দিওয়ার (২০০৪-এর চলচ্চিত্র)
দিওয়ার दीवार | |
---|---|
পরিচালক | মিলন লুথারিয়া |
প্রযোজক | গৌরাঙ্গ দোসী |
শ্রেষ্ঠাংশে | অমিতাভ বচ্চন সঞ্জয় দত্ত অক্ষয় খান্না অমৃতা রাও তনুজা |
চিত্রগ্রাহক | নির্মল জানি |
পরিবেশক | ভি আর পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬১ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
দিওয়ার (লেটস ব্রিং আওয়ার হিরোস হোম) ২০০৪ সালে বলিউডে নির্মিত যুদ্ধ সংক্রান্ত চলচ্চিত্র। ছবিটির পরিচালক মিলন লুথারিয়া এবং প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোসী। সিনেমাটি বিখ্যাত হলিউড চলচ্চিত্র দ্যা গ্রেট এসকেপে'র (১৯৬৩) প্রভাবে নির্মিত এমনটা মনে করা হয়। দিওয়ার বলিউড বক্স অফিসে মাঝারি ধরনের সাড়া ফেলে।[১][২]
অভিনয়
[সম্পাদনা]- অমিতাভ বচ্চন - মেজর রনবীর কাউল
- অক্ষয় খান্না - গৌরব
- সঞ্জয় দত্ত - খান
- কে কে মেনন - সোহেল (জেলার)
- পীযুষ মিশ্র - কুরেশি
- অমৃতা রাও - রাধিকা
- রঘুবীর যাদব - জাট্টা
- তনুজা - রনবীর কাউলের স্ত্রী
কাহিনী
[সম্পাদনা]ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ এ অংশগ্রহণ করেছিলেন মেজর রনবীর কাউল। তিনি ও তার সাথী আরো কয়েকজন সৈনিক কেউই আর ফিরে আসেননি। রনবীরের পুত্র গৌরব (অক্ষয় খান্না) পিতাকে ছাড়াই মানুষ হয়। তার ধারণা বাবা আর কোনোদিনই ফিরবেননা। কিন্তু রনবীরের স্ত্রী'র বিশ্বাস তার স্বামী বেঁচে আছে যদি এ বিষয়ে ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ সেনা প্রধানেরা কিছু সাহায্য করতে অপারগ। অন্যদিকে দেখা যায় পাকিস্তানের একটি জেলে রনবীর ও তার সহবন্দীরা বেঁচে আছেন ও অমানুষিক অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছেন কয়েক দশক ধরে, যদিও তারা প্রতিমুহুর্তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আই এস আই প্রধান ইজাজ চায় রনবীর সহ ভারতীয় বন্দীদের কোনো না কোনো অজুহাতে হত্যা করতে। সে তখন আরো অত্যাচারী জেলার সোহেল মিঁয়ার হেফাজতে পাঠায় সকলকে। একদিন অনন্ত নামক এক ভারতীয় বন্দী হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় ও মৃত্যুর আগে করাচীতে বসবাসরত এক হিন্দু ব্যক্তি জবারের হাতে তুলে দেয় একটি চিঠি। এই চিঠি ভারতে পৌছালে রনবীর ও অন্যান্যদের পরিবার নিশ্চিত হয় যে নিখোঁজ সেনারা বেঁচে রয়েছেন। গৌরব গোপনে পাকিস্তানে রওনা দেয়। বহু বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে আশ্রয় পায় জবারের বাড়িতে। তার সাথে জবার কন্যা রাধিকার প্রেমপূর্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হঠাৎ সোহেল মিঁয়ার জেল থেকে পলাতক কয়েদি খানের সাথে মোলাকাত হয়। খান ও গৌরব আই এস আই সদর দপ্তর থেকে জেলের ম্যাপ চুরি করে ছদ্মবেশে, এসময় ইজাজ তাদের ধরতে চেষ্টা করলে সে খানে'র হাতে মারা পড়ে। জেলের ম্যাপ অনুযায়ী জানা যায় যে জেলের তলদেশ দিয়ে কিছুটা সুড়ঙ্গ খুঁড়লেই জলের খালি পাইপ দিয়ে বাইরে আসা যায়। এসংবাদ জেলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খান স্বেচ্ছায় ধরা দেয় এবং সকলে মিলে সুড়ঙ্গপথ খুড়ে পালাবার চেষ্টা করে। এইসময় মাইন ফেটে এক বন্দী জাট্টা মারা যায়। পালাবার মুহুর্তে সোহেল তাদের তাড়া করে ও মরুভূমি সীমান্ত এলাকায় তুমুল যুদ্ধ হয়। খানের সাহায্যে রনবীর, গৌরব ও বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও খান মারা যায়। সোহেলকে হত্যা করেন মেজর রনবীর।[১]
সঙ্গীত
[সম্পাদনা]- আলি আলি - কৃষ্ণা বেউরা ও শ্রদ্ধা পণ্ডিত
- চলিয়ে ভে চলিয়ে - উদিত নারায়ণ ও রুপ কুমার রাঠোর
- মারহাবা মারহাবা - সোনু নিগম
- তোড়েংগে দিওয়ার হাম - উদিত নারায়ন