতক হিসাবে এই দীর্ঘ যাত্রাপথে সাবাহ ছাড়া আর কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি। সাবাহ একজন নর্তকী যে পরবর্তীতে মুনতাসিরের প্রেমিকা হয়ে ওঠে। এখন, মুনতাসিরকে আটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সালেম মুনতাসিরকে জীবিত গ্রেপ্তার করতে চান, যাতে আসল রহস্য উন্মোচন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু তার সহকর্মীরা এ কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে এবং তারা মুনতাসিরকে মেরে ফেলার পক্ষে। |
|||
== কুশীলব == |
== কুশীলব == |
০১:২০, ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আল হুরুব | |
---|---|
الهروب (পলায়ন) | |
পরিচালক | আতেফ আল-তাইয়েব |
রচয়িতা | মুস্তাফা মুহাররম |
চিত্রনাট্যকার | মুহসিন নাস্র |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২২ মিনিট |
দেশ | মিশর |
ভাষা | আরবি |
আল হুরুব (আরবি: الهروب, অনুবাদ 'পলায়ন') আতেফ আল-তাইয়েব (২৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭ – ২৩ জুন ১৯৯৫) পরিচালিত একটি মিশরীয় চলচ্চিত্র। কারাগার থেকে মুক্তি প্রাপ্ত মুনতাসিরের প্রতিশোধ নেওয়া এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ার কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্রটি রচিত।[১] আল হুরুব নব্বইয়ের দশকের মিশরীয় সিনেমার একটি আইকন।[২]
প্রেক্ষাপট
মুনতাসির আবদেল গাফফার আল-বদরি (আহমেদ জাকি) আল-হাজের গ্রামের একজন যুবক। সে সোহাগের সাকিলাত সেন্টারের কাজ করে। মুনতাসিরের বাবা বাজপাখির সাহায্যে শিকার করতেন এবং এ জন্য তিনি মাসের পর মাস মরুভূমিতে কাটাতেন। মুনতাসের তার বাবার কাজের প্রতি অনুরাগী ছিলেন এবং এই সত্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যে বাজপাখি সবার উপরে উড়ে যায় এবং কেবল শিকারের জন্য নিচে আসে। তাই মুনতাসের তার বাবার পেশা গ্রহণ করেনি। তার মা তার স্বামীর মৃত্যুর পরে সমস্ত শিকারের সরঞ্জাম পুড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে মুনতাসির এগুলো না পায়। তার মা তার বড় ছেলে আবদুল্লাহর জন্য বেশি গর্বিত ছিলেন, যে তার আদেশ মতো তাকে জমি চাষ করতে সাহায্য করত।
জীবিকার সন্ধানে মুনতাসির উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিক রপ্তানি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এই অফিসের ম্যানেজার মেদাত কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তার পকেটে এক টুকরো হ্যাশ (মাদক) রেখে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়। এ জন্য তাকে জেল খাটতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে মুনতাসির তার স্ত্রীকে রাগওয়াতের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কারণ রাগওয়াত তর স্ত্রীকে তুরস্কে পতিতা হিসেবে কাজ করতে প্রলুব্ধ করেছিল। যখন রাগওয়াত তাকে তার স্ত্রীর কাছে নিয়ে যেতে বা তাকে তার ঠিকানা দিতে অস্বীকার করে, তখন সে তাকে জোর করে বলাতে চেষ্টা করে যে সে কোথায় আছে। মুনতাসিরকে প্রতিহত করতে রাগওয়াত একটি ডেস্কে তার নিজের মাথা আঘাত করে এবং এতে সে মারা যায়। এ ঘটনায় সন্দের তীর যায় মুনতাসিরের দিকে। অন্যদিকে, মুনতাসির জেলে যাওয়ার আগে তার এক বন্ধুর কাছে কিছু টাকা রেখে গিয়েছিল। কিন্ত সেই বন্ধু টাকাটি খরচ করে ফেলে। টাকা যাতে না দিতে হয় সেই লক্ষ্যে সে মুনতাসিরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে ফোন করে। তাই রাগওয়াত হত্যার দায় থেকে বাঁচতে মুনতাসিরকে পালিয়ে যেতে হয়। মুনতাসিরের সেই বন্ধু, যে তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল, সে মেট্রোর (কায়রোর আন্ডারগ্রাউন্ড) নিচে পড়ে। এই ঘটনার দায়ও মুনতাসিরের কাঁধে চাপে এবং সে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। পলাতক হিসাবে এই দীর্ঘ যাত্রাপথে সাবাহ ছাড়া আর কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি। সাবাহ একজন নর্তকী যে পরবর্তীতে মুনতাসিরের প্রেমিকা হয়ে ওঠে। এখন, মুনতাসিরকে আটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সালেম মুনতাসিরকে জীবিত গ্রেপ্তার করতে চান, যাতে আসল রহস্য উন্মোচন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু তার সহকর্মীরা এ কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে এবং তারা মুনতাসিরকে মেরে ফেলার পক্ষে।
কুশীলব
- আহমেদ জাকি: মুনতাসির আবদেল গফুর চরিত্রে
- আবদেলআজিজ মাখয়ুন: সালেম (অফিসার) চরিত্রে
- হালা সিদকী: সাবাহ (নর্তকী) চরিত্রে
- জুজু নাবিল: মুনতাসিরের মায়ের চরিত্রে
- আবু বাক্র ইজ্জত: ইসমাইল (মেজর জেনারেল) চরিত্রে
- হাসান হোসনি: সহকারি মন্ত্রী চরিত্রে
- মোহাম্মদ ওয়াফিক: ফওয়াদ আল-শার্নুবি চরিত্রে
- ইউসেফ ফাওজি: মেদাত চরিত্রে
- মাহমুদ আল-বাজাওয়ী: আব্দুল্লাহ আব্দুল গফ্ফার চরিত্রে
- আবদুল্লাহ মুশাররফ: ওমরান চরিত্রে
- লায়লা শায়ের: নাজওয়ান চরিত্রে
- আইদা ফাহমি: জাইনাব চরিত্রে
- শরীফ মুনির
- বাসসাম রাগাব: কামাল (অফিসার) চরিত্রে
- হানিম মোহাম্মদ
- সামির ওয়াহেদ: ফরিদ ইজ্জত (মুদ্রা ব্যবসায়ী) চরিত্রে
- আহমেদ আবু ওবায়া
- আহমেদ আদম: আজিজ (সাংবাদিক) চরিত্রে
- মোহাম্মদ হিন্দি: কানাওয়ি আবু ইসমাইল চরিত্রে
- মুতাওয়া ওয়াইস
- মোহাম্মদ আবু হাশিশ
- আহমেদ আবদেল আজিজ
- সালাহ আবদুল্লাহ: মাখজানজি চরিত্রে
- মফিদ আশউর
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ আল-তাইয়েব, আতেফ (১৬ এপ্রিল ১৯৯১)। "El heroob"। আইএমডিবি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "موسيقي الهروب Escape music" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২১।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আল-হুরুব (ইংরেজি)
- এল-সিনেমায় আল-হুরুব (ইংরেজি)