বহুপতিত্ব

বহুপতিত্ব হলো বহুগামিতার একটি রূপ যেখানে এক নারী একই সময়ে দুই বা ততোধিক স্বামী গ্রহণ করেন। বহুপতিত্ব বহুবিবাহের সাথে বিপরীত, যার মধ্যে এক পুরুষ এবং দুই বা ততোধিক নারী জড়িত। যদি বিবাহে প্রতিটি লিঙ্গের অংশগ্রহণকারীদের বহুবচন সংখ্যক জড়িত থাকে, তবে এটি বহুগামিতা,^[১] সমষ্টি বা যৌথ বিবাহ বলা যেতে পারে।^[২] বিস্তৃত ব্যবহারে, বহুপতিত্ব বলতে বিবাহের মধ্যে বা ছাড়া একাধিক পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ককে বোঝায়। এটি বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যেমন উত্তরাধিকারী বহুপতিত্ব, সংশ্লিষ্ট বহুপতিত্ব, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বহুপতিত্ব।^{[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]}

১৯৮০ নৃতাত্ত্বিক মানচিত্রে তালিকাভুক্ত ১,২৩১টি সমাজের মধ্যে ১৮৬টি একগামী, ৪৫৩ টির মাঝে মাঝে বহুবিবাহ ছিল, ৫৮৮ টির ঘন ঘন বহুবিবাহ ছিল এবং চারটি বহুপতিত্ব ছিল।^[৩] এই পরিসংখ্যানের চেয়ে বহুপতিত্ব কম বিরল, কারণ এটি শুধুমাত্র হিমালয় পর্বত অঞ্চলে (আটটি সমাজ) পাওয়া উদাহরণগুলি বিবেচনা করে। আরো সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া গেছে অন্তত চারটি সমাজ বহুপতিত্ব চর্চা করছে।^[৪]

নেপাল ও চীনের কিছু অংশে তিব্বতিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বহুপতিত্ব প্রচলন রয়েছে, যেখানে দুই বা ততোধিক ভাই একই স্ত্রীকে বিয়ে করেন, যেখানে স্ত্রীর সমান "যৌন অভিগমন" থাকে।^[৫]^[৬] এটি আংশিক পিতৃত্বের সাথে যুক্ত, সাংস্কৃতিক বিশ্বাস যে এক সন্তানের একাধিক পিতা থাকতে পারে।^[৪] ভারতে বহুপতিত্বর অনুশীলনকারী বেশ কয়েকটি জাতিগত গোষ্ঠী তাদের প্রথাগুলিকে তাদের বংশধর দ্রৌপদী থেকে চিহ্নিত করে, মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র যিনি পাঁচ ভাইকে বিয়ে করেছিলেন, যদিও স্থানীয় প্রথাগুলি নিজেদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ নাও হতে পারে।

দুর্লভ পরিবেশগত সংস্থান সহ সমাজে বহুপতিত্বের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয়। এটি মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে সীমিত করে এবং শিশুর বেঁচে থাকাকে উন্নত করে বলে বিশ্বাস করা হয়।^[৬]^[৭] এটি কেবল কৃষক পরিবারেই নয় অভিজাত পরিবারের মধ্যেও বিদ্যমান।^[৮] উদাহরণস্বরূপ, হিমালয় পর্বতমালায় বহুপতিত্ব ভূমির অভাবের সাথে সম্পর্কিত। একই স্ত্রীর সাথে একটি পরিবারের সকল ভাইয়ের বিবাহ পারিবারিক জমি অক্ষত ও অবিভক্ত থাকতে দেয়। যদি প্রত্যেক ভাই আলাদাভাবে বিয়ে করে এবং সন্তান থাকে, তাহলে পারিবারিক জমি অস্থিতিশীল ছোট ছোট প্লটে বিভক্ত হবে। বিপরীতে, খুব দরিদ্র ব্যক্তিদের জমির মালিকানা নেই তাদের বৌদ্ধ লাদাখ ও জান্সকারে বহুপতিত্ব পালন করার সম্ভাবনা কম ছিল।^[৬]

ইউরোপে, ভূমি বিভাজন রোধ করা হয়েছিল নিরপেক্ষ উত্তরাধিকারের সামাজিক অনুশীলনের মাধ্যমে। বেশিরভাগ ভাইবোনদের উত্তরাধিকারসূত্রে বাদ দেওয়ায়, তাদের মধ্যে অনেকেই ব্রহ্মচারী সন্ন্যাসী এবং পুরোহিত হয়েছিলেন।^[৯]

তথ্যসূত্র

↑ McCullough, Derek; Hall, David S. (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Polyamory – What it is and what it isn't."। Electronic Journal of Human Sexuality। 6। ১০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫।
↑ Zeitzen, Miriam Koktvedgaard (২০০৮)। Polygamy: a cross-cultural analysis। Berg। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 978-1-84520-220-0। ২০২০-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-০৮।
↑ Ethnographic Atlas Codebook ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১১-১৮ তারিখে derived from George P. Murdock's Ethnographic Atlas recording the marital composition of 1,231 societies from 1960 to 1980.
↑ ^ক ^খ Starkweather, Katherine; Hames, Raymond (২০১২)। "A survey of non-classical polyandry"। Human Nature (Hawthorne, N.Y.)। 23 (2): 149–150। এসটুসিআইডি 2008559। ডিওআই:10.1007/s12110-012-9144-x। পিএমআইডি 22688804। ২০১৯-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৯।
↑ Dreger, A. (২০১৩)। "When Taking Multiple Husbands Makes Sense"। The Atlantic। ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৮।
↑ ^ক ^খ ^গ Gielen, U. P. (1993). Gender Roles in traditional Tibetan cultures. In L. L. Adler (Ed.), International handbook on gender roles (pp. 413–437). Westport, CT: Greenwood Press.
↑ (Linda Stone, Kinship and Gender, 2006, Westview, 3rd ed., ch. 6) The Center for Research on Tibet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০১-২১ তারিখে Papers on Tibetan Marriage and Polyandry (accessed October 1, 2006).
↑ Goldstein, "Pahari and Tibetan Polyandry Revisited" in Ethnology 17(3): 325–327 (1978) (The Center for Research on Tibet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০১-২১ তারিখে; accessed October 1, 2007).
↑ Levine, Nancy (১৯৯৮)। The Dynamics of polyandry: kinship, domesticity, and population on the Tibetan border। Chicago: University of Chicago Press।

বহিঃসংযোগ

"Polyandry"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 22 (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

[1] McCullough, Derek; Hall, David S. (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Polyamory – What it is and what it isn't."। Electronic Journal of Human Sexuality। 6। ১০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫।

[Zeitzen-2] Zeitzen, Miriam Koktvedgaard (২০০৮)। Polygamy: a cross-cultural analysis। Berg। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 978-1-84520-220-0। ২০২০-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-০৮।

[Atlas-3] Ethnographic Atlas Codebook ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১১-১৮ তারিখে derived from George P. Murdock's Ethnographic Atlas recording the marital composition of 1,231 societies from 1960 to 1980.

[Starkweather/Hames_2012-4] ক ^খ Starkweather, Katherine; Hames, Raymond (২০১২)। "A survey of non-classical polyandry"। Human Nature (Hawthorne, N.Y.)। 23 (2): 149–150। এসটুসিআইডি 2008559। ডিওআই:10.1007/s12110-012-9144-x। পিএমআইডি 22688804। ২০১৯-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৯।

[5] Dreger, A. (২০১৩)। "When Taking Multiple Husbands Makes Sense"। The Atlantic। ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৮।

[Gielen1993-6] ক ^খ ^গ Gielen, U. P. (1993). Gender Roles in traditional Tibetan cultures. In L. L. Adler (Ed.), International handbook on gender roles (pp. 413–437). Westport, CT: Greenwood Press.

[Stone2006-7] (Linda Stone, Kinship and Gender, 2006, Westview, 3rd ed., ch. 6) The Center for Research on Tibet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০১-২১ তারিখে Papers on Tibetan Marriage and Polyandry (accessed October 1, 2006).

[8] Goldstein, "Pahari and Tibetan Polyandry Revisited" in Ethnology 17(3): 325–327 (1978) (The Center for Research on Tibet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০১-২১ তারিখে; accessed October 1, 2007).

[9] Levine, Nancy (১৯৯৮)। The Dynamics of polyandry: kinship, domesticity, and population on the Tibetan border। Chicago: University of Chicago Press।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ