ফুন্টসলিং
ফুন্টসলিং | |
---|---|
শহর | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৫১′ উত্তর ৮৯°১৪′ পূর্ব / ২৬.৮৫° উত্তর ৮৯.২৩° পূর্ব | |
দেশ | ভুটান |
উচ্চতা | ৯৬১ মিটার (৩,১৫৩ ফুট) |
জনসংখ্যা | ৬০,৪০০ |
ফুন্টসলিং হল ভুটান এর একটি সীমান্ত শহর।এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।শহরটি সীমান্ত জেলা চুখা জেলাতে অবস্থিত।[১]। শহরটি ভুটানের শিল্প ও বাণিজ্য শহর হিসাবেও পরিচিত। শহরটি ভারত ও ভুটান সীমান্তে ভুটানে অবস্থিত। এই শহর দ্বারাই ভুটানের সঙ্গে ভারতের বেশির ভাগ ব্যবসা বাণিজ্য হয়।এক সময় এই শহরে ভুটানের রিজার্ভ ব্যাঙ্কক এর সদর দপ্তর অবস্থিত ছিল। এখান ওই ব্যঙ্ক থিম্পুতে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। এই শহরের কাছেই চুখা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।এই শহরের বিপরীতে ভারত এর আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ শহরটি অবস্থিত। ফুন্টসলিং শহরটি ভুটানের প্রবেশের প্রবেশ দ্বার হিসাবে কাজ করে। ভারত থেকে ভুটানে প্রবেশের সময় ভুটানের এই শহরটিতেই প্রথমে যেতে হয়। ২০১৭ সালে ফুন্টসলিংয়ের জনসংখ্যা ছিল ২৭,৬৫৮ জন।[২]
অবস্থান
[সম্পাদনা]ফুন্টসলিং শহরটি ভুটান দক্ষিণ অংশে অবস্থিত।এই শহরটি ভুটান ও ভারত এর সীমান্তবর্তী এলাকায় ভুটানের অংশে অবস্থিত।শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৯৬১ মিটার বা ২,২০৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি ২৬.৮৫ উত্তর ও ৮৯.২৩ পূর্বে অবস্থান করছে।ফুন্টসলিং থিম্পু থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভূপ্রকৃতি
[সম্পাদনা]
শহরটি হিমালয় এর পাদদেশে তরাই সংলগ্ন ডুয়ার্স এলাকায় অবস্থিত।শহরটি একটি পার্বত্য ছোট উপত্যকায় অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৪ সালের ৫ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডে রাজা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, সংস্কারবাদী প্রধানমন্ত্রী জিগমে দোরজিকে ফুন্টশোলিংয়ে রাজতন্ত্রবাদী ক্যাডাররা হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে দোর্জি পরিবারের উপরে নজরদারি করা হয়।[৩]
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]শেষ জনগণনা অনুয়ায়ী শহরটির মোট জনসংখ্যা হল ৬০,৪০০ জন।জন সংখ্যার হিসাবে শহরটি ভুটানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বা নগরাঞ্চল।শহরটির মোট জনসংখ্যার মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম এর মানুষ সংখ্যা গরিষ্ঠ।এছাড়াও এই শহরে বহু হিন্দু ধর্ম এর মানুষ বাস করে।শহরটির মোট জন সংখ্যার মধ্যে ভুটানিদের সংখ্যা বেশি ।এছাড়াও এখানে বহু নেপালি ও ভারতীয় মানুষ বাস করে।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]ফুন্টসলিং শহরটির প্রভাব ভুটানের অর্থনীতির উপর বিরাট। এই শহরটি দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বেশির ভাগ সম্পন্ন হয়। এই শহরের দ্বারাই ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চাল, চিনি,পরিশোধিত খনিজ তেল, ঔষধ প্রভৃতি ভুটানে প্রবেশ করে।ভুটান থেকে বিভিন্ন জিনিস ভারতে পাঠানো হয় এই শহরের দ্বারাই।ভারত ছাড়া অন্য দেশের সঙ্গে সমুদ্র পথে বাণিজ্য করার জন্য কলকাতা বন্দর ও হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স সারাসরি ফুন্টসলিং এর সঙ্গে যুক্ত।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]শহরটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে শুধু মাত্র সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।এই শহরে কোনো রেল বা বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই।শহরটি সড়ক পথে রাজধানী থিম্পু এর সঙ্গে যুক্ত।এই পথে ফুন্টসিলিং থেকে থিম্পু পর্যন্ত বাস পরিসেবা রয়েছে।এছাড়া কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ফুন্টসলিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাস পরিসেবা রয়েছে।এই শহর থেকে একটি এশিয়ান মহাসড়ক বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নির্মাণ এর কথা চলছে। অসম্ভব সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি শহর।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বজ্র ড্রাগনের দেশ"। bdnews.com। ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Bhutan: largest cities and towns and statistics of their population"। World Gazetteer। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-১১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Ram Rahul (১৯৯৭)। Royal Bhutan: a political history। Vikas। পৃষ্ঠা 94–95। আইএসবিএন 81-259-0232-5।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিভ্রমণ থেকে ফুন্টসলিং ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
- 'Himalayas' Sentry', Travelogue in The Indian Express, 21-09-08, by Arjun Razdan