পামেলা রুকস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পামেলা রুকস
জন্ম
পামেলা জুনেজা

১৯৫৮
মৃত্যু১ অক্টোবর ২০১০
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার
কর্মজীবন১৯৯২–২০০৫
দাম্পত্য সঙ্গীকনরাড রুকস (তা. ১৯৮৫)

পামেলা রুকস (১৯৫৮ - ১লা অক্টোবর ২০১০) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালকচিত্রনাট্যকার ছিলেন। তিনি ভারত বিভাজনের ওপর ভিত্তি করে ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ট্রেন টু পাকিস্তান (যেটি খুশবন্ত সিংয়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত) নামক চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য সুপরিচিত; এটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শন করা হয়েছিল। এই প্রাপ্তি ছাড়াও তিনি ১৯৯২ সালে মিস বিটি'স চিল্ড্রেন এবং ২০০৩ সালে ডান্স লাইক এ ম্যান সহ বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্রের মতো পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রও তৈরি করেছিলেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

পামেলা রুকস ১৯৫৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়র এক সেনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবার নাম কর্নেল এ. এন. জুনেজা (যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন) এবং তাঁর মায়ের নাম গুডি জুনেজা। তিনি নৈনিতাল এবং সিমলার বোর্ডিং স্কুল হতে স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন, যেখানে তিনি নাটকের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।[২] পরে, ১৯৭০-এর দশকে দিল্লিতে গণসংযোগ বিভাগে অধ্যয়নকালে তিনি দিল্লি ভিত্তিক মঞ্চ নাটকের দল, থিয়েটার অ্যাকশন গ্রুপ (টিএজি)-এর সাথে যুক্ত ছিলেন, যেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মঞ্চ নাটকের পরিচালক ব্যারি জন এবং সিদ্ধার্থ বসু, রওশন শেঠ, লিলেট দুবে এবং মীরা নায়ার ইত্যাদি মানুষজন।[৩]

পেশা[সম্পাদনা]

পামেলা রুকস টেলিভিশনে সাংবাদিকতা এবং বর্তমান ঘটনা সমন্বিত অনুষ্ঠানগুলোর নির্মাতা হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং এই সময়ে তিনি একটি সাক্ষাৎকারের জন্য, পরিচালক কনরাড রুকসের সাথে দেখা করেছিলেন, রুকস সে সময় তাঁর চলচ্চিত্র সিদ্ধার্থ (১৯৭২)- এর জন্য অনেক প্রশংসা পাচ্ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৪][৫]

তিনি নাট্যকার মহেশ দত্তানীর নাটক ডান্স লাইক এ ম্যান-এ কাজ করেছেন। তাঁর এক বন্ধু প্রয়াত নৃত্যশিল্পী প্রতিমা বেদী (যিনি তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রেও কাজ করেছিলেন) দত্তানীর সাথে বেঙ্গালুরুতে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন।[৬] পরবর্তীকালে রুকস নাটকটির সত্ত্ব ক্রয় করেছিলেন এবং তাঁর সাথে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে, পামেলা ডান্স লাইক এ ম্যান প্রকাশ করেছিলেন[৭][৮] এবং ২০০৩ সালে ইংরেজিতে লেখা সেরা কাহিনী চলচ্চিত্র-এর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পামেলা রুকস পরিচালক কনরাড রুকসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং ১৯৮৫ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার আগে এই দম্পতির একটি পুত্র রায়ান জন্ম নিয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি ইন্দোরের মহারাজকুমার শ্রীমান্ত শিবাজী রাও হোলকার (প্রিন্স রিচার্ড হোলকার)-এর সাথে একটি সম্পর্কে ছিলেন, যিনি ইন্দোরের এইচএইচ মহারাজা যশওয়ান্ত রাও দ্বিতীয় হোলকারের ছেলে।[৯] তিনি ১৯৯৮ সালে প্রথমবার, তাঁর সাথে তাঁর বাসার ডিফেন্স কলোনি পাড়ায় সাক্ষাৎ করেছিলেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তাঁরা ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং জীবন সঙ্গী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[১০][১১][১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "After 5 years in coma, Pamela Rooks dies"Indian Express। ৩ অক্টোবর ২০১০। 
  2. India today, Volume 24. Thomson Living Media India Ltd., 1999. p. 38
  3. The drama of Barry John's life Divya Vasisht, The Times of India, 23 November 2002.
  4. "After 5 years in coma, Pamela Rooks dies"Yahoo! News। ৩ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০ [অকার্যকর সংযোগ]
  5. Pamela Rooks ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ মে ২০২০ তারিখে chaosmag.
  6. "All set to shoot Dance Like a Man"The Times of India। ১৩ ডিসেম্বর ২০০২। 
  7. "From stage to screen"The Hindu। ২ অক্টোবর ২০০৪। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০ 
  8. "Dance Like A Man"The Hindu। ১ অক্টোবর ২০০৪। ২৭ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  9. "Indore: The Holkar Dynasty genealogy" 
  10. "Imperial Ties"। Outlook। ২০ অক্টোবর ২০০৩। 
  11. "Raj & beyond"The Times of India। ১২ মে ২০০২। 
  12. "Love is not elsewhere"The Tribune। ৭ মার্চ ২০০৪। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]