বিশাখাপত্তনম-শ্রেণির ডেস্ট্রয়ার
শ্রেণিটির প্রথম জাহাজ আইএনএস বিশাখাপত্তনম
| |
শ্রেণি'র সারাংশ | |
---|---|
নাম: | বিশাখাপত্তনম শ্রেণি |
নির্মাতা: | মাজাগাঁও ডক লিমিটেড |
ব্যবহারকারী: | ভারতীয় নৌবাহিনী |
পূর্বসূরী: | কলকাতা শ্রেণী |
খরচ: | ₹৩৫,৮০০ কোটি ($৫ বিলিয়ন) |
পরিকল্পিত: | ৪ |
নির্মাণ: | ৪ |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার: | স্টিলথ গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ার |
ওজন: | ৭,৪০০ টন (৭,৩০০ লং টন; ৮,২০০ শর্ট টন)[১] |
দৈর্ঘ্য: | ১৬৩ মি (৫৩৫ ফু) |
প্রস্থ: | ১৭.৪ মি (৫৭ ফু) |
ড্রাফট: | ৬.৫ মি (২১ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ৩০ নট (৫৬ কিমি/ঘ) এর বেশি |
সীমা: | ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ) গতিতে ৪,০০০ নটিক্যাল মাইল (৭,৪০০ কিমি; ৪,৬০০ মা) |
নাবিক: | ৩০০ জন (৫০ জন কর্মকর্তা ও ২৫০ জন সৈনিক) |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র ও ফাঁদ: |
|
রণসজ্জা: |
|
বিমান বহন: | ২ × সি কিং বা এইচএল ধ্রুব হেলিকপ্টার[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
বিমানচালানর সুবিধাসমূহ: |
|
বিশাখাপত্তনম শ্রেণি (প্রজেক্ট ১৫ বি) ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বর্তমানে একটি নির্মাণাধীন স্টিলথ গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ার শ্রেণি। এই শ্রেণিতে ভারতের মাজাগাঁও ডক লিমিটেড (এমডিএল) নির্মিত বিশাখাপত্তনম, মার্মাগাঁও, ইম্ফল ও পোরবন্দর নামের চারটি জাহাজ রয়েছে এবং এগুলি ভারতীয় নৌবাহিনী দ্বারা পরিচালিত বৃহত্তম ডেস্ট্রয়ার হবে।[৩][৭]
ডেস্ট্রয়ারগুলি কলকাতা-শ্রেণির উন্নত সংস্করণ (প্রজেক্ট ১৫এ) এবং বর্ধিত স্টিলথ বৈশিষ্ট্যগুলি উপস্থাপন করবে। প্রথম জাহাজটি ২০২১ সালে পরিষেবায় প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উন্নয়ন
[সম্পাদনা]পূর্বের প্রকল্প ১৫এ কলকাতা-শ্রেণির ডেস্ট্রয়ারগুলিকে সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি দ্বারা ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে অনুসরণীয় শ্রেণি হিসাবে অনুমোদিত করা হয়। অনুসরণকারী শ্রেণির উদ্দেশ্যটি ছিল পূর্ববর্তী শ্রেণির মতো একই কাঠামো ধরে রাখা, কিন্তু উপরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত করা এবং জাহাজের স্টিলথ বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নত করা। প্রকল্প ১৫বি এর অধীনে ₹২৯,৩৪০ কোটি (৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকা ব্যয় মোট চারটি ডেস্ট্রয়ারের আবেদন করা হয়।[৮][৯] তবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশ করা হয় অস্ত্র এবং সেন্সর প্যাকেজ সহ সামগ্রিক ব্যয় প্রায় ₹৩৫,৮০০ কোটি (৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকা।[১০]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]শ্রেণিটির নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালে শুরু হয় এবং প্রথম জাহাজটির তলি বা তলদেশ ২০১৩ সালের অক্টোবরে স্থাপন করা হয়।[১১] শ্রেণিটিতে কোনও বড় ধরনের পুনঃ-নকশা তৈরির প্রয়োজন না থাকায় এর নির্মাণের প্রয়োজনীয় সময় কলকাতা শ্রেণির চেয়ে কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কারণে প্রতিটি যুদ্ধজাহাজের জন্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথম জাহাজটি ২০১৫ সালের ২০ ই এপ্রিল জলে ভাসানো হয় এবং ২০২১ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। শ্রেণির পরবর্তী জাহাজগুলিকে প্রথম জাহাজকে অনুসরণ করে বার্ষিকভাবে সরবরাহ করা হবে।[৭][১২]
শ্রেণিটির জাহাজগুলি
[সম্পাদনা]নাম | ধ্বজা | ইয়ার্ড নং | নির্মাতা | তলি স্থাপন | জলে ভাসানো | নিযুক্ত | হোমপোর্ট | অবস্থা |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আইএনএস বিশাখাপত্তনম (ডি৬৬) | ডি৬৬ | ১২৭০৪ | মাজাগাঁও ডক লিমিটেড | ২০১৩ সালের ১২ ই অক্টোবর[১৩][১৪] | ২০ ই এপ্রিল ২০১১৫[১৫] | ২০২১ (প্রত্যাশিত)[১২] | মুম্বই(প্রত্যাশিত)) | জলে ভাসানো হয়েছে |
আইএনএস মার্মাগাঁও | ডি৬৭ | ১২৭০৫ | ৪ জুন ২০১৫[১৬] | ১৭ ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ [১৭] | ২০২২ (প্রত্যাশিত) | জলে ভাসানো হয়েছে | ||
আইএনএস ইম্ফল[১৮] | ডি৬৮ | ১২৭০৬ | ১৯ শে মে ২০১৭[১৯] | ২০ ই এপ্রিল ২০১৯[১৮] | ২০২৩ (প্রত্যাশিত) | জলে ভাসানো হয়েছে | ||
আইএনএস পোরবন্দর[২০] | ডি৬৯ | ১২৭০৭ | ১৯ শে জুলাই ২০১৮[২১] | ২০২৪ (প্রত্যাশিত) | নির্মাণাধীন[২১] |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Bedi, Rahul। "India launches first-of-class Project 15B destroyer"। IHS Jane's Navy International। ২২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ Gady, Franz-Stefan। "China Beware: Here Comes India's Most Powerful Destroyer"। The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৬।
- ↑ Israel ship missile test for India, The Telegraph, 28 November 2015
- ↑ Gen Next missile defence shield built by Israel and India clears first hurdle, The Times of India, 28 November 2015
- ↑ "Trump Administration approves sale of $1 billion worth of naval guns to India"। LiveMint। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ Sheshrao, Vishnudas (১৫ এপ্রিল ২০১৫)। "Indigenously built warship ready for launch"। freepressjournal। ২২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Unnithan, Sandeep (১৮ মার্চ ২০০৯)। "Govt okays construction of 4 more stealth destroyers"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "INS Visakhapatnam: 11 things you need to know about India's latest destroyer warship"। dna (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Navy's 4 under-construction destroyers to get lethal weapons, sensors package"। The Times of India। ২০২০-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- ↑ "Keel Laid For Yard 12704 (1st ship of P15 Bravo)" (পিডিএফ)। mazagondock.gov.in। ১২ অক্টোবর ২০১৩। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ Ghaswalla, Amrita Nair (২৭ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Advanced guided missile destroyers delayed by 3 years"। The Hindu Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। Mumbai: The Hindu Group।
- ↑ "Keel Laid for P15 Bravo Ships"। The Times of India। Mumbai। ২৫ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Mazagon Dock Keel Laying Ceremony" (পিডিএফ)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "First Indian Navy Project 15B - Visakhapatnam-class Destroyer Launched"। ২১ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Mazagon Dock News" (পিডিএফ)। mazagondock.gov.in। Mazagon Dock Shipbuilders Limited। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Second warship of Visakhapatnam class launched in Mumbai"। The Hindu Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। PTI। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Sagar, Pradip (২০ এপ্রিল ২০১৯)। "Indian Navy launches new stealthy guided missile destroyer — INS Imphal"। The Week (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Keel laid for the third ship of P15B class destroyers"। The Free Press Journal। ২৬ মে ২০১৭। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৭।
- ↑ Som, Vishnu (১৭ এপ্রিল ২০১৫)। "All About the INS Visakhapatnam, Navy's Most Powerful Destroyer"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ "MDL Stats Production of 4th Destroyer of Visakhapatnam Class"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৮।