বিনোদিনী নীলকান্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিনোদিনী নীলকান্ত
জন্ম(১৯০৭-০২-০৯)৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৭
মৃত্যু২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭(1987-09-29) (বয়স ৮০)
জাতীয়তাভারত
পেশাঅধ্যাপক, লেখক, অনুবাদক
পিতা-মাতা

বিনোদিনী রমনভাই নীলকান্ত (৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৭-২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭)[১] একজন গুজরাটি লেখক, অনুবাদক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি অনেক উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, সাংবাদিক কলাম এবং শিশুসাহিত্য লিখেছেন।[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯১৪ সালের দিকে বিনোদিনী

বিনোদিনী নীলকান্ত ভারতের আহমেদাবাদে (তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির অংশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রমনভাই নীলকান্ত ছিলেন একজন গুজরাটি ঔপন্যাসিক এবং রাজনীতিবিদ। তার মা বিদ্যাগৌরী নীলকান্ত ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং শিক্ষাবিদ, যিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী গুজরাটের প্রথম মহিলা। তার বাবা-মা দুজনেই লেখক ছিলেন, পাশাপাশি তার বোন সরোজিনীও একজন লেখক ছিলেন।

বিনোদিনী মহালক্ষ্মী ট্রেনিং কলেজে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করে। এরপর তিনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯২৮ সালে তিনি প্রাথমিক বিষয় ইংরেজি এবং মাধ্যমিক ভাষা হিসাবে গুজরাটি নিয়ে ব্যাচেলর অব আর্টস সম্পন্ন করেন। ১৯৩০ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান এবং শিক্ষা বিষয়ে মাস্টার্স করতে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

বিনোদিনী নীলকান্ত আহমেদাবাদের বনিতা বিশ্রাম ইনস্টিটিউটের প্রধান ছিলেন। তিনি আহমেদাবাদের মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি এসএনডি টি মহিলা পাঠশালার অধ্যাপক হন। তিনি পত্রিকায় কলামও লিখতেন।[৩] তিনি গুজরাট বিধানসভার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।[৪]

সৃষ্টিকর্ম[সম্পাদনা]

নীলকান্ত কৈশোরে তার প্রথম প্রবন্ধের বই প্রকাশ করেছিলেন। তার ছোটগল্পসমূহ মানুষের মনের মধ্যে, বিশেষ করে নারীর মনের মধ্যে অনুপ্রবেশের ক্ষমতাকে বিবৃত করে।

ব্যক্তিগত রচনা[সম্পাদনা]

  • রসদওয়ারা (১৯২৮)
  • নিজানন্দ[৪][৫]

ছোটগল্প সংকলন[সম্পাদনা]

  • আরশিনী ভিতরমা (১৯৪২)
  • কার্পাসি আনে বিজি বর্তাও
  • দিল দরিয়াভনা মতি (১৯৫৮)
  • অঙ্গুলিনো স্পর্শ (১৯৬৫)

উপন্যাস[সম্পাদনা]

  • কদলিবন

শিশুসাহিত্য[সম্পাদনা]

  • শিশুরঞ্জনা (১৯৫০)
  • মেন্দিনী মঞ্জরি (১৯৫৬)
  • বালাকোনি দুনিয়ামা দোকিয়ো
  • সফরচাঁদ (১৯৬৪)
  • পাড়চাঁদ কাথিয়ারো (১৯৬৪)

অন্যান্য লেখা[সম্পাদনা]

  • ঘরনো বাহিবাত (১৯৫৯)
  • বাল সুরক্ষা (১৯৬১)
  • মুক্তজননী ভূমি (১৯৬৬)।[১]

অনুবাদ[সম্পাদনা]

তার নিজের সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি তিনি জেন অস্টেনের প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস গুজরাটি ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি বার্ট্রান্ড রাসেলের দ্য কনকয়েস্ট অফ হ্যাপিনেস -এর অনুবাদ করে সুখনি সিদ্ধিও নামে প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকতামূলক লেখা[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সাল থেকে তিনিগুজরাত সমাচার নামে একটি দৈনিক পত্রিকায় ঘর ঘরনি জ্যোতি নামে একটি কলাম লেখেন, যা খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।[৪]{{cite book}}: CS1 maint: ignored ISBN errors (link) </ref> কলামিস্ট হিসাবে তার সাংবাদিকতামূলক লেখাগুলি পাঁচটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে: ঘর ঘরনি জ্যোত পর্ব ১, ২, ৩ এবং ৪ (১৯৫৫, ১৯৫৯, ১৯৬৪ এবং ১৯৬৯)। শেষ খণ্ড, ঘর দিবদি, (১৯৮৭) তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়েছিল।[১][৪]

উপযোগ[সম্পাদনা]

কান্তি মাদিয়া পরিচালিত গুজরাটি চলচ্চিত্র কাশিনো ডিক্রো (১৯৭৯) নির্মাণে পরিচালক নীলকান্তের ছোট গল্প দরিয়াভ দিল অবলম্বন করেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

ছোট গল্পের সংকলন দিল দরিয়াভনা মতি-এর জন্য তিনি গুজরাট সাহিত্য সভা পুরস্কার এবং অ্যাঙ্গুলিনো স্পর্শ-এর জন্য গুজরাট সরকারের পুরস্কার লাভ করেন।[৪]{{{cite book}}: CS1 maint: ignored ISBN errors (link) </ref>

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "સવિશેષ પરિચય: વિનોદિની નીલકંઠ, ગુજરાતી સાહિત્ય પરિષદ"Gujarati Sahitya Parishad (গুজরাটি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "Vinodinee Neelkanth: Life and times of a Gujarati writer who dared to be unconventional - Indian Express"archive.indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৮ 
  3. "સવિશેષ પરિચય: વિનોદિની નીલકંઠ, ગુજરાતી સાહિત્ય પરિષદ - Vinodini Nilkanth, Gujarati Sahitya Parishad"gujaratisahityaparishad.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০৮ 
  4. Amaresh Datta; Mohan Lal (২০০৭)। Encyclopaedia of Indian Literature: Navaratri–Sarvasena (4th সংস্করণ)। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 2950–2951। আইএসবিএন ((978-81-260-1003-1)) |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  5. {{cite book}}: CS1 maint: ignored ISBN errors (link)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]