বাংলাদেশী ১ পয়সা
বাংলাদেশ | |
মূল্য | ০.০১ ৳ |
---|---|
আকৃতি | গোলাকার |
গাঠনিক উপাদান | অ্যালুমিনিয়াম |
অভিমুখ | |
নকশা | শাপলা |
বিপরীতদিক | |
নকশা | ফ্লোরাল অর্নামেন্টাল ডিজাইন |
এক পয়সা হল বাংলাদেশী টাকার সবচেয়ে ছোট আকৃতির এবং সবচেয়ে কম মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা। এক পয়সার অ্যালুমিনিয়ামের এই মূদ্রা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে।[১] বর্তমানে বাংলাদেশে এক পয়সার ব্যবহার নেই।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানি রুপি ছিল দেশটির প্রচলিত মুদ্রা। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ সর্বপ্রথম বাংলাদেশী মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়।[২] সরকারি মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা, পরবর্তীতে টাকাকে প্রকাশের চিহ্ন বা সংকেত হিসাবে "৳" কে নির্ধারণ করা হয়। টাকার সর্বনিম্ন একক নির্ধারণ করা হয় এক টাকা। আর এক টাকার শতাংশকে পয়সা নামে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ ৳১ সমান ১০০ পয়সা। ১৯৭৩ সালে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা ও ৫০ পয়সার প্রচলন শুরু হয়।[২][৩]
নকশা
[সম্পাদনা]এক পয়সার মুদ্রার নকশার অভিমুখে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক। জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল, শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা।
১৯৭৪ সালে প্রকাশিত অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি বৃত্তাকার এই মুদ্রার বিপরীতভাগে ‘ফ্লোরাল অর্নামেন্টাল ডিজাইন’ ছিল। সবার উপরের দিকে বাংলাদেশ লেখাটি আর নিচে মুদ্রাটি প্রকাশের বছর উল্লেখ করা ছিল, নিচের দিকে মুদ্রাটির মান অঙ্কে লেখা ও ভাষায় লেখা ছিল ।
আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সচল মুদ্রা, অচল মুদ্রা"। দৈনিক প্রথম আলো। জানুয়ারি ১৩, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৬, ২০২১।
- ↑ ক খ "বাংলাদেশের মুদ্রার ইতিহাস"। prezi.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২১।
- ↑ "BDT | Bangladeshi Taka | OANDA" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২১।