দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া
![]() প্রথম মার্কিন সংস্করণ | |
লেখক | জওহরলাল নেহরু |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | ইংরাজী হিন্দি |
বিষয় | ভারতীয় ইতিহাস , ভারতীয় সংস্কৃতি , ভারতের রাজনীতি, ভারতে ধর্ম , ভারতীয় দর্শন |
প্রকাশক | জন ডে (যুক্তরাষ্ট্র) মেরিডিয়ান বুকস (ইউ কে) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৪ নভেম্বর ১৯৪৬ ; ৭৬ বছর আগে |
মিডিয়া ধরন | প্রিন্ট ( পেপারব্যাক ) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৫৯৫ |
আইএসবিএন | ৯৭৮-০-১৯-৫৬২৩৫৯-৮ |
এলসি শ্রেণী | DS436 .N42 1989 |
দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া বইটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু (১৯৪২ - ১৯৪৫) খ্রিস্টাব্দ সময়ে আহমেদনগর ফোর্টে কারাবাস কালে রচনা করেছিলেন।[১] বইটির রচনা ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে শেষ হলেও এটি ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। [২]
সারমর্ম
[সম্পাদনা]ভারতের প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতার সময় পর্যন্ত সময়ের কাহিনী লিপিবদ্ধ হয়েছে। পণ্ডিত নেহেরু উপনিষদ, বেদ এবং প্রাচীন ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক হতে অধীত জ্ঞানে, তিনি বইটির মাধ্যমে পাঠকদের সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল হতে তৎকালীন পরিস্থিতিতে ভারতের বিকাশ সম্পর্কে পরিচয় দিতেই বইটির অবতারনা করেন।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য অন্য নেতাদের সঙ্গে পণ্ডিত নেহেরুকেও জেল বন্দী করেছিল ব্রিটিশ সরকার। কারাবাসকালে তিনি ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে অধীত বিদ্যা ও চিন্তাভাবনা ব্যক্ত করেছেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিস্তৃত দৃষ্টিতে ভারতীয় ইতিহাস , দর্শন এবং সংস্কৃতি যেভাবে প্রতিভাত হয় সে বিষয়েই বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছে।[৩] দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া - বইটিতে পণ্ডিত নেহেরু দৃঢ়তার সঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন এই বলে যে, ভারত এক সুপ্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ জাতির দেশ, এর সার্বভৌমত্বের অধিকার আছে। [৪] ভারতের জাতীয় জীবনের দর্শন সংবলিত নিঁখুত বিশ্লেষণ দশটি অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।
অন্যান্য অবদানকারীরা
[সম্পাদনা]
নেহেরু বইটিতে আহমেদনগর কারাগারে যে সকল সহবন্দীদের কথা উল্লেখ করেছেন, তারা হলেন - মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, গোবিন্দ বল্লভ পন্থ, নরেন্দ্র দেব এবং আসাফ আলী। তার রাজনৈতিক সহবন্দীদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত এগারো জনের ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান ছিল। তারা নেহেরুর বইটি রচনার সময় প্রুফরিডিং-সহ অন্যান্য সৃজনশীল পরামর্শ প্রদান করেছিলেন।
বইটি ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে কলকাতার সিগনেট প্রেস থেকে সত্যজিৎ রায়ের আঁকা প্রচ্ছদ সহ প্রথম প্রকাশিত হয়। [৬] বইটি বর্তমানে 'জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ফান্ড' কর্তৃক প্রকাশিত হয এবং এর কপিরাইট তার নাতবৌ সোনিয়া গান্ধীর অধীনে। [৭]
- পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া,আইএসবিএন ০-৬৭০-০৫৮০১-৭
- জওহরলাল নেহেরুর দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া (পেপারব্যাক, ত্রয়োদশ সংস্করণ), আইএসবিএন ০-১৯-৫৬২৩৫৯-২
অভিযোজন
[সম্পাদনা]প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার শ্যাম বেনেগল ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে বইটির উপর ভিত্তি করে ৫৩ পর্বের একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক - ভারত এক খোঁজ নির্মাণ করেন। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দেই নভেম্বরে ভারতের সরকারি টেলিভিশন দূরদর্শন সেটি সম্প্রচার করে।[৮] ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে পণ্ডিত নেহেরুর প্রয়াণ দিবসে ডি ডি ভারতী চ্যানেল পুনঃসম্প্রচার করে।[৯]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- লেটার ফ্রম এ ফাদার টু হিজ ডটার (১৯২৯)
- অ্যান বায়োগ্রাফি (১৯৩৬)
- গ্লিম্পসেজ অফ ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি (১৯৩৪)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Nehru's 'Discovery of India' remains a bestseller 50 years after his death | Mumbai News - Times of India"। The Times of India।
- ↑ "Bharat Mata Ki Jai: How Jawaharlal Nehru's Discovery of India offers a peek into the soul of India-India News , Firstpost"। Firstpost। ২৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Das, Taraknath (জুন ১৯৪৭)। "India--Past, Present and the Future"। Political Science Quarterly। 62 (2): 295–304। জেস্টোর 2144210। ডিওআই:10.2307/2144210।(সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ Calhoun, Craig (২০০৭)। Nations Matter: Culture, History and the Cosmopolitan Dream (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 63। আইএসবিএন 9780415411868।
- ↑ The Discovery of India by Jawaharlal Nehru (paperback, thirteenth edition), আইএসবিএন ০-১৯-৫৬২৩৫৯-২, Preface
- ↑ "সিগনেটের ম্যাডাম"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৮।
- ↑ Bhatnagar, Gaurav Vivek (১৭ নভেম্বর ২০১৩)। "Criticism of Nehru not based on critical enquiry: Sonia" – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "What makes Shyam special..."। The Hindu। ১৭ জানুয়ারি ২০০৩। ২৭ জুন ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩।
- ↑ "DD to commence repeat telecast of 'Bharat Ek Khoj' to mark Nehru's death anniversary"। Indian Television Dot Com। ২৫ মে ২০১৩।