পূর্ণেন্দুকুমার বসু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পূর্ণেন্দুকুমার বসু
জন্ম(১৯১৬-০৭-১৬)১৬ জুলাই ১৯১৬
মৃত্যু১০ নভেম্বর ১৯৯৩(1993-11-10) (বয়স ৭৭)
পিতা-মাতাচারুচন্দ্র বসু (পিতা)

পূর্ণেন্দুকুমার বসু (১৬ জুলাই, ১৯১৬ — ১০ নভেম্বর, ১৯৯৩) বিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি রাশিবিজ্ঞানী তথা পরিসংখ্যানবিদ। যে কয়জন তরুণ গবেষক অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশের নেতৃত্বে দেশে রাশিবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি প্রতিষ্ঠায় উদ্যমী ছিলেন তিনি তাদের অন্যতম।[১]

জন্ম ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

পূর্ণেন্দুকুমার বসুর জন্ম ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই জুলাই বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সোনারপুরে। পিতা চারুচন্দ্র বসু। আশৈশব পূর্ণেন্দু খেলাধূলার সাথে যুক্ত ছিলেন। বাড়িতে ও পাড়ায় খেলাধূলায় মেতে থাকতেন। পড়াশোনা কলকাতার বালিগঞ্জ জগবন্ধু ইনস্টিটিউশনে। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে এমএসসি পাশের পরসে বৎসরেই ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে গবেষণার কাজে নিযুক্ত হন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দেশে বিভিন্ন শিল্পে উৎপন্ন দ্রব্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ ও সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাশিভিত্তিক এক প্রথা প্রবর্তন করা হয় ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশনের মাধ্যমে যেটি পরবর্তীতে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড পরিচিত হয়। পূর্ণেন্দুকুমার বসু শুরু থেকেই আমৃত্যু সেই সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক বিষয়ের সহ-উপাচার্য ছিলেন। তাঁর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করাহয়। এদিকে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টায় তিনি ইন্ডিয়ান সায়েন্স নিউজ অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সভাপতি হিসাবে যুক্ত ছিলেন। পূর্ণেন্দুকুমার বসু ইংল্যান্ডের রয়াল স্টাটিস্টিক্যাল সোসাইটি এবং ইনস্টিটিউট অফ কোয়ালিটি অ্যাসুয়ারান্সের ফেলো ও বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশের প্রিয় ছাত্র ও জন্মলগ্নে থেকে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে তাঁর সহযোগী শুভেন্দুশেখর বসু ছিলেন পূর্ণেন্দুর অগ্রজ।

বাল্যকাল থেকেই খেলাধূলার জগতে নিবিড় যোগ থাকার কারণে ১৯৩২-৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য হন। পড়াশোনার জন্য খেলা ছাড়লেও ক্রীড়াজগতের সাথে যোগাযোগ কখনো ছিন্ন হয়নি। তিনি ক্লাবের সহ সভাপতি ও একসময় কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।

জীবনাবসান[সম্পাদনা]

পূর্ণেন্দুকুমার বসু ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ই নভেম্বর প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২২২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬