বইঙ্গা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বইঙ্গা শব্দের অর্থ বাঙালি। পালি ভাষা বঙ্গিয়া (বঙ্গ+ইয়া=বঙ্গিয়া) হতে বইঙ্গা বা ভইঙ্গা শব্দের উদ্ভব।[১] এটি অসমীয়া, চাকমা ও চাটগাঁইয়া জাতিগোষ্ঠীর উচ্চারিত একটি জাতিবাচক আঞ্চলিক শব্দ। যা পদ হিসেবে বিশেষ্য।[২][৩][৪]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

আসামে রাজ্যে, নিম্ন ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকা অঞ্চলে বাঙ্গালিদের বসবাস। রাজ্যে বসবাস করা বাঙালিদের মূলত বইঙ্গা বা বঙ্গাল ডাকা হয়।[৫][৬]

  • চাটগাঁইয়া জাতি

ফেনী নদীর উত্তরের জনগোষ্ঠী কিংবা যারা চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি, এতিহ্য ও চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলতে পারে না তেমন লোকদের বইঙ্গা বলা হয়।[৭] চট্টগ্রাম শহরেও বইঙ্গা শব্দটি একই অর্থে ব্যবহার করা হয়।[৮] চট্টগ্রাম অঞ্চলে, বইঙ্গা শব্দটি এসেছে আরাকান রাজ্যের স্থানীয় বৌদ্ধ আরকানী (রাখাইন জাতি) থেকে।[৩] তৎকালীন সময়ে আরাকানের স্থানীয়রা, আরাকান রাজ্যের উত্তরে ভুলুয়া(নোয়াখালী) হতে শুরু করে বাংলাভাষী এলাকা বিশেষ করে প্রতিবেশী বঙ্গ অঞ্চলের স্থানীয়দের বইঙ্গা ডাকার প্রচলন ছিলো।[৯][১০][১১][১২]

চাকমা নৃ-গোষ্ঠীরা বইঙ্গা শব্দ বেশি ব্যবহার করে। যার অর্থ যাযাবর।[১৩] যারা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে একটি স্থানে তিতু হয়ে যায়, তাদেরকে বইঙ্গা বলে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মহাস্থবির, শান্তিরক্ষিত (২০০৮)। পালি বাংলা অভিধান [(বৌদ্ধ পালি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় অনূদিত অভিধান বই)]। ঢাকা: বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। 
  2. "PEOPLE - Assam Online Portal"web.archive.org। ২০১২-০৮-৩১। ২০১৮-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  3. "বৈঙ্গা বা বইঙ্গা শব্দের অর্থ – Dr. Mohammed Amin"draminbd.com। ২০২৪-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  4. চাকমা কর্ম্মি, মাধবচন্দ্র (১৯৪০)। রাজনামা (১৯৯৭ সংস্করণ)। আগরতলা, ত্রিপুরা: উপজাতি গবেষণা কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ৮৭। 
  5. Chowdhury, Iftekhar Ahmed (২০১৮-০৯-০৭)। "Sylhetis, Assamese, 'Bongal Kheda', and the rolling thunder in the east"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  6. Albert Gait, Edward (১৯০৬)। A History of Assam। Gyan Publishing House। আইএসবিএন 9788121217835 
  7. R. H. Sneyd, Hutchinson (১৯০৬)। An Account Of The Chittagong Hill Tracts। The Bengal Secretariat Book Depot, Kolkata। 
  8. "দক্ষিণ চট্টগ্রামের ভাষা"। ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  9. Anthur, P. Pheyre. (১৯৬৭)। History of Burma, Including Burma Proper, Pegu, Taungu, Tenasserim and Arakan : From the Earliest time to the End of the First war with British India.। London। 
  10. Roy, Sumit (২০২২-১০-২১)। "চট্টগ্রামের আদি বা প্রাক-মুসলিম ইতিহাস"বিবর্তনপথ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  11. "আলাপন ব্লগ | চট্টগ্রাম - নোয়াখালী শব্দ যুদ্ধ"আলাপন ব্লগ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  12. Robinson, M; Shaw, L.A (১৯৮০)। The Coins and Bank notes of Burma। Manchester, England। পৃষ্ঠা 45–48। 
  13. Lewin, T. H (১৯৬৯)। Hill Tricts of Chittagong and the Dwellers Therein। Bengal Printing Company Limited, Calcutta। পৃষ্ঠা 62–75।