সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৫১ নং লাইন: ৫১ নং লাইন:
== প্রকাশিত গ্রন্থাবলি ==
== প্রকাশিত গ্রন্থাবলি ==
সুধীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ছয়টি :
সুধীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ছয়টি :
* [[তন্বী]] (১৯৩০)
* ''[[তন্বী]]'' (১৯৩০)
* [[অর্কেষ্ট্রা]] (১৯৩৫)
* ''[[অর্কেষ্ট্রা]]'' (১৯৩৫)
* [[ক্রন্দসী]] (১৯৩৭)
* ''[[ক্রন্দসী]]'' (১৯৩৭)
* [[উত্তর ফাল্গুনী]] (১৯৪০)
* ''[[উত্তর ফাল্গুনী]]'' (১৯৪০)
* [[সংবর্ত]] (১৯৫৩)
* ''[[সংবর্ত]]'' (১৯৫৩)
* [[দশমী]] (১৯৫৬)
* ''[[দশমী]]'' (১৯৫৬)


এছাড়াও তার দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ আছে :
এছাড়াও তার দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ আছে :
* [[স্বগত]] (১৯৩৮)
* ''[[স্বগত]]'' (১৯৩৮)
* [[কুলায় ও কালপুরুষ]] (১৯৫৭)
* ''[[কুলায় ও কালপুরুষ]]'' (১৯৫৭)


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৫:৪২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
পেশাআধুনিক কবি
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়, ভারতীয়
নাগরিকত্বভারত
সময়কাল১৯৩০-১৯৬০
ধরনকবি
বিষয়কবিতা
সাহিত্য আন্দোলনআধুনিক বাংলা কবিতা
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিদশমী, প্রতিদিন, উত্তর ফাল্গুনী, সংবর্ত
দাম্পত্যসঙ্গীছবি বসু (১৯২৪-১৯৬০) (বৈধভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি)
রাজেশ্বরী বাসুদেব (১৯৪৩-১৯৬০)

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (৩০ অক্টোবর ১৯০১ - ২৫ জুন ১৯৬০) বাংলা ভাষার একজন প্রধান আধুনিক কবি। বিংশ শতকের ত্রিশ দশকের যে পাঁচ জন কবি বাংলা কবিতায় রবীন্দ্র প্রভাব কাটিয়ে আধুনিকতার সূচনা ঘটান তাদের মধ্যে সুধীন্দ্রনাথ অন্যতম। তাকে বাংলা কবিতায় “ধ্রুপদী রীতির প্রবর্তক” বলা হয়।[১]

জীবন বৃত্তান্ত

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতিবাগানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মায়ের নাম ইন্দুমতি বসুমল্লিক। সুধীন দত্তের বাল্যকাল কেটেছে কাশীতে। ১৯১৪ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত কাশীর থিয়সফিক্যাল হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পরে কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৯২২ সালে স্নাতক হন।[২] কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য ও আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯২৪ সাল পর্যন্ত যথারীতি পড়াশোনা চালিয়ে গেলেও কোনো বিষয়েই পরীক্ষা দেন নি।[৩]

১৯২৪ সালে ছবি বসুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু এক বছরের ভিতরেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১৯৪৩ সালের ২৯ মে প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রাজেশ্বরী বসুর সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬০ সালের ২৫ জুন কবি নিঃসন্তান অবস্থায় পরলোকগমন করেন।

কর্মজীবন

পিতার ল ফার্মে কিছুদিন শিক্ষানবিস হিসেবে থাকার পর সুধীন্দ্রনাথ দত্ত চাকরিজীবন শুরু করেন লাইট অব এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। ১৯২৯ সালের ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জাপানমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। ১৯৩১ সালে পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১২ বছর ধরে সম্পাদকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। স্টেটসম্যান ও শরৎ বসুর লিটারারি কাগজে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৯ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।[৩] শিল্পকলাবিৎ শাহেদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন তার বন্ধু।

সাহিত্যিক জীবন

জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত আধুনিক বাংলা কাব্যের সবচেয়ে বেশি নিরাশাকরোজ্জ্বল চেতনা। সর্বব্যাপী নাস্তিকতা, দার্শনিক চিন্তা, সামাজিক হতাশা এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবাদ তাঁর কবিতার ভিত্তিভূমি। ত্রিশের অনান্য কবিরা অবিশ্বাসী হলেও সুধীন্দ্রনাথ দত্তই ঈশ্বরকে সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন বলে হুমায়ুন আজাদ মনে করেন।[৪] আবদুল মান্নান সৈয়দ সুধীন্দ্রনাথের কবিতা সম্পর্কে বলেছেন,

প্রসঙ্গ, প্রকরণ ও বিন্যাস-যার কথাই ভাবি না কেন, নব নব গন্তব্যে পৌঁছুনোর উচ্চাশা কবির নেই। নেই রাবীন্দ্রিক শতবিচিত্রতা, একই কথা প্রায় একই ভঙ্গিতে তিনি বিভিন্ন কাব্যকোরাসে বলেছেন। একই কথা, কিন্তু দ্বিতীয় রহিত। অর্থাৎ সহজীবি কবিদের থেকে একেবারে আলাদা। তাঁর প্রকাশরীতি ও অভিজ্ঞতার পরিধি ছোট, ছোট কিন্তু গভীর, আর নিখুঁত নিটোল, নিজস্ব ও সমস্ত সুন্দর।[৫]

সাহিত্যচিন্তা

কাব্যরীতি

গদ্যভাষা

প্রকাশিত গ্রন্থাবলি

সুধীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ছয়টি :

এছাড়াও তার দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ আছে :

তথ্যসূত্র

  1. http://www.banglanews24.com/news.php?nssl=65912
  2. http://www.milansagar.com/kobi/kobi-sudhindranathdutta.html
  3. http://www.shokalerkhabor.com/online/details_news.php?id=8706&&%20page_id=%2011
  4. আমার অবিশ্বাস, হুমায়ুন আজাদ, আগামী প্রকাশনী
  5. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, কালো সূর্যের নিচে বহ্ন্যুৎসব, আবদুল মান্নান সৈয়দ