দিনা বিনতে আব্দুল হামিদ
দিনা বিনতে আব্দুল হামিদ | |
---|---|
শরিফা | |
রাজত্ব | ১৯ এপ্রিল, ১৯৫৫ – ২৪ জুন, ১৯৫৭ |
জন্ম | কায়রো, মিশর | ১৫ ডিসেম্বর ১৯২৯
মৃত্যু | ২১ আগস্ট ২০১৯ আম্মান, জর্ডান | (বয়স ৮৯)
সমাধি | রাঘাদান প্রাসাদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হোসেন (বি. ১৯৫৫; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭) সালাহ তামারি (বি. ১৯৭০) |
বংশধর | রাজকন্যা আলিয়া বিনতে হোসেন |
রাজবংশ | হাশেমি |
পিতা | শরীফ আব্দুল হামিদ বিন মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ আল আউন |
মাতা | ফাহরিয়া |
ধর্ম | ইসলাম |
দিনা বিনতে আবদুল হামিদ (আরবি: دينا بنت عبد الحميد; ১৫ ডিসেম্বর, ১৯২৯ - ২১ আগস্ট, ২০১৯) একজন হাশেমি রাজকন্যা এবং ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্তজর্ডানের রানী ছিলেন [১] তিনি ছিলেন রাজা হোসেসেনের প্রথম স্ত্রী। তিনি রাজকন্যা আলিয়া বিনতে হোসেনের মা ছিলেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের একজন প্রাক্তন প্রভাষক।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]রাজকন্যা দিনার জন্ম ১৯ ডিসেম্বর, ১৯২৯ সালে মিশরের কায়রোতে। তার বাবার নাম শরীফ আবদুল-হামিদ বিন মুহাম্মদ আবদুল-আজিজ আল-আউনের (১৮৯৮-১৯৫৫) এবং তার মায়ের নাম ফাহরিয়া ব্রাভের (১৯৮২)। [২][৩]
আরব অভিজাত শ্রেণীর অনেক শিশুর মতো দিনাকে ইংল্যান্ডের একটি বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। তারপরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গিরটন কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে একটি ডিগ্রি এবং লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অর্জন করেছিলেন। [৪]
দেশে ফেরার পর তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য ও দর্শনের শিক্ষা দিতে লাগলেন। তিনি তখন তার বাবা মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন।[৪][৫][৬]
জর্দানের রানী
[সম্পাদনা]১৯৫২ সালে লন্ডনে ইরাকের এক আত্মীয়ের বাড়িতে দিনা তার চাচাত ভাই হোসেনের সাথে প্রথম সাক্ষাত করেন। বাদশাহ তখন হ্যারো স্কুলে পড়াশোনা করছিলেন যখন দিনা ক্যামব্রিজের গর্টন কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন।[৩][৭] স্নাতক শেষ করার পরে তিনি মিশরে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার অর হোসেন তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
১৯৫৪ সালে হোসেন ও দিনার সম্পর্ক সবাইকে জানানো হয়।[৮] মিশরের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি জামাল আবদেল নাসেরও এই সম্পর্ককে সমর্থন করেছিলেন।[৯] ১৯৫৫ সালের ১৯ এপ্রিল রাঘদান প্যালেসে তাদের বিয়ে হয়েছিল। [১০] এ সময় কনের বয়স ছিল ২৬ এবং বরের বয়স ছিলো ১৯ বছর। [৩]
তার বিয়ের পরে দিনা জর্দানের রানী হন । লেখক আইসিস ফাহমির মতে, যিনি তাদের বিয়ের দিনে হোসেনের উপস্থিতিতে ফিনারকে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, তিনি তাদের বলেছিলেন যে, দিনার কোনও রাজনৈতিক ভূমিকা থাকবে না। ফাহমি উল্লেখ করেন যে, হোসেইন দিনার ওপর নিজের উপর দৃঢ় কর্তৃত্ব প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। [১১]
শীঘ্রই এটি স্পষ্ট হয়ে উঠল যে রাজা এবং রানীর মধ্যে সামান্য মিল আছে। ১৯৫৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি তাদের প্রথম সন্তান রাজকন্যা আলিয়াকে জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু সন্তানের আগমন এই রাজকীয় বিবাহ রক্ষায় কোনও ভূমিকা রাখতে পারেনি।[৩]
মরণ
[সম্পাদনা]রাজকন্যা দিনা ২১ আগস্ট, ২০১৯ সালে আম্মানে মারা যান। [১২]
আন্তর্জাতিক ভূমিকা এবং অবস্থান
[সম্পাদনা]- দ্য মুসলিম উইমেন অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্যা ইউকে এর সম্মানিত সভাপতি ছিলেন
শিরোনাম এবং শৈলী
[সম্পাদনা]- ১৫ ডিসেম্বর, ১৯২৮ - ১৯ এপ্রিল ১৯৫৫ঃ মাননীয় দিনা বিনতে আবদুল-হামিদ
- 19 এপ্রিল ১৯৫৫ - ২৪ জুন ১৯৫৭ঃ জর্ডানের রানী
- ২৪ জুন ১৯৫৭ - ৭ অক্টোবর, ১৯৭০ঃ জর্ডানের সম্মানিত রাজকন্যা দিনা আবদুল-হামিদ
- ৭ অক্টোবর, ১৯৭০- ২১ আগস্ট, ২০১৯ঃ জর্ডানের রাজকন্যা দিনা আবদুল-হামিদ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Family tree on website of King Hussein of Jordan"। ৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ Royal Ark
- ↑ ক খ গ ঘ "Queen Dina"। Cairo Times। ১৯৯৯। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ ক খ Shlaim, p. 179-83
- ↑ Fahmy, Isis (২০০৩)। Around the World with Isis। Papadakis Publisher। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 9781901092493।
- ↑ King Hussein, Princess Dina and Princess Alia
- ↑ Great Britain and the East, Volume 71। ১৯৫৫।
- ↑ Dann, Uriel (১৯৯১)। King Hussein and the Challenge of Arab Radicalism। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 0195361210।
- ↑ Sinai, Anne (১৯৭৭)। The Hashemite Kingdom of Jordan and the West Bank: a handbook। American Academic Association for Peace in the Middle East। আইএসবিএন 0-917158-01-6।
- ↑ Paxton, J. (২০১৬)। The Statesman's Year-Book 1982-83 (ইংরেজি ভাষায়)। Springer। পৃষ্ঠা 752। আইএসবিএন 9780230271111।
- ↑ Fahmy, Isis (২০০৬)। Around the World with Isis। Papadakis Publisher। আইএসবিএন 1-901092-49-6।
- ↑ "Royal News"। ২০১৯-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৪।