বিষয়বস্তুতে চলুন

তুরস্কে পর্নোগ্রাফি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তুরস্কে গত শতাব্দীর সত্তরের দশক থেকে পর্নোগ্রাফি উৎপাদিত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক ওয়েবসাইট,যা অশ্লীল উপাদান ধারণ করে, তা বিভিন্ন কারণে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

একটি দীর্ঘ সময় ইতালিয়ান-অনুপ্রাণিত হালকা হাস্যরসাত্মক সিনেমা তৈরির পর ১৯৭৯ সালে যৌন উত্তেজক সিনেমা  Öyle Bir Kadın Ki বানানো ও তা প্রচার করা হয়। ১৯৮০ এর দশকে সামরিক অভ্যুত্থান হলে সরকার কঠোরভাবে সিনেমায় গ্রাফিক্যাল যৌনতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে তুর্কি পর্নোগ্রাফি একটি ছোটখাটো রেনেসাঁর  অভিজ্ঞতা লাভ করে। তখন সস্তায় নিম্ন মানের উপাদান দিয়ে সিনেমা তৈরি হতো। তুরস্কের পর্নোগ্রাফির আধুনিক  প্রযোজকগণ জার্মান কেন্দ্রিক হয়ে পড়েন, যদিও তারা তাদের পর্নোগ্রাফিক সিনেমায় অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে তুরস্ক থেকে লোকজন নিয়োগ দিতেন। 

আইনি অবস্থা

[সম্পাদনা]

তুরস্কে পর্নোগ্রাফির উৎপাদন আইনত নিষিদ্ধ নয়। তবে তুরস্কের পেনাল কোড এর কিছু সীমাবদ্ধতা রেখেছে। শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে তাদের আইনে বলা হয়েছেঃ[]

২২৬/৪: কোন ব্যক্তি, যিনি যৌন সংসর্গ ধারণ করে এমন অডিও ভিজুয়াল বা লিখিত উপাদান তৈরি করেন ও তাতে যদি সহিংসতা থাকে বা প্রাণী ও মৃত শরীরের সাথে যৌন সংসর্গ এর দৃশ্য থাকে, বা যৌন সংসর্গ যদি অপ্রাকৃত পদ্ধতিতে করা হয়, তবে তিনি শাস্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। একইসাথে যারা এসব উতপাদান, আমদানি, বিক্রয়, পরিবহন, গুদামজাতকরণ বা উপস্থাপন করবেন তিনিও শাস্তি পাবেন। শাস্তির মেয়াদ হবে এক বছর থেকে চার বছর পর্যন্ত জেল।

তুরস্কের আদালতঅপ্রাকৃত পদ্ধতিতে যৌন সংসর্গ   বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এটা হতে পারে মৌখিক যৌন সংসর্গ এবং পায়ু পথে যৌন সংসর্গ।[] উপরন্তু,পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী প্রচারের ব্যাপারে তুরস্কের পেনাল কোড বলছেঃ

২২৬/২: একজন ব্যক্তি যিনি, অশ্লীল ছবি, মুদ্রিত বা অডিও উপাদান প্রচার বা প্রকাশ করবেন বা কাজের মধ্যস্থতা করবেন তাকে ছয় মাস থেকে তিন বছর মেয়াদে কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হবে।

২০০৬ সালের মে মাসে তুরস্কের সরকার চারটি যৌন কামনা উদ্রেককারী টেলিভিশন চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। চ্যানেল ৪টি ছিলঃ প্লেবয় টিভি, এক্সোটিকা টিভি, এডাল্ট চ্যানেল এবং রাফ টিভি।[] ২০০৮ সালের ৯ আগস্ট, এদিবে সোজান নামের একজন একেপি দলীয় এমপি ১৬ বছরের কম বয়স্কদের কাছে অশ্লীল ছবি  বিক্রয় নিষিদ্ধ করতে একটি বিল প্রস্তাব করেন। কিন্তু বিলটি এখনো আইনে পরিনত হয়নি।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]