নিগার জোহর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লেফটেন্যান্ট জেনারেল
নিগার জোহর খান
نگار جوہر
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মপাঞ্জির, সৌবি জেলা, খাইবার পাখতুনখোয়া
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য পাকিস্তান
শাখা পাকিস্তান সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৮৫–২০২২
পদ লেফট্যানেন্ট জেনারেল
ইউনিটপাকিস্তান আর্মি মেডিকেল কোর
কমান্ডডেপুটি কমান্ড্যান্ট, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল রাওয়ালপিন্ডি কমান্ডান্ট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঝিলম

লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিগার জোহর খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন তিন তারকা জেনারেল ছিলেন।[১] লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পৌঁছানো পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম নারী তিনি। মেজর জেনারেল পদে পৌঁছানো পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ইতিহাসে তৃতীয় নারী তিনি। তিনি আর্মি মেডিকেল কোরের অন্তর্গত। মেজর জেনারেল শহীদা বাদশাহ এবং শহীদা মালিকও আর্মি মেডিক্যাল কোরের অন্তর্গত ছিলেন।[২]

২০১৫-এ, তিনি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের সম্মাননা প্রদানের জন্য একটি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগের (আইএসপিআর) ভিডিওতে উপস্থিত ছিলেন। সে সময়, তিনি কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল (সিএমএইচ) রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ছিলেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, "পাকিস্তান আমার দেশ এবং আমি এখানে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি এখানে বেড়ে উঠেছি এবং আমি মনে করি বিশ্বের কোনো জায়গায় পাকিস্তানের সাথে কোন মিল নেই, আরও যোগ করেন, সব মুসলিম দেশগুলির কথা ভাবুন, ঐ সমস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলির কথা ভাবুন। এটি একমাত্র দেশ যেখানে মহিলা জেনারেল অফিসার রয়েছে। অন্য কোথাও নেই"।

শিক্ষা ও পটভূমি[সম্পাদনা]

সোয়াবি জেলার পাঞ্জির গ্রামের মেয়ে তিনি। তিনি সেনা কর্নেল কাদিরের কন্যা, যিনি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এ নিয়োজিত ছিলেন। তার বাবা-মা উভয়ের গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।

তিনি ১৯৭৮ সালে রাওয়ালপিন্ডি প্রেজেন্টেশন কনভেন্ট গার্লস হাই স্কুল এ তার স্কুলশিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে আর্মি মেডিকেল কলেজে যোগ দেন এবং ১৯৮৫ সালে স্নাতক হন। তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজের ৫ম এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থী এবং একই কলেজে আয়শা কোম্পানির মহিলা কোম্পানি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে তিনি কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস পাকিস্তান-এর সদস্যপদের জন্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। ২০১২-এ তিনি আর্মড ফোর্সেস পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অ্যাডভান্স মেডিকেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন এবং ২০১৫ সালে তিনি একই ইনস্টিটিউট থেকে জনস্বাস্থ্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।

সামরিক জীবন[সম্পাদনা]

২০১৫-এ, তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, রাওয়ালপিন্ডি এর ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ছিলেন।[৩] ২০১৭ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি জোহর ৩৭ জন ব্রিগেডিয়ারের একজন ছিলেন, যারা মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। তার পদোন্নতির অনুমোদন সেনাবাহিনীর নির্বাচন বোর্ডের সভায় দেওয়া হয় যেটি সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজ এর ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাক-আমিরাত সামরিক হাসপাতাল, রাওয়ালপিন্ডির কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]