ফ্রিৎস হেবার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
অ বানান ও অন্যান্য সংশোধন |
||
২৪ নং লাইন: | ২৪ নং লাইন: | ||
| spouse = [[ক্লারা ইমারওয়ার]] (1901–1915; her death; 1 child)<br />ক্যারলট নাথান (1917–1927; divorced; 2 children) |
| spouse = [[ক্লারা ইমারওয়ার]] (1901–1915; her death; 1 child)<br />ক্যারলট নাথান (1917–1927; divorced; 2 children) |
||
}} |
}} |
||
'''ফ্রিৎস হেবার''' হলেন একজন [[জার্মানি]] [[রসায়নবিদ]] যিনি ১৯১৮ সালে [[রসায়নে নোবেল |
'''ফ্রিৎস হেবার''' হলেন একজন [[জার্মানি]] [[রসায়নবিদ]] যিনি ১৯১৮ সালে [[রসায়নে নোবেল পুরস্কার]] পেয়েছেন [[হেবার বস পদ্ধতি]] উদ্ভাবনের জন্য, যা [[শিল্প কারখানা|শিল্প কারখানায়]] ব্যাবহৃত হয় [[নাইট্রোজেন|নাইট্রোজেন গ্যাস]] ও [[হাইড্রোজেন |হাইড্রোজেন গ্যাস]] থেকে [[অ্যামোনিয়া]] সংশ্লেষণের জন্য।এই উদ্ভাবনটি বড় পরিসরে [[সার]] ও [[বিষ্ফোরক]] তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদনের জন্য সার উৎপাদন এই পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।[[১৯১৯]] সালে হেবার ও [[ম্যাক্স বর্ন]] যৌথভাবে [[ম্যাক্স-বর্ন চক্র]]ের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে [[আয়নিক যৌগ]]ের [[ল্যাটিস শক্তি]] বের করা যায়। |
||
হেবারকে অবশ্য [[রসায়নিক যুদ্ধ]]ের জনক বলা হয় [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] বিশেষ করে [[ঈপ্রেসের ২য় যুদ্ধ]]ের সময় [[ক্লোরিন]] ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসকে অস্ত্রায়ন নিয়ে নেতৃত্বমূলক কাজ করার জন্য। |
হেবারকে অবশ্য [[রসায়নিক যুদ্ধ]]ের জনক বলা হয় [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] বিশেষ করে [[ঈপ্রেসের ২য় যুদ্ধ]]ের সময় [[ক্লোরিন]] ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসকে অস্ত্রায়ন নিয়ে নেতৃত্বমূলক কাজ করার জন্য। |
১৯:০৭, ১১ মার্চ ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ফ্রিৎস হেবার | |
---|---|
জন্ম | ৯ ডিসেম্বর ১৮৬৮ |
মৃত্যু | ২৯ জানুয়ারি, ১৯৩৪ (৬৫ বছর) |
জাতীয়তা | জার্মান[২][৩] |
মাতৃশিক্ষায়তন | হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন |
পরিচিতির কারণ | হেবার বস পদ্ধতি বর্ন-হেবার চক্র সার হেবার-ওয়েইশ বিক্রিয়া রাসায়নিক যুদ্ধ ঈপ্রেসের ২য় যুদ্ধ বিস্ফোরক |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্লারা ইমারওয়ার (1901–1915; her death; 1 child) ক্যারলট নাথান (1917–1927; divorced; 2 children) |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | ভৌত রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | সুইস ফেডারেল ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কার্লসরুয়ে প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | কার্ল থিওডোর লীবারম্যান[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
ফ্রিৎস হেবার হলেন একজন জার্মানি রসায়নবিদ যিনি ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হেবার বস পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য, যা শিল্প কারখানায় ব্যাবহৃত হয় নাইট্রোজেন গ্যাস ও হাইড্রোজেন গ্যাস থেকে অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণের জন্য।এই উদ্ভাবনটি বড় পরিসরে সার ও বিষ্ফোরক তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদনের জন্য সার উৎপাদন এই পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।১৯১৯ সালে হেবার ও ম্যাক্স বর্ন যৌথভাবে ম্যাক্স-বর্ন চক্রের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে আয়নিক যৌগের ল্যাটিস শক্তি বের করা যায়।
হেবারকে অবশ্য রসায়নিক যুদ্ধের জনক বলা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বিশেষ করে ঈপ্রেসের ২য় যুদ্ধের সময় ক্লোরিন ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসকে অস্ত্রায়ন নিয়ে নেতৃত্বমূলক কাজ করার জন্য।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
ফ্রিৎস হেবার পুশিয়ার (বর্তমানে পোল্যান্ড) রকলও এ একটি সচ্ছল ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।হেবার পরিবার ছিল সেই এলাকার একটি পরিচিত নাম।এ পরিবার শুরু হয় হেবারে দাদা পিংকুস সেলিগ হেবারের থেকে, যিনি তুলা ব্যবসায়ী ছিলেন। ফ্রিৎস হেবার ছিলেন সেইগফ্রিড ও পাপুলা হেবারের পুত্র। ফ্রিৎসের বাবা সেইগফ্রিড একজন সুপরিচিত সওদাগর ছিলেন, যিনি রং, প্যান্টও ফার্মাসিউটিক্যালের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন।[৪]:৬ হেবারের মা পাউলা গর্ভকালীন জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছিলন এবং হেবারের জন্মের তিন সপ্তাহ পর মারা যান।[৪]:১১যখন হেবারে বয়স প্রায় ছয় বছর, সেইগফ্রিড দ্বিতীয় বিয়ে করেন হেডউইগ হ্যামবার্গারের সাথে।সেইগফ্রিড এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন কন্যা সন্তান ছিল যাদের নাম এলসা,হেলেনা ও ফ্রেইডা।যদিও তার বাবার সাথে তার দূরবর্তী সম্পর্ক ছিল সে তার সৎমা ও সৎবোনদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে। হেবার তার শিক্ষাজীবন শুরু করে জোহানিয়াম স্কুল এর মাধ্যমে ,একটি সমকালীন স্কুল যা ক্যাথলিক, প্রোটেস্টেইন, ইহুদি শিক্ষার্থীদদের জন্য সমানভাবে খোলা ছিল[৪]:১২। ১১ বছর বয়সে সে সেন্ট এলিজাবেথ ক্লাসিকাল স্কুলে ভর্তি হয়।তার পরিবার ইহুদি সমাজকে সমর্থন করত এবং নানা ইহুদি ঐতিহ্য পালন চলমান রাখত তবে সিনাগগের(ইহুদিদের ধর্মস্থান) সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত ছিল না[৪]:১৫ Fritz Haber identified strongly as German, less so as Jewish.[৪]:১৫ ফ্রিৎস হেবার ১৮৮৬ এর সেপ্টেম্বরে ব্রেসলুর সেন্ট এলিজাবেথ হাই স্কুলে সফলভাবে পাস করেন।[৪]:১৬ যদিও তার বাবা চেয়েছিলেন তাকে রং কোম্পানিতে কাজ করাতে, হেবার বার্লিনের উইলহেলম বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমানে হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন) রসায়ন নিয়ে পড়ার জন্য বাবার অনুমতি লাভ করে।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Fritz Haber – Biographical"। Nobelprize.org।
- ↑ "Fritz Haber"। NNDB.com।
- ↑ "Fritz Haber: Jewish chemist whose work led to Zyklon B"। BBC.com।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Stoltzenberg, Dietrich (২০০৪)। Fritz Haber : Chemist, Nobel laureate, German, Jew। Philadelphia: Chemical Heritage Foundation। আইএসবিএন 978-0-941901-24-6।