বাজিন (রুটি)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাজিন
বাজিন (মধ্যিখানে) স্ট্যু এবং সেদ্ধ ডিমের সাথে পরিবেশিত হয়েছে
প্রধান উপকরণবার্লি, জল, লবণ

বাজিন ( আরবি: البازين , উচ্চারিত[baːˈziːn]) লিবিয়ার রন্ধনপ্রণালীর অন্তর্ভুক্ত একটি খামিরবিহীন রুটি যা বার্লি, জল এবং লবণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়।[১] বাজিন তৈরি করার জন্য জলে বার্লির গুড়ো সিদ্ধ করা হয় এবং তারপরে একটি মাগ্রাফ[২] নামক এক বিশেষ লাঠির ব্যবহার করে প্রস্তুত মন্ডটিকে বিশেষভাবে নাড়ানো হয়। তারপর সেটিকে একটি পাত্রে স্থাপন করতে হয় এবং সেটি শক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।[৩] এর পরে এটি ভাপিয়ে বা বেক করে বাজিন রুটি প্রস্তুত করা হয়। লবণের ব্যবহার বাজিনের গঠনে কঠোরতা প্রদান করে। বাজিন গমের আটা, জলপাই তেল এবং মরিচ ব্যবহার করেও প্রস্তুত করা যেতে পারে।[৩][৪]

বাজিন সাধারণত টমেটো সস, ডিম, আলু এবং মাটনের সাথে পরিবেশন করা হয়। বাজিন প্রস্তুতির পদ্ধতিতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রথমে ময়দাকে মেখে পিরামিড বা গম্বুজের আকার দেওয়া হয়। এরপর সেই ময়দাটি ভাপিয়ে বাজিন রুটি প্রস্তুত করা হয়। একটি টমেটো-ভিত্তিক স্যুপ বা মাংস ও আলুর স্ট্যু দিয়ে বাজিন পরিবেশন করা যেতে পারে। গরম স্ট্যু বাজিনের উপরে বা তার চারপাশে ঢেলে এবং সিদ্ধ ডিম দিয়ে সজ্জিত করে পদটি পরিবেশন করা হয়।[২][৩] স্যুপ প্রস্তুতির সময় তাতে একটি কাঁচা ডিমও মেশানো যেতে পারে।[৩] বাজিন রুটি, মধু, খেজুরের শরবত এবং মাখন বা তেল ব্যবহার করে প্রস্তুত একটি জনপ্রিয় খাবার হল আসিদা[৩] রান্না করা কুমড়া এবং টমেটো সসের মিশ্রণের সাথেও বাজিন খাওয়া যেতে পারে।[৫] খাওয়ার সময়, বাজিন প্রথমে চূর্ণ করা হয়, তারপর খাওয়া হয়।[৪] বাজিন একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং লিবিয়ার জাতীয় খাবার হিসেবে বর্ণিত।[৩][৪]

সস[সম্পাদনা]

বাজিন সস তৈরির জন্য মাটন (বিশেষত কাঁধ বা পা -এর অংশ) -কে কুঁচো পেঁয়াজ, হলুদ, লবণ, মরিচের গুঁড়া, হেলবা (মেথি), মিষ্টি পেপরিকা মরিচ, কালো মরিচ এবং টমেটো বাটা দিয়ে ভাজা হয়। এই সসে মটরশুটি, মসুর ডাল এবং আলুও যোগ করা যেতে পারে। ময়দার গম্বুজের আকৃতির বাজিনের চারপাশে সস, ডিম, আলু এবং মাংস সাজানো হয়। এরপর সাধারণত লেবু এবং তাজা বা আচারযুক্ত (ইমসাইয়ার) মরিচ দিয়ে সম্পুর্ণ পদটি পরিবেশন করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rozario, P. (২০০৪)। Libyaবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Countries of the world। Gareth Stevens Pub.। পৃষ্ঠা 40আইএসবিএন 978-0-8368-3111-5 
  2. Davidson, A.; Jaine, T.; Davidson, J.; Saberi, H. (২০০৬)। The Oxford Companion to Food। Oxford Companions। OUP Oxford। পৃষ্ঠা 1356। আইএসবিএন 978-0-19-101825-1 
  3. Long, L.M. (২০১৫)। Ethnic American Food Today: A Cultural Encyclopedia। Ethnic American Food Today। Rowman & Littlefield Publishers। পৃষ্ঠা 376। আইএসবিএন 978-1-4422-2731-6 
  4. Blady, K. (২০০০)। Jewish Communities in Exotic Places। Jason Aronson, Incorporated। পৃষ্ঠা 327। আইএসবিএন 978-1-4616-2908-5 
  5. "The Libyan Journal of Agriculture"Volume 4। Faculty of Agriculture, University of Alfateh। ১৯৭৭। পৃষ্ঠা 199। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৬