ফ্যাজান ও সডির গ্রুপ সরণ সূত্র

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের বিভিন্ন ক্ষয়ের ফলে সরণ। অনুভূমিক অক্ষ: পারমাণবিক সংখ্যা Z , উল্লম্ব অক্ষ: নিউট্রন সংখ্যা N

তেজস্ক্রিয় সরণ সূত্র, যা তেজস্ক্রিয়তা এবং পারমাণবিক পদার্থবিদ্যায় ফাজান ও সডির সূত্র নামেও পরিচিত, একটি নীতি যা তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের সময় নিউক্লিয় মৌলান্তর নিয়ন্ত্রণ করে। এটির নামকরণ করা হয়েছে ফ্রেডরিক সডি এবং কাজিমিয়ের্জ ফাজানসের নামে, যাঁরা ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রায় একই সময়ে পৃথকভাবে এই সূত্রে উপনীত হয়েছিলেন।

কোনো পরমাণু নির্দিষ্ট কোনো প্রকার তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের সময় কোন রাসায়নিক উপাদান এবং আইসোটোপ তৈরি হয়, তা এই সূত্রের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়:

• আলফা ক্ষয়ের ফলে এমন একটি পরমাণু তৈরি হয় যার পারমাণবিক সংখ্যা জনক-আইসোটোপের থেকে ২ একক কম এবং ভরসংখ্যা থেকে ৪ (চার) একক কম হয়, যেমন:

${}_{92}^{238}{\text{U}}\to {}_{90}^{234}{\text{Th}}$

• বিটা ক্ষয়ের ফলে উৎপন্ন পরমাণুর ভরসংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা মূল তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের চেয়ে ১ একক বেশি হয়, যেমন:

${}_{82}^{212}{\text{Pb}}\to {}_{83}^{212}{\text{Bi}}$

• পূর্বোক্ত ঘটনাটি β⁻ ক্ষয় বা ইলেক্ট্রন নির্গমনের সাথে মিলে যায়, ১৯১৩ সালে ফাজান এবং সডি তাদের সূত্র প্রস্তাব করার সময় কেবল এই প্রকার বিটা ক্ষয় পরিলক্ষিত হয়েছিল। পরবর্তীতে, ১৯৩০-এর দশকে, বিটা ক্ষয়ের অন্যান্য রূপ আবিষ্কৃত হয় যেগুলি β⁺ ক্ষয় ( পজিট্রন নির্গমন ) এবং ইলেকট্রন ক্যাপচার নামে পরিচিত। এতে পারমাণবিক সংখ্যা মূল রেডিওআইসোটোপের চেয়ে ১ একক কম হয়ে যায়, যেমন:

${}_{61}^{144}{\text{Pm}}\to {}_{60}^{144}{\text{Nd}}$

আরো দেখুন

• তেজস্ক্রিয়তার ক্ষয়চক্র