বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেছীন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেছীন
জমিয়াতুল মুদার্রেছীন
সংক্ষেপেBJM (বি জে এম)
নীতিবাক্যমাদরাসা রক্ষা
গঠিত১৯৩৭
প্রতিষ্ঠাতাফুরফুরার পীর মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকি
প্রতিষ্ঠাস্থানকলকাতা
ধরনশিক্ষক সংগঠন
উদ্দেশ্যমাদরাসার শিক্ষক কল্যান
সদরদপ্তর৫৪, এ-বি, গাউসুল আজম মসজিদ, মহাখালী, গুলশান, ঢাকা -১২১২
যে অঞ্চলে
বাংলাদেশ
ক্ষেত্রসমূহশিক্ষা, ভাতা, সহযোগিতা
সদস্যপদ
বাংলাদেশের সমস্ত মাদরাসার শিক্ষক প্রায় ২৫ হাজার মাদরাসার শিক্ষক
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলাইংরেজি
মহাসচিব
শাব্বীর আহমদ মোমতাজী
প্রথম সভাপতি
মাওলানা এম এ মান্নান
বর্তমান সভাপতি
এ এম এম বাহাউদ্দিন
আছে
ওয়েবসাইটhttps://www.bjm.org.bd/
প্রাক্তন নাম
বাংলা-আসাম জমিয়াতুল মুদার্রেছীন

জমিয়াতুল মুদার্রেছীন বাংলাদেশের আলিয়া মাদরাসাসমূহের শিক্ষকগণের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।[১][২] ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি তৎকালীন ভারত ও বাংলাদেশে ইসলাম ও মাদরাসা শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।[৩][৪]

নামকরণ[সম্পাদনা]

জমিয়াতুল মুদার্রেছীন আরবি দুটি শব্দ, অর্থ- মাদরাসার শিক্ষকগণ। যেহেতু মাদরাসার শিক্ষকগণ এ সংগঠনটির সদস্য তাই এ নাম।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৭৮০ সালে কলকাতা আলিয়া মাদরাসা স্থাপন হলে এ বাংলা ও আসামে অসংখ্য আলিয়া মাদরাসার কারিকুলামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সবমাদরাসা প্রতিষ্ঠার পিছনে ভারতের পীর-মাশায়েখগণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩৭ সালে ফুরফুরার পীর আবু বকর সিদ্দিকী ও ছারছীনার পীর নেছারউদ্দীন আহমদের চেষ্টায় বাংলা-আসাম জমিয়াতুল মুদার্রেছীন নামে প্রথম সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে জৌনপুরীর পীর, ফুলতলির পীর, ফেনীর মাওলানা ওবায়দুল হক প্রমুখ এ সংগঠনের উন্নয়নে জড়িত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে মাওলানা এম এ মান্নান এর হাল ধরেন এবং সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে সংগঠনটির কার্যক্রম চলমান আছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

  • শিক্ষক, ছাত্রদের সমস্যার সমাধান।
  • মাদরাসার সার্থ রক্ষা
  • আরবি শিক্ষার প্রসার
  • ইসলামী সমাজ কায়েমে যোগ্য নাগরিক তৈরী করা। ইত্যাদি।[৫]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

সংগঠনটির আছে-

  • জাতীয় নির্বাহী পরিষদ
  • জেলা কমিটি
  • উপজেলা কমিটি
  • মহানগর কমিটিি।[৬]

এসব কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক, মাদরাসা ও ছাত্রদের সমস্যার সমাধান এবং সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করে।[৭]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

জমিয়াতুল মুদার্রেছীন ও সাধারণ শিক্ষক সংগঠনদের সাথে এ সংগঠনের মাঝে মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক সাধারণ শিক্ষিতদের মাদরাসার দায়িত্বে নিয়োগের দাবির ক্ষেত্রে মতবিরোধ দেখা দেয়।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Dainikshiksha। "মাদরাসা শিক্ষা: মুখোমুখি জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও জেনারেল টিচার্স - দৈনিকশিক্ষা"Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪ 
  2. "'মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন-আধুনিকায়নে সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য' | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২১-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫ 
  3. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে-মহাসচিব, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫ 
  4. "শিক্ষামন্ত্রীকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের অভিনন্দন"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫ 
  5. Rangamati, আলোকিত রাঙামাটি :: Alokito। "মাদরাসা শিক্ষকদের সরকারি বেতন চালু করেন বঙ্গবন্ধু"Alokito Rangamati (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪ 
  6. রিপোর্টার, স্টাফ। "জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অভিনন্দন"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪ 
  7. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "জমিয়তুল মোদার্রেছীনের মানববন্ধন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. Dainikshiksha। "মাদরাসা শিক্ষা: মুখোমুখি জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও জেনারেল টিচার্স - দৈনিকশিক্ষা"Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪