ফারিসুদ্দিন আকতাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফারিসুদ্দিন আকতাই জামদার ( আরবি: فارس الدين أقطاى الجمدار) (মৃত্যু ১২৫৪, কায়রো ) ছিলেন একজন তুর্কি-কিপচাক আমির (সুলতান) এবং বাহরি রাজবংশের মামলুকদের নেতা।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আইয়ুবীয় সুলতান সালিহ আইয়ুব মারা গেলে আকতাইকে হাসানকেফে পাঠানো হয়েছিল মৃত সুলতানের পুত্র এবং উত্তরাধিকারী তুরানশাহকে মিশরে ফিরিয়ে আনার জন্য। মানসুরার যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন মামলুক কমান্ডারদের একজন যারা ফরাসি রাজা লুই নবমের নেতৃত্বে ফ্রাঙ্কিশ বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন। মানসুরার যুদ্ধের পর তুরানশাহ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতাকারী মামলুকদের একজন ছিলেন আকতাই।

সুলতান আইবাকের সময়ে তিনি মিশরীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যারা ১২৫০ সালের অক্টোবরে সিরিয়ার আইয়ুবীয় শাসক নাসির ইউসুফের সেনাবাহিনীকে গাজায় পরাজিত করেছিল এবং একজন জেনারেল হিসাবে কোরার যুদ্ধে তিনি নাসির ইউসুফের চূড়ান্ত পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১২৫১ সালে তিনি সিরিয়ার কিছু অংশ জয় করেন এবং ১২৫২ সালে উত্তর মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দর শহর তার নিজস্ব অঞ্চল হয়ে ওঠে। ১২৫২ সালে ফারিসুদ্দিন আকতাই মুস্তারিব মধ্য ও উচ্চ মিশরে শরিফ হিসনুদ্দিন সালাবের নেতৃত্বের একটি বড় বিদ্রোহ দমন করেন।

হত্যা ও পরবর্তী[সম্পাদনা]

আইবাক অনুভব করেন যে, আকতাই এবং তার মামলুকরা তার কর্তৃত্বকে অস্বীকার করছে এবং তার রাজ্যের মধ্যে প্রায় একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছে; তাই তিনি তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। আইবাক, কুতুয এবং অন্যান্য কিছু মামলুকদের সাথে জড়িত একটি ষড়যন্ত্রে আকতাইকে সুলতানের দুর্গে হত্যা করা হয় এবং তার বন্ধু বাইবার্স বুন্দুকদারিসহ তার মামলুকরা সিরিয়া এবং কারকে পালিয়ে যান। আইনে জালুত যুদ্ধের পর বাইবার্স কুতুযকে হত্যা করেন। যদিও ক্ষমতালাভ বাইবার্সের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হয়, তবে অনেকের মতে তিনি এভাবে তার বন্ধু আকতাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিলেন।[১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. শাইয়াল, পৃ. ১২৬/খ. ২
  2. মাকরিজি, পৃ. ৫১৯-৫২০/প্রথম খন্ড