দারুল উলুম নিউক্যাসল
Darul Uloom Newcastle | |
ধরন | দারুল উলুম |
---|---|
স্থাপিত | ১৩ মে ১৯৭৩ |
প্রতিষ্ঠাতা | কাসিম সেমা |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | ইসলাম |
অধ্যক্ষ | ইসমাইল ইব্রাহিম আকু |
অবস্থান | নিউক্যাসল , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ওয়েবসাইট | darululoomnewcastle |
জামিয়া দারুল উলুম নিউক্যাসল দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের নিউক্যাসলে অবস্থিত কলেজ সমমানের একটি দেওবন্দি মাদ্রাসা। এটিই দক্ষিণ আফ্রিকায় উচ্চতর ইসলামি পড়াশোনার প্রথম আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, একইসাথে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দেওবন্দি মাদ্রাসা।[১] ১৯৭৩ সালে কাসিম সেমা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্ত দারুল উলুমের মা বলা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হানাফি ফিকহ শিক্ষা দেওয়া হলেও এটিতে হানাফি ও শাফিঈ উভয় ফিকহ শিক্ষা দেওয়া হয়।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭৩ সালের ১৩ মে মাত্র ৯ জন ছাত্র নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দারুল উলুম নিউক্যাসেলের যাত্রা শুরু হয়। ৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ক্লাস শুরু হয়। মাদ্রাসাটি যে জায়গায় অবস্থিত তা ছিল একটি একটা রোমান ক্যাথলিক কনভেন্ট। এটি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে খালি ছিল। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে ৩ বছর আলোচনার পর জায়গাটি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রথম তিন বছর কাসিম সেমা একাই ছাত্রদের ক্লাস নিতেন এবং তার স্ত্রী তাদের জন্য খাবার রান্না করতেন। শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি হওয়ায় এখানে প্রচুর বিদেশী ছাত্রও পড়তে আসে।[১]
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি তাবলিগ জামাতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। শুরু থেকে অ-হানাফি ছাত্র ভর্তি হতে শুরু করায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দেওবন্দি মাদ্রাসা হিসেবে এটি শাফিঈ ফিকহকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করে।[৩] বর্তমানে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল ইব্রাহিম আকু এবং মজলিসে শুরার সভাপতি আইয়ুব মোহাম্মদ কাচভি।[২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "দারুল উলুম সম্পর্কে"। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ "আওয়ার স্টাফ"। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ইনগ্রাম, ব্রেনন ডি. (২০১১)। বিদেশে দেওবন্দি: বিশ্বব্যাপী ইসলামি আন্দোলনে সুফিবাদ, এথিক্স এবং পলিমিক্স (গবেষণাপত্র)। দক্ষিণ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৩৪,১৩৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।