পূর্ব তিমুর-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
পূর্ব তিমুর |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
---|
পূর্ব তিমুর-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বা তিমুর লেস্তে-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, পূর্ব তিমুর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন, ডি.সি শহরে, পূর্ব তিমুরের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি তে পূর্ব তিমুরের একটি দূতাবাস থাকার পাশাপাশি, নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের কার্যালয়ে দেশটির একটি স্থায়ী মিশন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, পূর্ব তিমুরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বর্তমানে পূর্ব তিমুরের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। ২০০৭ সালে, উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমের জন্য দেশটি পূর্ব তিমুরকে ২০.৬ মিলিয়ন (২.০৬ কোটি) মার্কিন ডলার প্রদান করে। এছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্বব্যাংক এর মাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব তিমুরকে সহায়তা প্রদান করে। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিস কর্পস, পূর্ব তিমুরে তাদের কার্যক্রম চালু করে। সংস্থাটি পূর্ব তিমুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা শুরু করে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অস্থিতিশীলতার জন্য, ২০০৬ সালে সংস্থাটি পূর্ব তিমুরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।
বর্তমানে, পূর্ব তিমুরে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হলেন ক্যারেন ক্লার্ক স্ট্যান্টন। পূর্ব তিমুরে অবস্থিত মার্কিন দাতব্য সংস্থা ইউএসএইড এর মিশন এর মিশন পরিচালক হলেন মার্ক অ্যান্থনি হোয়াইট। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা হলেন রবার্তো কুইরোজ। পূর্ব তিমুরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি হলেন মেজর রন সার্জেন্ট।
সহায়তা
[সম্পাদনা]১৯৯৯ সালে ইউএসএইড পূর্ব তিমুরে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটি পূর্ব তিমুরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার উন্নয়ন এবং কার্যকরী গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে।[১] ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সংস্থাটি পূর্ব তিমুরের জন্য, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমকে (আইএফইএস) ২,২১৫,৯৯৭ মার্কিন ডলার, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটকে (আইআরআই) ৩,৬১৯,১৩৪ মার্কিন ডলার এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইন্সটিটিউটকে (এনডিআই) ৩,৭২৮,৪৯০ মার্কিন ডলার প্রদান করে। এই অর্থ সহায়তার মাধ্যমে আইএফইএস পূর্ব তিমুরে নির্বাচনের কাঠামো এবং প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়। আবার আইআরআই, পূর্ব তিমুরের রাজনৈতিক দলগুলোর উন্নয়ন করার সুযোগ পায় এবং এনডিআই, পূর্ব তিমুরের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে জনগণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিতে কাজ করে। এর পাশাপাশি সংস্থাটি কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যও কাজ করে। [১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ELECTIONS AND POLITICAL PROCESSES PROGRAM IN TIMOR-LESTE (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। ইউএসএইড। ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- পূর্ব তিমুর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের ইতিহাস
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, পূর্ব তিমুর