দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতু

স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′০২″ উত্তর ৮৮°২৪′২০″ পূর্ব / ২২.৯৬৭১৫৪৭° উত্তর ৮৮.৪০৫৫৪৮৫° পূর্ব / 22.9671547; 88.4055485
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতু
স্থানাঙ্ক২২°৫৮′০২″ উত্তর ৮৮°২৪′২০″ পূর্ব / ২২.৯৬৭১৫৪৭° উত্তর ৮৮.৪০৫৫৪৮৫° পূর্ব / 22.9671547; 88.4055485
অতিক্রম করেহুগলি নদী
স্থানবাঁশবেড়িয়াকল্যাণী, পশ্চিমবঙ্গ
মালিকওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন
বৈশিষ্ট্য
নকশাএক্সট্রাডোজড তার-আলম্বিত
উপাদানকংক্রিট, ইস্পাত
মোট দৈর্ঘ্য৭১৪ মিটার (২,৩৪৩ ফু)
প্রস্থ৩৫ মিটার (১১৫ ফু)
স্প্যানের সংখ্যা
ইতিহাস
নকশাকাররেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস
নির্মাণকারীলার্সেন অ্যান্ড টুব্রো
নির্মাণ ব্যয় ১,৩৯৬ কোটি (US$ ১৭০.৬৪ মিলিয়ন)
পরিসংখ্যান
দৈনিক চলাচলপণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি
অবস্থান
মানচিত্র
তথ্যসূত্র
[১]

দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতু হল হুগলী নদীর উপর বিস্তৃত একটি নির্মাণাধীন এক্সট্রাডোজড তার আলম্বিত সেতু, যা নদিয়া জেলার কল্যাণীকে হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়ার সাথে সংযুক্ত করে। সেতুটি রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসের নকশায় তৈরি করা হচ্ছে। এটি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের অংশ।[১]

হুগলি নদী জুড়ে একটি সেতু নির্মাণের ধারণাটি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে উদ্ভূত হয়েছিল। মূল পরিকল্পনা ছিল পুরাতন ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর বিকল্প হিসাবে একটি সেতু নির্মাণ, যা দিল্লি রোড৬ নং রাজ্য সড়ক এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ও ১২ নং জাতীয় সড়কের মাঝে সংযোগ ঘটাবে।[১] সেতুর স্তম্ভগুলো ডেক থেকে বাইরের দিকে ঝুকে থাকবে, সেই সঙ্গে এগুলি কংক্রিট ব্যবহার করে নির্মিত হবে। সেতুর ডেকটি ৭ টি স্প্যান নিয়ে গঠিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পরিকল্পনা[সম্পাদনা]

বাঁশবেড়িয়া ও কল্যাণীর মাঝে হুগলী নদী জুড়ে প্রথম সেতুটি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল, তবে ২০১০-এর দশকে সেতুতে নির্মাণগত ত্রুটি ও কাঠামোগত দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। পুরাতন সেতুটি প্রতিস্থাপনের জন্য একটি নতুন সেতুর প্রস্তাব সর্বপ্রথম ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে উত্থাপিত হয়।[২] এই সেতু প্রকল্পের অনুমোদন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রদান করে।[৩] সেতুটি দিল্লি রোড ও ১২ নং জাতীয় সড়কের মধ্যে সংযোগকারী ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক প্রকল্পের অংশ হিসাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।[৪]

সেতুর জন্য বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) তৈরির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসে প্রস্তাবগুলির প্রকৌশল গুণাবলী পরীক্ষা করেছিলেন। বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) প্রস্তুতের জন্য ডেনমার্কের সিওডব্লিউআই সংস্থাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। সেতুর পরামর্শদাতা হিসেবে আইআইটি খড়গপুর, আইআইটি মাদ্রাজআইআইটি কানপুরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। নকশা অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের বিষয়টিতে গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা হয়েছিল।[৫]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য একটি অনুষ্ঠান ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৬]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

স্থাপত্যগত বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতু হল একটি এক্সটাডোজ কেবল-স্টেইড সেতু। ৬ টি কংক্রিট-নির্মিত পাইলন কেবলগুলিকে ধরে আছে। সেতুটিতে দুটি ক্যারেজওয়ে সহ ইস্পাতের কাঠামোযুক্ত কংক্রিট ডেক রয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ ৭১৪ মিটার (২,৩৪৩ ফু)। ডেকের ক্যারেজওয় দুটির প্রস্থ ৩৫ মিটার (১১৫ ফু)।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "New Ishwar Gupta Bridge To Add Beauty To 21Km Long Mogra-Barojaguli Flyover" (ইংরেজি ভাষায়)। এনএফএন নেটওয়ার্ক। ১৫ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ 
  2. মন্ডল, রজত (১৬ জুন ২০১৪)। "বৃহত্তর কলকাতার গতি ফেরাবে বিকল্প পথ"এইসময়। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. চক্রবর্তী, সুমন (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "West Bengal plans six-lane bridge over Hooghly"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ 
  4. "L&T Construction bags orders worth Rs 1,521 cr"www.projectstoday.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ 
  5. "মগরায় রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু, দায়িত্বে নিগম"এইসময়। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ 
  6. "Now, travel to Kalyani-Dankuni in 30 minutes"www.millenniumpost.in (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪