বাগেশ্বর জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৯°৫১′ উত্তর ৭৯°৪৬′ পূর্ব / ২৯.৮৫° উত্তর ৭৯.৭৭° পূর্ব / 29.85; 79.77
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাগেশ্বর জেলা
জেলা
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৯°৫১′ উত্তর ৭৯°৪৬′ পূর্ব / ২৯.৮৫° উত্তর ৭৯.৭৭° পূর্ব / 29.85; 79.77
দেশ ভারত
রাজ্যউত্তরাখণ্ড
বিভাগকুমায়ুন
সদর দপ্তরবাগেশ্বর
সরকার
 • ধরনজেলা ম্যাজিস্ট্রেট
 • শাসকরঞ্জনা আইএএস
আয়তন
 • মোট২,৩০২ বর্গকিমি (৮৮৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোট২,৪৯,৪৬২
 • জনঘনত্ব১০৮/বর্গকিমি (২৮০/বর্গমাইল)
ভাষাসমূহ
 • সরকারিহিন্দি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
যানবাহন নিবন্ধনইউকে
ওয়েবসাইটbageshwar.nic.in

বাগেশ্বর উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি জেলাবাগেশ্বর শহরটি জেলা সদর। ১৯৯৭ সালে জেলা হিসাবে মর্যাদা পাবার আগে এটি আলমোড়া জেলার অংশ ছিল।[১]

বাগেশ্বর জেলাটি উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন অঞ্চলে, এটি পশ্চিমে এবং উত্তর-পশ্চিমে চামোলি জেলা, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বে পিথোরাগড় জেলা এবং দক্ষিণে আলমোড়া জেলা দ্বারা সীমাবদ্ধ।

২০১১ অনুযায়ী, রুদ্রপ্রয়াগ এবং চম্পাবতের পরে এটি উত্তরাখণ্ডের তৃতীয় সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা (১৩টির মধ্যে)।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিকভাবে দানপুর নামে পরিচিত এই অঞ্চলটি এখন বাগেশ্বর জেলা। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে কাত্যুরিরা এখানে শাসন করত। ১৩ তম শতাব্দীতে কাত্যুরি রাজত্ব বিভক্ত হওয়ার পরে, এই অঞ্চলটি বৈজনাথ কাত্যুরদের শাসনে ছিল, যাঁরা কাত্যুরি রাজাদের সরাসরি বংশধর।[৩] ১৫৬৫ সালে রাজা বালো কল্যাণ চন্দ দানপুরকে পালি, বরাহমণ্ডল এবং মানকোট সহ কুমায়ুন রাজ্যে যুক্ত করেছিলেন।[৪]

১৭৯১ সালে, কুমায়ুনের আসন আলমোরাকে নেপালের গোর্খারা আক্রমণ করে ও নিজেদের রাজত্বে অন্তর্ভুক্ত করে।[৫] গোর্খরা এই অঞ্চলটি ২৪ বছর শাসন করেছিল এবং পরে ১৮১৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়,[৬][৭][৮] এবং ১৮১৭ সালে সুগৌলির চুক্তির অংশ হিসাবে কুমায়ুনকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়।[৯]:৫৯৪[১০] ব্রিটিশদের অধিভুক্ত হওয়ার পরে বাগেশ্বর যুক্ত প্রদেশসমূহের আলমোড়া জেলার দানাপুর পরগনার একটি অংশ হয়।

বাগেশ্বরকে ১৯৭৪ সালে একটি পৃথক তহশিল করা হয়েছিল, এবং ১৯৭৬ সালে এটিকে একটি পরগনা ঘোষণা করা হয়, এর পরে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বড় প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ শুরু করে। ১৯৮৫ সাল থেকে, এটিকে, বিভিন্ন দল ও আঞ্চলিক লোকেরা, একটি পৃথক জেলা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি শুরু হয়েছিল, এবং অবশেষে, ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে, মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী বাগেশ্বরকে উত্তর প্রদেশের নতুন জেলা ঘোষণা করেন।[১১]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক সুবিধার জন্য, বাগেশ্বরের চারটি তহশিলে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন, ১) বাগেশ্বর - ৪১৫টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম নিয়ে; ২) কান্দা (১৮০ টি জনবহুল গ্রাম সহ); ৩) কাপকোট, ১৫৬ টি গ্রাম নিয়ে; এবং গারুর, এর ১৯৭ টি রাজস্ব গ্রাম রয়েছে। বাগেশ্বর, গারুর, ঝিরোলি, কান্দা ও কাপকোটের মতো বিভিন্ন থানায় নিয়মিত পুলিশ ছাড়াও পাটওয়ারিরা (রাজস্ব কর্মকর্তারা) পুলিশের ক্ষমতা প্রাপ্ত।

ভূগোল[সম্পাদনা]

ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বাগেশ্বর জেলা শিবালিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং উঁচু হিমালয় অঞ্চলের মধ্যে এক পার্বত্য অঞ্চল। এর নিকাশী ব্যবস্থাটি উত্তর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। বাগেশ্বর জুড়ে প্রবাহিত প্রধান নদীগুলি হল - পিন্ডার, সর্যু / সরজু, গোমতী এবং পুঙ্গার, শেষের দুটি হল হল সরজুর উপনদী। অন্যান্য অনেক ছোট নদী, স্থানীয়ভাবে যাদের গধেরা বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় এই এদের সাথে মিলিত হয়। এই তিনটি নদীর উপত্যকাগুলি স্থানীয়ভাবে সেরাস নামে পরিচিত পললভূমি তৈরি করেছে, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্যান্য গ্রামগুলি হালকা ঢালু পাহাড়ে / বা কিছু সমতল ভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.censusindia.gov.in/2011census/dchb/0508_PART_B_DCHB_BAGESHWAR.pdf
  2. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  3. Kathoch, Y.S। A New History of Uttarakhand 
  4. Handa, O.C. (২০০২)। History of Uttaranchal (ইংরেজি ভাষায়)। New Delhi: Indus Pub. Company। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 9788173871344 
  5. Hamilton, Francis; Buchanan, Francis Hamilton (১৮১৯)। An Account of the Kingdom of Nepal: And of the Territories Annexed to this Dominion by the House of Gorkha (ইংরেজি ভাষায়)। A. Constable। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  6. Cross, John Pemble ; foreword by J.P. (২০০৮)। Britain's Gurkha War : the invasion of Nepal, 1814-16 ([Rev. ed.] সংস্করণ)। London: Frontline। আইএসবিএন 978-1-84832-520-3 
  7. Naravane, M.S. (২০০৬)। Battles of the honourable East India Company : making of the Raj। New Delhi: A. P. H. Pub. Corp.। আইএসবিএন 978-81-313-0034-3 
  8. Gould, Tony (২০০০)। Imperial warriors : Britain and the Gurkhas। London: Granta Books। আইএসবিএন 1-86207-365-1 
  9. Martin, Robert Montgomery। The History of the Indian Empire (ইংরেজি ভাষায়)। Mayur Publications। 
  10. Summary of the operations in India: with their results : from 30 April 1814 to 31 Jan. 1823। Marquis of Hastings। ১৮২৪। 
  11. Kasniyal, BD (১৫ মে ২০১৬)। "Development gains elude Kumaon's holy place" (ইংরেজি ভাষায়)। Pithoragarh: The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]