অপরাধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রকারভেদ
Suvray (আলোচনা | অবদান)
শাস্তি
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:


[[বই]], [[চলচ্চিত্র]], [[গান]], অথবা [[ওয়েব পেজ]] তৈরী করার প্রেক্ষাপটেও যদি প্রকৃত রচয়িতা, নির্মাতার অনুমতিবিহীন অবস্থায় হয়, তবে তা [[কপিরাইট]] আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, অবৈধ ও নিষিদ্ধঘোষিত [[মাদকদ্রব্য]] উৎপাদন, প্রস্তুতকরণ, বহন করা কিংবা বিক্রয় করা হয় তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
[[বই]], [[চলচ্চিত্র]], [[গান]], অথবা [[ওয়েব পেজ]] তৈরী করার প্রেক্ষাপটেও যদি প্রকৃত রচয়িতা, নির্মাতার অনুমতিবিহীন অবস্থায় হয়, তবে তা [[কপিরাইট]] আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, অবৈধ ও নিষিদ্ধঘোষিত [[মাদকদ্রব্য]] উৎপাদন, প্রস্তুতকরণ, বহন করা কিংবা বিক্রয় করা হয় তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

== শাস্তি ==
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দক্ষ, প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এ বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে অপরাধ বন্ধ করা ও অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। [[সন্দেহ|সন্দেহের]] বশবর্তী হয়েও যে-কোন ব্যক্তিকেই [[গ্রেফতার]] করার প্রবিধান রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে জেরায় এনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদির সাহায্যে অপরাধের শিকড় উৎপাটন করা হয়। [[আদালত|আদালতের]] প্রধান হিসেবে মহামান্য [[বিচারপতি]] প্রয়োজনীয় স্বাক্ষ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেন যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপরাধী কি-না! যদি ব্যক্তি অপরাধ করে থাকে, তবে তাকে জরিমানা, ক্রোকসহ নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। নতুবা, বেকসুর খালাশ প্রদান করে থাকেন। অপরাধের মাত্রা ব্যাপক ও গুরুতর হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা [[ফাঁসী|ফাঁসীকাষ্ঠে]] ঝোঁলানো হয়ে থাকে। [[উন্নত দেশ|উন্নত দেশসমূহে]] [[প্রাণদণ্ড|প্রাণদণ্ডের]] পরিবর্তে যাবজ্জীবন [[কারাদণ্ড]] প্রদান করা হয়।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৫:৪৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অপরাধ (ইংরেজি: Crime, Misdemeanor, Felony) হচ্ছে কোন ব্যক্তি কর্তৃক আইনবিরুদ্ধ কাজ। দেশ বা অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রণীত আইনের পরিপন্থী কার্যকলাপই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অপরাধ গুরুতর কিংবা লঘু - উভয় ধরনেরই হতে পারে। অপরাধের ফলে ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড, হাজতবাস বা কারাগারে প্রেরণ কিংবা প্রাণদণ্ডও প্রদান করা হয়ে থাকে। যে বা যিনি অপরাধ করেন বা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন, তিনি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে থানাসহ পুলিশ, গোয়েন্দা রয়েছে। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আদালতের মহামান্য বিচারক অপরাধীকে প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত শাস্তি দিয়ে থাকেন।

সাধারণ ধারনা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি, অন্য কোন ব্যক্তি বা সমাজের সমস্যা সৃষ্টিকল্পে যে সকল কাজ করেন তাই অপরাধ। অপরাধ হিসেবে কোন ব্যক্তিকে খুন, জখম, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ধর্ষণ, জালিয়াতি, অর্থপাচার ইত্যাদি রয়েছে যা পৃথিবীর সকল সভ্য দেশেই স্বীকৃত থাকায় দণ্ডনীয়। এছাড়াও, মদ্যপান, কোকেন, হেরোইন, গাজা সেবন, নিষিদ্ধ প্রাণীর মাংস খাওয়াসহ সমাজের বিরুদ্ধ কার্যাবলী সম্পাদন করা অপরাধের আওতাভূক্ত।

প্রকারভেদ

অপরাধ মূলতঃ দু'টি ধারায় বিভক্ত।

  • লঘু অপরাধ, যাতে জরিমানা কিংবা অনধিক এক বছরের জন্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
  • গুরুতর অপরাধ সাধারণতঃ এক বছরের ঊর্ধ্বে থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অনেক দেশই তাদের দেশের জন্যে উপযোগী করে অপরাধের বিষয়বস্তু, আকার-প্রকৃতি, স্তর ক্ষেত্রগুলো মানদণ্ডে নিয়ে আইন প্রণয়ন করে থাকে। এক দেশের আইন, অন্য দেশের জন্যে উপযোগী না-ও হতে পারে। ধর্মীয় এবং বিতর্কিত বিষয়গুলোর প্রেক্ষাপটে দ্রুত আইন প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। মোটর সাইকেলে হেলমেট ব্যবহার না করা কিংবা গাড়ীতে চালক কর্তৃক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে দূর্ঘটনা ঘটায়ও আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে যাত্রীদের জানমালের জন্যে হুমকিস্বরূপ।

বই, চলচ্চিত্র, গান, অথবা ওয়েব পেজ তৈরী করার প্রেক্ষাপটেও যদি প্রকৃত রচয়িতা, নির্মাতার অনুমতিবিহীন অবস্থায় হয়, তবে তা কপিরাইট আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, অবৈধ ও নিষিদ্ধঘোষিত মাদকদ্রব্য উৎপাদন, প্রস্তুতকরণ, বহন করা কিংবা বিক্রয় করা হয় তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

শাস্তি

বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দক্ষ, প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এ বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে অপরাধ বন্ধ করা ও অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সন্দেহের বশবর্তী হয়েও যে-কোন ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করার প্রবিধান রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে জেরায় এনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদির সাহায্যে অপরাধের শিকড় উৎপাটন করা হয়। আদালতের প্রধান হিসেবে মহামান্য বিচারপতি প্রয়োজনীয় স্বাক্ষ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেন যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপরাধী কি-না! যদি ব্যক্তি অপরাধ করে থাকে, তবে তাকে জরিমানা, ক্রোকসহ নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। নতুবা, বেকসুর খালাশ প্রদান করে থাকেন। অপরাধের মাত্রা ব্যাপক ও গুরুতর হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা ফাঁসীকাষ্ঠে ঝোঁলানো হয়ে থাকে। উন্নত দেশসমূহে প্রাণদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

তথ্যসূত্র