ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বড়োল্যান্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বড়োল্যান্ড (এনডিএফবি)
প্রতিষ্ঠাতারঞ্জন দৈমারী ওরফে ডি আর নাবলা
নেতাবি স্বরাইগৗরা
উপ-সভাপতি তথা সেনাধ্যক্ষজি বিদাই[১]
সাধারণ সম্পাদকবি আর ফেরেঙা
অপারেশনের তারিখ৩ অক্টোবর ১৯৮৬ (1986-10-03) - বর্তমান
এতে বিভক্তএনডিএফবি - ডি আর নাবলা গোষ্ঠী
এনডিএফবি - প্রগতিশীল গোষ্ঠী
আনুগত্যUNLFW[২]
গোষ্ঠীন্যাশনাল কাউন্সিল (রাজনৈতিক বিভাগ)
বড়োল্যান্ড আর্মি (সামরিক বিভাগ)
উদ্দেশ্যসার্বভৌম বড়োল্যান্ডের গঠন
সদরদপ্তরমায়ানমার
সক্রিয়তার অঞ্চলআসাম, ভারত
মতাদর্শজাতীয় জাতীয়তাবাদ
মার্ক্সবাদ
সমাজবাদ
গণতন্ত্র[৩]
বিপক্ষভারত সরকার
ভুটান সরকার
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধউত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ
যার দ্বারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে মনোনীতভারত সরকার[৪]

এনডিএফবি বা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বড়োল্যান্ড হচ্ছে একটি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন যে বড়োদের জন্য একটি সার্বভৌম বড়োল্যান্ডের পোষকতা করেন।[৫] এই সংগঠনটি ভারত সরকার এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।[৬]

১৯৮৬ সালে গঠিত হওয়া বড়ো সিকিউরিটি ফোর্স নামের সংগঠনটি পরে এনডিএফবি নাম নিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে ভারত সরকার এবং আবসু-বিপিএসির মধ্যে হওয়া বড়ো চুক্তির বিরোধিতা করার পরে সংগঠনটি নতুন নাম নিয়েছিল। এই সংগঠনটি আসামে অনা-বড়ো এবং সৈন্য-আরক্ষীকে লক্ষ্য করে কয়েকটি আক্রমণ সংঘটিত করেছে। আদিবাসী কোব্রা ফোর্সের সাথে সংঘর্ষ থাকার জন্য এই এনডিএফবি চান্থাল, মুন্ডা এবং ওরাও আদিবাসীদের উপর কয়েকটি আক্রমণ সংঘটিত করেছে। ১৯৯৬ সালে আসাম বিধানসভা নির্বাচনের সময় সংঘটিত হওয়া বড়ো-আদিবাসী সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সময় এনডিএফবি আদিবাসীদের উপর হওয়া আক্রমণের কাণ্ডে জড়িত ছিল। তারই প্রত্যুত্তর দিতে আদিবাসী কোব্রা ফোর্সের জন্ম হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের পরে এনডিএফবি বড়ো লিবারেশন টাইগার ফোর্সের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। বড়ো লিবারেশন টাইগার ফোর্স ২০০৩ সালে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ২০০০ সাল থেকে এনডিএফবি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে আক্রমণের লক্ষ্য করে নিয়েছে।

১৯৯০ সালে এনডিএফবি আসাম-ভুটান সীমান্তে বারোটা শিবির স্থাপন করে। কিন্তু অপারেশন অল ক্লিয়ারের সময় বিস্তর ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এনডিএফবি ২০০৫ সালের মে'তে ভারত সরকারের সাথে যুদ্ধ বিরতি স্থাপন করে। এর পরে এনডিএফবি দুটি ভাগে বিভাজন হয়ে আলোচনাপন্থী এবং আলোচনাবিরোধী নামের দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। ২০১২ সালে আলোচনাবিরোধী গোষ্ঠীর সভাপতির গ্রেপ্তার হওয়ার পরে আলোচনাবিরোধী গোষ্ঠীটি আবার ভাগ হয়ে আই কে সংবিজিতের নেতৃত্বে একটি নতুন গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয় এবং এই গোষ্ঠীটি নিজেদের সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যায়।

২০১৫ সালের ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল সংগঠনটির সাধারণ পরিষদ সংবিজিতের দ্বারা পরিচালিত দলটি ভঙ্গ করে স্বাধীন এবং সার্বভৌম বড়োল্যান্ডের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে একটি নতুন জাতীয় পরিষদ গঠন করে।[৭]

উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

বড়ো অধ্যুষিত অঞ্চলের অনুন্নয়ন এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের সমস্যার জন্যই এই সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল। যার জন্য তাঁরা ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সার্বভৌম বড়োল্যান্ডের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।[৮] ১৯৯৮ সালের ১০ মার্চে গ্রহণ করা এনডিএফবি সংবিধানে নিচের উদ্দেশ্যসমূহ তালিকাভূক্ত করা হয়েছিল:

  • ভারতের অধীনতা থেকে বড়োল্যান্ড উদ্ধার করা
  • উপনিবেশিক দমনকামিতার থেকে বড়োল্যান্ডের মুক্তি
  • স্বাধীনতা, সমতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক, সামাজিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
  • বড়োল্যান্ডের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Catch me if you can: Bidai"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 
  2. https://economictimes.indiatimes.com/news/defence/bodo-insurgent-group-ndfbs-joins-hands-with-unlfw/articleshow/47757780.cms
  3. "Danger In North East: Christian Terror On One Side, Islamist On The Other"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০ 
  5. "NDFB(S) eyes Bodoland sovereignty"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 
  6. "Banned Organisations"। Ministry of Home Affairs, Government of India। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  7. "NDFB-S forms new council - Times of India"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 
  8. Andrew T .H. Tan (১৮ অক্টোবর ২০১০)। Politics of Terrorism: A Survey। Routledge। পৃষ্ঠা 190। আইএসবিএন 978-1-136-83336-6