বর্মী লটারি
অংবালে ( বর্মী: အောင်ဘာလေထီ ; বিকল্প বানান অং বার জে, lit. "আপনি জিততে পারেন") মিয়ানমারের সরকারী লটারি। এটি একটি মাসিক লটারি। মিয়ানমারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজ্য লটারি অধিদপ্তর কর্তৃক দ্বারা পরিচালিত হয়।[১][২] ম্যাগওয়ে অঞ্চলের ওয়াজিতে একটি রাষ্ট্রীয় মুদ্রণালয়ে লটারির টিকিট মুদ্রিত হয়। একই স্থানে মিয়ানমার ক্যত এবং পাসপোর্ট মুদ্রিত হয়।[৩][৪] কোনবাং রাজবংশের শাসনামলে মিয়ানমারে প্রথম লটারির প্রচলন হয়; তবে দেশটির আধুনিক লটারি ১৯৩৮ সাল হতে প্রচলিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কোনবাং রাজবংশের সময় প্রথম বার্মিজ লটারি চালু হয়ে। রাজা থিবাও মিনের শাসনামলে ১৮৭৮ সালে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বাড়ানোর প্রয়াসে একটি রাষ্ট্রীয় লটারি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৫] এই লটারিটির প্রচলন করার উদ্যোগটি ছিল ফো হ্লাইংয়ের এর মস্তিষ্কপ্রসূত, যিনি প্যারিসে ফরাসি লটারি খেলেছিলেন।[৫] লটারির প্রশাসনের সাথে স্বার্থের দ্বন্দ্ব, রাজস্ব হ্রাস, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জুয়া খেলার বিরুদ্ধে নিন্দার মত সমস্যার কারণে ১৮৮০ সালে লটারি বন্ধ হয়েছিল।[৫]
১৯৩৮ সালের ১ জুন সরকারী লটারি প্রশাসন দপ্তর (বর্মী: অং বা লে থেইনসু) প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে ২ ক্যত মূল্যের লটারি চালু হয়েছিল, তখন সর্বোচ্চ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ১,০০,০০০ ক্যত। পরবর্তীতে ৫, ১০, ৫০, ১০০ ও ২০০ ক্যত মূলমানের লটারি টিকিট পর্যায়ক্রমে চালু হয়েছিল। ২০১২ সালে লটারির পুরস্কার মূল্য ১৫০ মিলিয়ন ক্যত করা হয়।[৪] ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লটারির টিকেটের মূল্য ১০০০ ক্যত পর্যন্ত বেড়েছে।[৬]
বিক্রয় ও আয়
[সম্পাদনা]বর্তমান লটারিটি প্রথম ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চালু করা হয়েছিল এবং এটি দেশে জুয়া খেলার একমাত্র বৈধ রূপ।[২] লটারি দপ্তরের ইয়াঙ্গুনের প্রধান কার্যালয় ও মান্দালয়ের শাখা দপ্তর হতে সরাসরি বিক্রি হয়, অন্যান্য রাজ্য ও অঞ্চলে রাজস্ব কার্যালয়গুলি লটারির বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।[৬] লটারি টিকিট বিক্রি থেকে বার্মিজ সরকার প্রতি বছর ২৮.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের রাজস্ব আয় করে। মিয়ানমারে প্রতি মাসে ৩০ মিলিয়নের বেশি লটারি টিকিট বিক্রি হয়।[২] মিয়ানমার সরকার প্রতি টিকিট হতে ৪০ % কর হিসেবে সংগ্রহ এবং অবশিষ্ট ৬০% পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করে।[৬] ২০১৩ হতে মিয়ানমারে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ে অবৈধ জুয়া এবং ব্যাংকক স্টক এক্সচেঞ্জের সংখ্যা বিষয়ক জুয়ার প্রতি নাগরিকরা আকৃষ্ট হওয়ায় এটির বিক্রয় কমে গেছে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Against the odds"। The Economist। ৮ অক্টোবর ২০১২। ২০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Noe Noe Aung (১৫ জুলাই ২০১৪)। "The big pay-off: demystifying the state lottery"। Myanmar Times। ২০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Guyitt, Wade (১৪ জুলাই ২০১৪)। "Background check: Myanmar's banking history"। Myanmar Times। ২০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Roughneen, Simon (৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Days Not Numbered for Burma's Lottery, Chief Says"। The Irrawaddy। ২০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Thant Myint-U (২০০১)। The Making of Modern Burma। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ১৬৬। আইএসবিএন 9780521799140।
- ↑ ক খ গ "ေအာင္ဘာေလထီအေၾကာင္း"। aungbarlay-mm.com (বর্মি ভাষায়)। ২০১৬-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৫।