শাহজামান মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
+বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা; +[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্র...
Hasive (আলোচনা | অবদান)
৩৮ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:


==মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা==
==মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা==
[[১৯৭১]] সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে [[হবিগঞ্জ জেলা| হবিগঞ্জ জেলার]] তেলিয়াপাড়া জেলা সদর থেকে দক্ষিণে রাস্তার দুই পাশে কোনো কোনো স্থান ফাঁকা। সেখানে সবজি চাষ করা হয়। জায়গাটা অ্যামবুশ করার জন্য উপযুক্ত। শাহজামান মজুমদারসহ এক দল মুক্তিযোদ্ধা শেষ রাতে অবস্থান নিলেন সেখানে।

কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা রাস্তায় গর্ত খোঁড়া শুরু করলেন। বাকিরা থাকলেন সতর্ক প্রহরায়। গর্ত খোঁড়া শেষ করে তাতে অ্যান্টি ট্যাংক মাইন বসিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিপুণভাবে মাটি ভরাট করলেন। এরপর মাটি খোঁড়ার চিহ্ন যাতে বোঝা না যায় সে জন্য ভরাট গর্তগুলোর ওপর দিয়ে কয়েকবার গাড়ির চাকা গড়াগড়ি করানো হলো। দেখে মনে হবে গাড়ির চাকার দাগ। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে অবস্থান নিলেন বিভিন্ন স্থানে। মুক্তিযোদ্ধাদের কারও কাছে এলএমজি, ব্রেনগান, এসএমজি, এসএলআর বা রাইফেল। এ ছাড়া আছে শুকনা খাবার, পানি ও ফার্স্টএইড। শাহজামান মজুমদার যেখানে অবস্থান নিয়েছেন সেখান থেকে রাস্তার অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। সময় গড়াতে থাকল। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এমন সময় রাস্তায় দেখতে পেলেন পাকিস্তানি সেনাদের এক কনভয়। প্রথমে একটি জিপ। দ্বিতীয়টি তিন টনি বেডফোর্ড লরি। তৃতীয়টি একটি পাঁচ টনি ট্রাক। এরপর একটি বাস। সেগুলো আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে। সামনের জিপ মাইনের ওপর দিয়ে চলে গেল। দ্বিতীয় গাড়িও। মাইন বিস্ফোরণ হলো না। শাহজামান মজুমদারের হাতের আঙুল অস্ত্রের ট্রিগারে। মাইন বিস্ফোরণ হওয়ামাত্র গুলি করবেন। কিন্তু মাইন বিস্ফোরণ না হওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। ভাবতে থাকলেন তবে কি কোনো ভুল হয়ে গেল। ঠিক তখনই পাঁচ টনি ট্রাকের চাকা মাইনের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে মাইনের বিস্ফোরণ। ট্রাকটি কয়েক ফুট ওপরে উঠে গেল। চারদিক কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। শাহজামান মজুমদার ও তাঁর সহযোদ্ধারা একযোগে গুলি শুরু করলেন। একদিকে মাইন বিস্ফোরণ, অন্যদিকে গুলি। হতভম্ব পাকিস্তানি সেনারা। কিছুক্ষণ পর পাকিস্তানি সেনারাও পাল্টা গুলি শুরু করল। শাহজামান মজুমদার তাঁর এসএমজির দুই ম্যাগাজিন গুলি শেষ করলেন। এরপর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে পশ্চাদ্পসরণ করলেন নিরাপদ স্থানে।


==পুরস্কার ও সম্মাননা==
==পুরস্কার ও সম্মাননা==

০৯:৫৬, ১২ মে ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শাহজামান মজুমদার
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক

শাহজামান মজুমদার(জন্ম: অজানা ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। [১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

শাহজামান মজুমদারের জন্ম দিনাজপুর জেলার দিনাজপুর পৌরসভার কালিতলায়। তাঁর বাবার নাম রজব আলী মজুমদার এবং মায়ের নাম সায়েরা মজুমদার। তাঁর স্ত্রীর নাম নূরনাহার মজুমদার। তাঁদের এক ছেলে, এক মেয়ে।

কর্মজীবন

শাহজামান মজুমদার ১৯৭১ সালে ঢাকায় উচ্চমাধ্যমিক ক্লাসের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে বাড়িতে সবার অনুমতি নিয়ে হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়ায় যান। দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। ৩ নম্বর সেক্টরে আখাউড়াসহ আরও কয়েক স্থানে যুদ্ধ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

১৯৭১ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে হবিগঞ্জ জেলার তেলিয়াপাড়া জেলা সদর থেকে দক্ষিণে রাস্তার দুই পাশে কোনো কোনো স্থান ফাঁকা। সেখানে সবজি চাষ করা হয়। জায়গাটা অ্যামবুশ করার জন্য উপযুক্ত। শাহজামান মজুমদারসহ এক দল মুক্তিযোদ্ধা শেষ রাতে অবস্থান নিলেন সেখানে। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা রাস্তায় গর্ত খোঁড়া শুরু করলেন। বাকিরা থাকলেন সতর্ক প্রহরায়। গর্ত খোঁড়া শেষ করে তাতে অ্যান্টি ট্যাংক মাইন বসিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিপুণভাবে মাটি ভরাট করলেন। এরপর মাটি খোঁড়ার চিহ্ন যাতে বোঝা না যায় সে জন্য ভরাট গর্তগুলোর ওপর দিয়ে কয়েকবার গাড়ির চাকা গড়াগড়ি করানো হলো। দেখে মনে হবে গাড়ির চাকার দাগ। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে অবস্থান নিলেন বিভিন্ন স্থানে। মুক্তিযোদ্ধাদের কারও কাছে এলএমজি, ব্রেনগান, এসএমজি, এসএলআর বা রাইফেল। এ ছাড়া আছে শুকনা খাবার, পানি ও ফার্স্টএইড। শাহজামান মজুমদার যেখানে অবস্থান নিয়েছেন সেখান থেকে রাস্তার অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। সময় গড়াতে থাকল। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এমন সময় রাস্তায় দেখতে পেলেন পাকিস্তানি সেনাদের এক কনভয়। প্রথমে একটি জিপ। দ্বিতীয়টি তিন টনি বেডফোর্ড লরি। তৃতীয়টি একটি পাঁচ টনি ট্রাক। এরপর একটি বাস। সেগুলো আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে। সামনের জিপ মাইনের ওপর দিয়ে চলে গেল। দ্বিতীয় গাড়িও। মাইন বিস্ফোরণ হলো না। শাহজামান মজুমদারের হাতের আঙুল অস্ত্রের ট্রিগারে। মাইন বিস্ফোরণ হওয়ামাত্র গুলি করবেন। কিন্তু মাইন বিস্ফোরণ না হওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। ভাবতে থাকলেন তবে কি কোনো ভুল হয়ে গেল। ঠিক তখনই পাঁচ টনি ট্রাকের চাকা মাইনের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে মাইনের বিস্ফোরণ। ট্রাকটি কয়েক ফুট ওপরে উঠে গেল। চারদিক কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। শাহজামান মজুমদার ও তাঁর সহযোদ্ধারা একযোগে গুলি শুরু করলেন। একদিকে মাইন বিস্ফোরণ, অন্যদিকে গুলি। হতভম্ব পাকিস্তানি সেনারা। কিছুক্ষণ পর পাকিস্তানি সেনারাও পাল্টা গুলি শুরু করল। শাহজামান মজুমদার তাঁর এসএমজির দুই ম্যাগাজিন গুলি শেষ করলেন। এরপর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে পশ্চাদ্পসরণ করলেন নিরাপদ স্থানে।

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ