বরখা মদন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বরখা মদন
পেশাচলচ্চিত্র অভিনেত্রী, টেলিভিশন অভিনেত্রী, মডেল
কর্মজীবন১৯৯৪–বর্তমান

বরখা মদন হলেন একজন অভিনেত্রী, মডেল এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি তাঁর কর্মজীবনে হিন্দিপাঞ্জাবি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[১] তিনি বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্বও পালন করেছেন। বৌদ্ধ মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে, তিনি বৌদ্ধ মঠবাসিনী হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে ভেন. গেয়াল্টেন স্যামটেন রেখেছিলেন।[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বরখা মদন ভারতের একটি পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[১] তিনি ১৯৯৪ সালের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সুস্মিতা সেন এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের সাথে একজন চূড়ান্ত প্রতিযোগী হিসেবে ছিলেন। সেই বছর উক্ত প্রতিযোগিতায় অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা হলেন প্রিয়া গিল, শ্বেতা মেনন, জেসি রণধাওয়া এবং মানিনী দে[১] তিনি ১৯৯৪ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত মিস ট্যুরিজম ইন্টারন্যাশনাল নামক প্রতিযোগিতার রানার-আপ হয়েছিলেন।[১] তিনি একজন সফল মডেল হিসেবে ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড চলচ্চিত্র খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি-তে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক করেন; এই চলচ্চিত্রে তিনি অক্ষয় কুমাররেখার মতো অভিনয়শিল্পীদের সাথে অভিনয় করেছেন।[১][৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

যদিও খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি তে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের পরে তিনি অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু বরখা বেছে বেছে কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ইন্দো-ওলন্দাজ চলচ্চিত্র ড্রাইভিং মিস পামেন এর মাধ্যমেে বিদেশি ছবিতে প্রবেশ করেছিলেন। অতঃপর তিনি রাম গোপাল বর্মার ২০০৩ সালের ভৌতিক চলচ্চিত্র ভূত-এ অভিনয় করেছিলেন; যা তাঁর চলচ্চিত্র জীবনে এক নতুন মোড়ে নিয়ে আসে। এই চলচ্চিত্রটি সেই সময়ের এক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে পরিণত হয়। এই চলচ্চিত্রে তিনি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং তিনি তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।

তিনি মেধাবী স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রচারের জন্য গোল্ডেন গেট এলএলসি নামে একটি প্রযোজনা এবং বিতরণ সংস্থা শুরু করেছিলেন। এটি তাঁর নেতৃত্বে সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত চলচ্চিত্র, সোচ লো এবং সুরখাব প্রযোজনা করেছে। তিনি প্রায় ২০টি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের কাজ করার মাধ্যমে টেলিভিশন জগতের একজন জনপ্রিয় চেহারায় পরিণত হয়েছিলেন।[৪]

আধ্যাত্মিকতা[সম্পাদনা]

বরখা বৌদ্ধধর্মের মতাদর্শ দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তিনি দালাই লামার একজন অনুসারীতে পরিণত হয়েছিলেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে, তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীতে পরিণত হওয়ার মন স্থির করেছিলেন। তিনি লামা জোপা রিনপোচের তত্ত্বাবধানে ৪ঠা নভেম্বর তারিখে সেরার জে মঠ থেকে তাঁর অধ্যাদেশ পেয়েছিলেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে ভেন. গেয়াল্টেন স্যামটেন রাখেন। তিনি পরে মন্তব্য করেছিলেন যে, এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Barkha Madan: From Punjabi-Hindi film actress to a Buddhist nun!"In.com (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মে ২০১৯। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. "ഗ്ലാമര്‍ റാണിയില്‍ നിന്ന് സന്യാസിനിയായി മാറിയ താരം"। manoramaonline। ৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  3. "About Us | Indian Entertainment Online"। Indianentertainment.info। ৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  4. "Barkha Madan Bio from Mumbai, Maharashtra, India"। Funbaz.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  5. "The "Bollywood" Nun: An Indian Actress Takes Ordination Vows « Mandala Publications"। Mandala.fpmt.org। ৪ নভেম্বর ২০১২। ২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]