কাসিনো সমুদ্র সৈকত

স্থানাঙ্ক: ৩৩°০৭′৩৪″ দক্ষিণ ৫২°৩৮′২২″ পশ্চিম / ৩৩.১২৬০৮০° দক্ষিণ ৫২.৬৩৯৩২৭° পশ্চিম / -33.126080; -52.639327
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(প্রাইয়া দো কাসিনো থেকে পুনর্নির্দেশিত)
কাসিনো
Praia do Cassino
সমুদ্র সৈকত
কাসিনো সমুদ্র সৈকতে পাখিরা
কাসিনো সমুদ্র সৈকতে পাখিরা
কাসিনো ব্রাজিল-এ অবস্থিত
কাসিনো
কাসিনো
ব্রাজিলের মানচিত্রে কাসিনো সমুদ্র সৈকতের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩৩°০৭′৩৪″ দক্ষিণ ৫২°৩৮′২২″ পশ্চিম / ৩৩.১২৬০৮০° দক্ষিণ ৫২.৬৩৯৩২৭° পশ্চিম / -33.126080; -52.639327
দেশ ব্রাজিল
রাজ্যরিও গ্রান্ডে দো সুল
মাত্রা
 • দৈর্ঘ্য২৫৪ কিলোমিটার (১৫৮ মাইল)

প্রাইয়া দো কাসিনো (পর্তুগিজ: Praia do Cassino; অনু. কাসিনো সমুদ্র সৈকত) হল পৃথিবীর দীর্ঘতম নিরবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে কাসিনো সমুদ্র সৈকতের পরে যথাক্রমে নব্বই মাইলকক্সবাজার রয়েছে।[১] বিভিন্ন সূত্র এর দৈর্ঘ্য ২১২ কিলোমিটার (১৩২ মা)[২] থেকে ২৫৪ কিলোমিটার (১৫৮ মা) পর্যন্ত নির্ণয় করেছে।[৩][৪][৫]

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

কাসিনো শব্দটি এসেছে পর্তুগিজ শব্দ Cassino থেকে যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Casino (ক্যাসিনো)।[৬] সমুদ্র সৈকত এলাকার বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে পর্যটকরা জুয়া খেলতে মিলিত হতো বিধায় এই সমুদ্র সৈকতের নাম হয়েছে কাসিনো সমুদ্র সৈকত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

অবস্থান[সম্পাদনা]

কাসিনো সমুদ্র সৈকত ব্রাজিলের দক্ষিণ উপকূলের রিও গ্রান্ডে দো সুল রাজ্যে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত যা উত্তরের রিও গ্রান্ডে সমুদ্র বন্দরের দিকে অবস্থিত বাঁধ থেকে দক্ষিণের উরুগুয়ে সীমান্তের দিকে চুই স্রোতধারা পর্যন্ত বিস্তৃত। রিও গ্রান্ডে শহর থেকে ২৪.২ কিলোমিটার (১৫.০ মা) দূরে এই সমুদ্র সৈকত অবস্থিত।[৭]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কাসিনো সমুদ্র সৈকত ব্রাজিলের প্রবীণতম স্পা হিসেবে পরিচিত যার যাত্রা শুরু হয় ১৮৯০ সাল থেকে। এই সমুদ্র সৈকতটিকে সাবআর্বান ম্যাঙ্গুইরা কোম্পানি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে।[৮] কোম্পানির পরিচালক এন্টোনিও কান্ডিডো সেকুইরা এবং কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা রাজ্য সরকারের সাহায্য নিয়ে সৈকত এলাকার জমি অধিগ্রহণ করে ১৮৯০ সালের ২৬শে জানুয়ারিতে একটি পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ করে। পরবর্তীতে এই পর্যটনকেন্দ্রটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং বড় বড় কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। সেই সময় জার্মান, ইংরেজ, পর্তুগিজ ও ইতালীয় বংশদ্ভূত ব্রাজিলীয়রা প্রায়শই এই সৈকত এলাকার দামী হোটেলগুলোতে সমুদ্র উপভোগ করতে আসতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতালীয় ও জার্মানদের উপর নিপীড়ন ও ১৯৪৬ সালে রুলেট নিষিদ্ধকরণ এলাকার অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে কাসিনো সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৬৬ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে কাসিনো সৈকতে একটি সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হওয়ার সময় নাসার বিজ্ঞানীরা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বায়ুমন্ডল নিয়ে গবেষণা করার উদ্দেশ্যে বেশকিছু রকেট এখান থেকে উৎক্ষেপণ করে।[৯]

১৯৯৪ সালের গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে প্রাইয়া দো কাসিনো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[১০][১১]

পর্যটন[সম্পাদনা]

প্রতি বছর দেড় লাখ পর্যটক প্রাইয়া দো কাসিনোতে ঘুরতে আসেন। শীতের মৌসুম বিশেষত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে এই স্থানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ভীড় বাড়ে। সাঁতার কাটা, সার্ফিং সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে পর্যটকদের এখানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। পৃথিবীর বৃহৎ সংখ্যক সীল মাছের আবাস্থল এই সমুদ্র সৈকতেই। নৌকায় করে বহু পর্যটক এসব সীল মাছ দর্শন করেন।[৭]

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

পশ্চিম জেটি[সম্পাদনা]

উপর থেকে পশ্চিম জেটি

সৈকত এলাকা থেকে দূরে শেষের দিকে পাথর দিয়ে একটি জেটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই জেটির গঠন পূর্ব জেটির সাথে রিও গ্রান্ডের জাহাজগুলো প্রবেশ ও বাহিরের পথকে রক্ষা করে। পশ্চিম জেটি থেকে জাহাজে করে বিশ মিনিটে বাতিঘর টাওয়ারে যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে অনেকে সমুদ্রে ডলফিন ও লুন দেখতে পেতে পারেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আঁটকে থাকা জাহাজ[সম্পাদনা]

আল্টায়ার জাহাজের ধ্বংসস্তূপ

কাসিনো থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে চুই স্রোতধারার দিকে ১৯৭৬ সালের জুন মাসে ঝড়ে আঁটকে থাকা "আল্টায়ার" জাহাজ সৈকতে দেখতে পাওয়া যায়।[১২][১৩]

ইয়েমাঞ্জা ভাষ্কর্য[সম্পাদনা]

ইয়েমাঞ্জা ভাষ্কর্য

এই ভাষ্কর্য রিও গ্রান্ডে এভিনিউর প্রবেশ মুখে সমুদ্রের সামনে অবস্থিত। এর শিল্পী ছিলেন রিও-গ্রান্ডিও এরিকো গোব্বি যিনি এই ভাষ্কর্য সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করেছেন।[১৪]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Largest Beach In The World - Discover Unusual Places"ট্রাক্সপ্লোরিও (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. Nogueira, Kiko (২০০৭)। Guia Quatro Rodas Praias 2007 (পর্তুগিজ ভাষায়)। São Paulo: Editora Abril 
  3. Susin, Raquel (ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০৭)। "Maior praia do Brasil" (পর্তুগিজ ভাষায়)। Rank Brasil। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১০ 
  4. Hueck, Karin; Miranda, Fabricio; Cohen, Otavio; Iria, Luiz; Garcia, Marcelo (মে ২০১৩)। "No limite do Brasil: conheça melhor as fronteiras do país"Superinteressante (পর্তুগিজ ভাষায়)। Grupo Abril। ২৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৪ 
  5. "The Longest Beaches In The World"WorldAtlas (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৩ 
  6. "Cassino definition and meaning"Collins English Dictionary (ইংরেজি ভাষায়)। 
  7. "Praia Do Cassino Beach, Brazil - Unique Places Around The World"ওয়ার্ল্ড এটলাস (ইংরেজি ভাষায়)। 
  8. Enke, Rebecca Guimarães (১৯ এপ্রিল ২০০৫)। "Balneário Villa Sequeira: a invenção de um novo lazer (1890-1905) Rio Grande, RS, Brasil" (পর্তুগিজ ভাষায়)। 
  9. "NASA SOUNDING ROCKET RESURGENGE 1965-1968"history.nasa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৩ 
  10. The Guinness Book of Records 1994 (Guinness World Records) (ইংরেজি ভাষায়)। 
  11. "The largest beach in the world! | Praia do Cassino in Rio Grande do Sul"BBMAG | International Lifestyle Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২০। ২০২১-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  12. "Prefeitura do Rio Grande > Atrativos Turísticos - Navio Altair"www.riogrande.rs.gov.br (পর্তুগিজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৯ 
  13. "Navio Altair: guardiões preservam a história do cargueiro"Grupo Oceano (পর্তুগিজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  14. "Tourist attractions: Statue of Iemanjá." (পর্তুগিজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]