পাকিস্তানে পর্নোগ্রাফি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাকিস্তানে পর্নোগ্রাফি বেআইনি এবং এর জন্য বেশ কিছু আইনি বিধান রয়েছে। ২০১১ সালের নভেম্বর মাস থেকে পাকিস্তান সরকার ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক সমস্ত ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটের তালিকা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একজন পাকিস্তানি হ্যাকার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করে। তার ইচ্ছা ছিল পর্নোগ্রাফি বিষয়ক ওয়েবসাইট গুলো চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং পাকিস্তানের যেকোন ভূখণ্ড থেকে যেন ঐ সমস্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করা যায় সেই জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতির মনোযোগ আকর্ষণ করা।[১] এরপরের মাসে ঐ একই হ্যাকার পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ) এর ওয়েবসাইট হ্যাক করেন। এক্ষেত্রেও তার উদ্দেশ্য ছিলো উক্ত দাবী আদায়ের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।[২]

২০১১ সালের নভেম্বর মাসে পিটিএ ঘোষণা করে যে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক প্রায় ১ হাজারটি শীর্ষ ওয়েবসাইট বন্ধ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।[৩] এরপর বিভিন্ন সময় পাকিস্তানে পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে পাকিস্তান সরকার প্রায় ৪ লক্ষাধিক পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[৪] ২০১২ সালের একটি রিপোর্টে দেখা যায় যে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে লোকজন পর্নোগ্রাফির ডিভিডি ক্রয় করা শুরু করেছে। যেমন, করাচির রেইনবো সেন্টার, যেখানে পাকিস্তানের ভিডিও পাইরেসি ও তা বিতরণের সবচেয়ে বৃহত্তম  মার্কেট।[৫] অন্য একটি রিপোর্টে দেখা যায়, পাকিস্তান থেকে গুগলে সবচেয়ে বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের কন্টেন্ট খোঁজা হয়ে থাকে। [৬]

শিশু পর্নোগ্রাফি[সম্পাদনা]

২০১২ সালের মার্চ মাসের হিসাবে, পাকিস্তানে শিশু পর্নোগ্রাফি বিষয়ক কোন ফৌজদারি আইন নেই, যদিও পাকিস্তানের শিশুরা মারাত্বক ভাবে পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছিলো। পাকিস্তানের মানবধিকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমর্থিত একটি প্রস্তাবিত আইন বাঁধার সম্মুখীন হয়। কারণ আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের শরিয়া আইন পাকিস্তানি শিশুদের পরিপক্বতা নির্ধারণ করে। তারা বলে যে, পাকিস্তানি শিশুরা পশ্চিমা  শিশুদের তুলনায় দ্রুত পরিপক্ব হয়ে উঠে। তাই পাকিস্তানে কাউকে শিশু সঙ্গায়িত করার জন্য পশ্চিমা আইন অকার্যকর। এই অচলাবস্থা ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে,[৭] যদিও  ২০১১ সালের জুন মাসে পাকিস্তান UNCRC এর শিশু বিক্রি, শিশু পতিতাবৃত্তি ও শিশু পর্নোগ্রাফি বিষয়ক ঐচ্ছিক প্রোটোকল অসমর্থন করেছিলো

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hacker defaces Supreme Court website, Express Tribune
  2. Ban porn or else: Hacker penetrates PTA site
  3. PTA approved: Over 1,000 porn sites blocked in Pakistan
  4. "Objectionable content: ISPs ordered to block 400,000 pornographic websites"pakistanpressfoundation.org। জানুয়ারি ২৬, ২০১৬। 
  5. Smutty DVD sales go up as porn sites go down
  6. "Pakistan tops list of most porn-searching countries: Google"। জানুয়ারি ১৮, ২০১৫। 
  7. Crilly, Rob (৭ মার্চ ২০১২)। "Pakistan children 'grow up faster than others because of spicy food'"Islamabad: The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১২For now, that means child sex abuse and pornography are not covered by Pakistan's criminal law.