প্রিয়া ঝিঙ্গান
প্রিয়া ঝিঙ্গান | |
---|---|
আনুগত্য | ভারত |
সেবা/ | ভারতীয় সেনাবাহিনী |
পদমর্যাদা | মেজর |
প্রিয়া ঝিঙ্গান একজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা যিনি ১৯৯৩ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত প্রথম মহিলা ব্যাচের ২৫ জন অফিসারদের মধ্যে অন্যতম।[১][২] ঝিঙ্গান চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমির ০০১ নম্বর ক্যাডেট ছিলেন।[৩][৪][৫]
সেনা জীবন
[সম্পাদনা]একজন পুলিশ অফিসারের কন্যা হওয়ায় ঝিঙ্গান প্রথমে ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং সেজন্য তৎকালীন সেনাপ্রধান সুনিথ ফ্রান্সিস রদ্রিগেজকে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন।[১] তার অনুরোধটি ১৯৯২ গৃহীত হয়েছিল। চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ থেকে অন্যান্য ২৪ জন মহিলা মহিলা ক্যাডেটদের সাথে তার ওটিএ প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। তিনি তার শর্ট সার্ভিস কমিশন পেয়েছিলেন ৬ মার্চ ১৯৯৩ সালে এবং তাঁর নম্বর ছিল WS-00002W।[৩] তাঁর পদাতিক বিভাগে যোগদানের অনুরোধ সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাগণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং আইন স্নাতক হওয়ার কারণে তাঁকে জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলের কর্পসে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দশ বছর বিচারক অ্যাডভোকেট জেনারেলের চাকরির পরে ঝিঙ্গান ২০০২ সালে মেজর হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। সেনাবাহিনীতে মেয়েদের যোগদানের অধিকারের জন্য ঝিঙ্গান বরাবরই শক্তিশালী উকিল ছিলেন এবং লেফটেন্যান্ট সুস্মিতা চক্রবর্তীর বিতর্কিত আত্মহত্যার বিষয়ে সেই অধিকারেরই পক্ষে ছিলেন। উল্লেখ্য সেই ঘটনার সময় তৎকালীন ভাইস-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস পট্টভিরমনকে সেনাবাহিনীর নারীদের সম্পর্কে সংবেদনশীল মন্তব্য করার জন্য ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।[৬]
আর্মি থেকে অবসর গ্রহণের পরের জীবন
[সম্পাদনা]তিনি ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[৭] অবসর গ্রহণের পরে ঝিঙ্গান হরিয়ানা জুডিশিয়াল সার্ভিসের পথ পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন নি। তারপরে তিনি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় স্নাতক শেষ করেন এবং গ্যাংটকে সিকিম এক্সপ্রেস নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে তিনি অক্ষয় কুমার উপস্থাপিত ফিয়ার ফ্যাক্টর: খাতরো কে খিলাড়ি সিজন-১ এর অন্যতম অংশগ্রহণকারী ছিলেন।[৭] তিনি ২০১৩ সালে লরেন্স স্কুল, সানাওয়ারের একজন ইংরেজি শিক্ষক[৮] হিসেবে যোগদান করেন।[৯] এছাড়াও তিনি একজন গৃহিণী। প্রিয়া ঝিঙ্গান মনোজ মালহোত্রার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন যিনি সেনাবাহিনী থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং পেপটার্ফ নামক একটি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস সংস্থা পরিচালনা করেন। বর্তমানে এই দম্পতি হিমাচল প্রদেশের সোলানে থাকেন এবং তাদের এক ছেলে রয়েছে।[৬][১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Priya Jhingan army's first woman officer"। archive.indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৭।
- ↑ "List of 'First' Indian women in Indian history"। indiatoday.intoday.in। ২০১৭-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৭।
- ↑ ক খ Dr. Saroj Kumar Singh (২০১৭)। Role of Women in India। REDSHINE। আইএসবিএন 978-93-86483-09-6।
- ↑ "First Women"। zeenews.india.com। ২০১৭-০৮-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২০।
- ↑ "Indian women Making India proud"। timeskuwait.com। ২০১৮-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৭।
- ↑ ক খ "Vice-Chief apologises"। archive.indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২০।
- ↑ ক খ Team, Editorial (২০১৭-০৯-৩০)। "Meet Major Priya Jhingan (Cadet-001) - First Woman to Join Indian Army"। SSBToSuccess (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-৩০।
- ↑ "The Faculty of English"। sanawar.edu.in। ২০১৯-০২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৬।
- ↑ "The Lawrence School, Sanawar"। sanawar.edu.in। ২০১৯-০২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৯।
- ↑ "Major Priya Jhingan"। indiaschoolnews.com। ২০১৯-০২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৬।