বাল মিঠাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাল মিঠাই
আলমোড়ার বাল মিঠাই
উৎপত্তিস্থলভারত
অঞ্চল বা রাজ্যআলমোড়া, (ভারত)

বাল মিঠাই ( কুমাওনি : बाल मिठाई, বাল মিঠাই ) হল একটি বাদামী চকোলেটের মতো খাদ্যবস্তু, যা রোস্ট করা বা ভুনা করা খোয়া দিয়ে তৈরি করা হয় এবং যার উপর চিনির প্রলেপযুক্ত অল্প ভাজা পোস্ত বীজ দিয়ে তৈরি একপ্রকার সাদা বল -এর প্রলেপ দেওয়া হয়। এটি ভারতের কুমায়ুন অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় মিষ্টি।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাল মিঠাই এর উৎপত্তি ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের কুমায়ুনে। এটি বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আলমোড়ার লাল বাজার অঞ্চলের স্থানীয় মিঠাই প্রস্তুতকারকদের উদ্ভাবন। [১] পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন যে প্রাথমিকভাবে বাল মিঠাই সূর্য দেবতার প্রধান নৈবেদ্য ছিল। [১]

রন্ধনপ্রনালী[সম্পাদনা]

বাল মিঠাই প্রস্তুত করতে খোয়া (বাষ্পীভূত দুধের ক্রিম) ও বেতের চিনি একসাথে মিশিয়ে রাধা হয় যতক্ষণ না এটি গাঢ় বাদামী বর্ণ ধারন করে। 'চকলেট' -এর রঙের সাথে এর প্রচুর সাদৃশ্য দেখা যায়। মিশ্রণটিকে ঠাণ্ডা করার জন্য কিছুক্ষণ রাখা হয়। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা ও শক্ত হলে তার থেকে চারকোনা আকৃতির অনেক টুকরো কাটা হয়। টুকড়োগুলির উপর পরে চিনির প্রলেপযুক্ত ভাজা পোস্ত বীজ দিয়ে তৈরি ছোট সাদা বলের প্রলেপ দেওয়া হয়। [২]

জনপ্রিয়তা[সম্পাদনা]

বাল মিঠাই দীর্ঘদিন ধরে আলমোড়া জেলা [৩] এবং কুমায়ুনের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির একটি জনপ্রিয় মিষ্টি।

ভৌগলিক তকমা[সম্পাদনা]

১৯৯৯ সালের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অফ গুডস অ্যাক্টের অধীনে স্থানীয় মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অধিকার এবং জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন প্রোটেকশন (জিআই প্রোটেকশন) সম্পর্কে সচেতন করার জন্য একটি সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা তাদের স্থানীয় বিশেষত্ব যেমন বাল মিঠাই এর জন্য ভৌগলিক তকমা পেতে সাহায্য করবে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pant, Rajshekhar (৪ জানুয়ারি ২০১৬)। "The Sweet Tooth Of Kumaon"The Citizen। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Cuisines - Recipes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৮-০৪-২৯ তারিখে Official website of Bageshwar district.
  3. Almora www.journeymart.com.
  4. Intellectual Property Rights Camp on GI Protection for ‘Baal Mithai’ & ‘Singhauri’ WTO-IPR, Bulletin, Govind Ballabh Pant University of Agriculture & Technology, Volume 6– Issue 2: March – April, 2007.